রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধোঁকার ডালনা

উপকরণ ঃ ছোলার ডাল ১০০ গ্রাম, মটর ডাল ৪০ গ্রাম, হিং ৪ গ্রাম, চীনী ৩০ গ্রাম, ৫টা কাঁচালঙ্কা, টমেটো ৫০ গ্রাম, আদা ২০ গ্রাম, গরম মশলা ৫ গ্রাম, ভাল ঘি ৫০ গ্রাম, অল্প পরিমাণে হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়ো, পরিমাণ মত নুন, সর্ষের তেল ১০০ গ্রাম৷

প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্বের পঞ্চমূল নীতি

সত্যসন্ধ দেব

প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব (প্রাউট)–এর মূল পঞ্চনীতির প্রথম নীতি হ’ল ঃ সমাজের তথা সমবায়িক সংস্থার সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কাউকে কোন প্রকার জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে দেওয়া হবে না৷ স্পষ্টতঃই এই নীতি আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভিশাপ থেকে সমাজকে বাঁচাতে চায়৷ জগতের স্থূল সম্পদ (এক্ষেত্রে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের কথা বলা হচ্ছে না) সীমিত বলেই, কেউ যদি অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে অন্যত্র অভাব দেখা দেবেই৷ তাই অবাধ সঞ্চয় নীতিতে প্রাউট বিশ্বাসী নয়৷ মানুষ সঞ্চয় করে চারটি কারণে (১) দৈনন্দিন ব্যষ্টিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে৷ (২) বিশেষ বিশেষ পারিবারিক তথা সামাজিক দায়–দায়িত্বের জন্যে৷ ৩) অনন্ত সুখের এষণা,

সংক্ষেপে মাইক্রোবাইটাম পরিচিতি

সমরেন্দ্র নাথ ভৌমিক

পরম চৈতন্য সত্তা হ’তে বিশ্বসৃষ্টি হয়েছে৷ অর্থাৎ সঞ্চর ধারায় চৈতন্য সত্তাই ধাপে ধাপে চরমস্থূলত্বে পর্যবসিত হয়েছে অর্থাৎ ক্ষিতিতত্ত্বে (Solid facter) পরিণত হয়েছে৷ আবার প্রতিসঞ্চার ধারায় অর্ধবৃত্তাকার পথে ভৌতিক স্তরে এমন এক সূক্ষ্ম সত্তার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যারা ইলেকট্রন, প্রোটন, পজিট্রন প্রভৃতির তুলনায় ছোট৷ আবার মানসিকস্তরে চিত্তানুর (ectoplasm) চেয়েও ছোট, অর্থাৎ অবস্থিতির বিচারে এই সত্তাগুলির অবস্থান হচ্ছে ইলেকট্রন ও চিত্তাণুর মাঝামাঝি স্থানটিতে৷ আসলে এরা চিত্তাণু নয়, আবার বিদ্যুৎনুও (electron) নয়৷ মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মহাশয় এই সূক্ষতম সত্তারই নাম দিয়েছেন--- মাইক্রোবাইটাম (Micro

দেশপ্রেম বনাম রাজনৈতিক ভণ্ডামি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতবর্ষের মাটিতে দেশপ্রেম, দেশের জন্যে আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থভাবে দেশকে ভালোবাসা, দেশমাতৃকার পরধীনতার শৃঙ্খল মোচনে আত্ম বলিদানের সঙ্গে আগষ্ট মাসের সম্পর্ক সুনিবিড়৷ সাম্রাজ্যবাদী, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকবর্গের নিষ্ঠুর নিপীড়ন, লাঞ্ছনার হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার সংগ্রামে যে সকল দেশপ্রেমিক গণ আত্মনিয়োগ ও সর্বস্ব পণ করে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের জীবনের সঙ্গে আগষ্ট মাস        ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত৷ ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট শ্রী অরবিন্দ ঘোষের জন্ম৷ তিনি প্রথম জীবনে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন ও অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজদের গোলামী করবেন না বলেই ইচ্ছাকৃতভাবে

অনন্য প্রাউট

জিজ্ঞাসু

এখন থেকে  কমবেশি ২২৫ বছর আগে পৃথিবীতে  এলো ধনতন্ত্র৷  একসময় তাদের শত বছরে  ধরা  পড়ল শোষণের  চেহারা৷ প্রতিক্রিয়া  স্বরূপ  এখন থেকে কমবেশি  ১৩৫ বছর আগে  পৃথিবীতে  এলো কম্যুনিজম৷ মজার  কথা  এই দুই  অর্থনৈতিক  সামাজিক  দর্শন  এর জন্ম  ইউরোপের  মাটিতে৷  দুটোই  সংকীর্ণ জড়ভোগবাদে বিশ্বাসী৷ প্রথমটি  কূয়োর  ব্যাঙ ধরে নিলে , দ্বিতীয়টি হবে  পুকুরের৷  এই দুটি  অসম্পূর্ণ দর্শনে পৃথিবী যখন  শোষিত, লাঞ্ছিত,  অপমানিত,  হতাশাগ্রস্ত  সেই সময়  এখন থেকে  ৫৭ বছর  আগে  সারা পৃথিবীকে সর্বপ্রকার  ভয় দারিদ্র্য মুক্ত  করতে এক নবতর  সামাজিক  অর্থনৈতিক  দর্শন আমরা  পেলাম  প্রাচ্যের এই ভারত  থেকেই৷  দর্শণের  নাম প্রাউট

