২০২১-২২ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন প্রথম তিনমাসের জিডিপি (গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্টস) পরিসংখ্যান মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা ছিল আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০.৪ শতাংশ হবে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা মত না হলেও এপ্রিল জুনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০.১ শতাংশ৷ গত বছর এই সময় আর্থিক সংকোচন ছিল ২৪ শতাংশের ওপর৷ তাই এবারের প্রথম ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার নিয়ে সাফল্যের ঢোল পেটাতে শুরু করেছে মোদি সরকার৷ তবে বৃদ্ধির হার এখনও কোভিড পরিস্থিতির পূর্বের অবস্থায় যেতে পারেনি৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক হার হবে ৯.৫ শতাংশ৷ আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান প্রথম তিনমাসেই যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা স্পর্শ করতে পারেনি জিডিপি তখন সারা বছরের হিসাবেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশার ধারে কাছে নাও যেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধি৷
প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ জিডিপির হার হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ তিনি বলেন-এসব অর্থনীতির তত্ত্ব কথার কচকচানি, পুঁজিবাদী শোষণের ছলা-কলা৷ ভারতবর্ষের মত দেশে--- যেখানে ধনবৈষম্যের পার্থক্য আকাশ পাতাল বললেও কম বলা হবে সেখানে জিডিপির হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে গণর্থনীতির কোন যোগ নেই৷ অর্থনীতির এইসব তত্ত্ব কথা সাধারণ মানুষ বোঝেও না, সাধারণ মানুষের চাহিদা বেঁচে থাকার নূ্যনতম প্রয়োজনটুকু অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা৷ এর বাহিরে তাদের আর কোন চাহিদা থাকেনা৷ কিন্তু শোষক পুঁজিপতি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে এইটুকুও দিতে চায় না৷ শাসক ও পুঁজিপতিদের অঙ্গুলী হেলনে চলতে বাধ্য হয়৷ সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না৷ জিডিপি নিয়ে উন্নয়ণের ঢোল পেটাচ্ছে৷ আর দিন দিন পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে৷ সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ বিরোধী আসনে বসে থাকা রাজনৈতিক গুলোর হেল দোল নেই
শ্রী খাঁ বলেন প্রাউটের দৃষ্টিতে আর্থিক উন্নয়নের মোদ্দা কথা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি৷ দেশে উৎপাদন হচ্ছে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান আছে, কিন্তু মানুষের কেনার ক্ষমতা নেই, এ কেমন উন্নয়ন! দেশের প্রতিটি মানুষের হাতে যেদিন থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ক্ষমতা এসে যাবে, সেদিন থেকেই আর্থিক উন্নয়ণের প্রকৃত মানদণ্ড বিচার করা যাবে৷ তাই প্রাউটের স্লোগান হলো প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷ শ্রী খাঁ দাবী করেন সরকার তিনমাস অন্তর জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার হ্রাস-বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করুক৷ জিডিপির ধোঁকাবাজিতে নয় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে আর্থিক উন্নয়ন৷ এটাই হচ্ছে গণর্থনীতির সার কথা৷