ইংল্যাণ্ডকে  বিশ্বকাপ খেতাবের স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন জোফ্রা আর্চার৷

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

এত দ্রুত গতির বোলালের  বিরুদ্ধে কখনও তিনি ব্যাট করেননি ---জানালেন ইংল্যাণ্ডের অফস্পিনার মইন আলি৷ বোলারের বয়স মাত্র ২, নাম জোফ্রা আর্চার৷ জন্ম ব্রিজটাউনের বার্বেডোজে৷ কাউন্টি খেলেন সাসেক্সে৷ সবে মাত্র তিনি ইংল্যাণ্ডের দলে যোগদান করেছেন৷ আর মধ্যেই নজর কেড়েছেন সকলের৷ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন৷  এটাই তাঁর জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ৷ বলের গতি ঘন্টায় প্রায় ৯০ মাইল৷ বিশ্বকাপে দক্ষিণ  আফ্রিকার বিরুদ্ধে  প্রথম ৭ওভার বল করে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন৷ ম্যাচে তাঁর বলের গতি  ছিল ঘন্টায় প্রায় ৯৫ মাইল৷ তাঁর তিন শিকার  এডেন মার্করাম, দক্ষিণ আফ্রিকার  অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ও ফান  ডুসেন৷ তাঁর বাউন্সারে  আহত হয়ে মাঠ  ছাড়তে  বাধ্য হন হাসিম আমলা৷

বলা যেতে পারে, জোফ্রার পারফর্মেন্স এক কথায় অবিশ্বাস্য৷  জোফ্রার বিরুদ্ধে যে এক জন ভাল ব্যাটসম্যান কি ভাবে  কী করবে ভেবে পায়নি তার আগেই কেল্লাফতে৷ তাই টিম ইংল্যাণ্ড কখনও কখনও বেশি রান দিয়ে ফেললেও জোফ্রা যে কোনও  ম্যাচ জিতিয়ে  দিতে পারে’’ সঙ্গে  যোগ করেছেন, ‘আসলে এই রকম ক্রিকেটারেরাই  ম্যাচে  বড় ফারাক  গড়ে দেয়৷ বাড়িয়ে দেয় অন্যদের আত্মবিশ্বাসও৷’

দক্ষিণ আফ্রিকার  বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে জনি বেয়ারষ্টো শুরুতেই ফিরে গেলেও  ইংল্যাণ্ড তুলে ফেলে ৮ উইকেটে ৩১৷ বেন স্টোকস্ করেন ৮৯৷ জবাবে  মূলত আর্র্চরের  সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার  ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০৭ রানে৷ অবশ্য আর্র্চর  ছাড়াও ভাল বল করেন মইন, আদিল রশিদ৷