অসমের ইতিহাস

হরনাথ মাহাত

অসম ১৮২৬ সালে অহম রাজা ও আরাকান রাজাদের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনে আসে৷ তার আগের ইতিহাসে যাচ্ছি না৷ ইংরেজরা প্রথমে এই রাজ্যটি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মধ্যে রেখেছিল৷ ওই সময় থেকে সরাসরি কাজে নিয়োগের জন্য পূর্ববঙ্গ থেকে শিক্ষিত বাঙালিদের (মূলতঃ হিন্দু) আনা শুরু হয়৷

বাঙালির দুর্দৈবের অন্যতম প্রধান কারণ

ফরিদা নার্গিস

‘‘হিন্দু বাঙালী’’ ‘‘মুসলমান বাঙালি’’ এই করে ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে বাঙালি একবার ভাগ হলো৷ বাঙলা দ্বিখণ্ডিত হলো ৷ ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু মুসলমান ধর্মমতের দোহাই দিয়ে বাঙালি পাকাপাকি দুটি আলাদা রাষ্ট্রের বাসিন্দা হয়ে গেল৷ বাঙলার অনেকাংশ অসম, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, নেপালের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো৷ পৃথিবীর  বৃহত্তর  বদ্বীপভূমির উন্নত মেধা ও মগজের বাঙলা ও বাঙালির সভ্যতা হীনবল, দুর্বল হয়ে গেল৷ বিভিন্ন রাজ্য ও রাষ্ট্রের অবগুণ্ঠনে বাঙলার যেসব ভুখণ্ড ঢুকিয়ে দেওয়া হলো সেখানকার বাঙলার বাঙালিরা ভিন্নরাজ্য বা রাষ্ট্রের অফিসিয়াল ভাষা ও সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়ে নিজেদের ভ

সরকার আসবে  যাবে  কিন্তু গণতন্ত্রের ময্যাদা রক্ষার  দায় নাগরিকদেরই

প্রবীর সরকার

সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের  পঞ্চায়েত  নির্বাচনের  রায় দিয়েছেন৷  আইনের সর্বশেষ রক্ষক  সুপ্রিম কোর্ট৷ এখানে কিছু বলার নেই৷ তবে এ কথাটা সত্য যে গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষা না করলে আমরা নিজেদের পায়েই কুড়ুল মারব৷

 নির্বাচন  কমিশন  একটি  আংশিক স্বাধীন  সংস্থা৷   যুক্তরাষ্ট্রীয়  কাঠামোয়  রাজ্যের  নির্বাচন   পরিচালনা  করেন  রাজ্যের  নির্বাচন কমিশন৷

মানুষ কবে ‘মান হুঁশ’ হবে

জিজ্ঞাসু

এই পৃথিবীতে  লক্ষ লক্ষ বছর হল মানুষের আগমন হয়েছে তবু আজকের পৃথিবীতে মানুষের আচরণ দেখে মনে হয় সাধারণভাবে মানুষ প্রায় আদিমই আছে৷ বিচ্ছিন্নভাবে পরিবেশ বিজ্ঞান বা জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিজ্ঞান নিয়ে অতিসীমিত গবেষণা চললেও, সাধারণ মানুষের ভাষায়---প্রচার মাধ্যমে তা আসে না৷ ফলে মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকারেই ঘুমিয়ে থেকে মনে করছে, এইতো বেশ আছি৷ একটা বাচ্চা কুকুর এক টুকরো হাড় চিবোচ্ছে, মাংসের গন্ধ পেয়ে৷ চিবোতে গিয়ে ওর মাড়ি কেটে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে, কুকুরটির সে বোধ নেই৷ ও নিজের রক্তের নোনতা স্বাদেই বড় সুখ পাচ্ছে৷ এখন কোনো মানুষ ঐ শুকনো হাড় থেকে কুকুরটিরে বাঁচাতে গেলে সে তীব্রভাবে প্রতিবাদ করবে, সে হয়তো বলতে

নিপীড়িত মানবতার কল্যাণে আত্মনিবেদিত সদবিপ্রগোষ্ঠীর প্রতীক্ষায় শোষিত জনগণ

প্রভাত খাঁ

বাঁচার লড়াই করে সকলকেই এই মাটির পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হয়৷ যখন মানুষ এই পৃথিবীতে আসে তখন সে বা তারা বড়ই অসহায়৷ প্রকৃতির চরম খামখেয়ালীর কারণে সে বা তারা প্রচণ্ড ভাবেই বিধবস্ত ও অস্তিত্ব রক্ষায় কাতর হয়৷ একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের একনাগাড়ে লড়াই করতে হয়৷ মানুষ তখন জানতো না কেমন করে ঘর বাঁধতে হয়, কেমন করে চাষাবাদ করতে হয়৷  তারা তখন পর্বত গুহায়, বড়ো বড়ো গাছের কোটরে বা গাছের ডালে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করতো৷ কোনটা খাদ্য আর কোনটা অখাদ্য তা তারা জানত না৷ তাই খাদ্য ও অখাদ্য বুঝতে কতো মানুষ যে প্রাণ হারিয়েছে তার ঠিক ঠিকানা নেই৷ যখন খাদ্যাভাব হলো নিরাপত্তার অভাব হলো তখন মানুষ যাযাবর হয়ে জীবন অতিবাহিত করতো৷