৬ই সেপ্ঢেম্বর ঃ আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবর্ত্তক পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণের জন্যে যেমন দিয়েছেন নতুন জীবন দর্শন, তেমনি দিয়েছেন নতুন এক জীবন ধারা তথা জীবন চর্চা৷ মানুষের দৈনন্দিন জীবন চর্চায় তিনি যেসব বিধি বিধান দিয়েছেন তার মধ্যে নবতর সংযোজন হ’ল কৌষিকী নৃত্য৷
মানুসের জীবনধারা নীতিবাদে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সাধনার দ্বারা দিব্য স্বরূপের দিকে এগিয়ে চলা৷ নোতুন এই জীবন ধারায় অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার সঙ্গে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তির নবতর সংযোজন এই কৌষিকী নৃত্য৷ আজ থেকে সাড়ে সাত হাজার বছর আগে ভগবান সদাশিব দিয়েছিলেন তাণ্ডব নৃত্য৷ তবে সে শুধু পুরুষদের জন্যে৷ কৌষিকী নৃত্য নারী পুরুষ উভয়েই করতে পারবে৷ তবে পুরুষ অপেক্ষা মহিলারাই বেশী উপকৃত হবেন এই নৃত্য নিয়মিত অভ্যাস করলে৷
মানুষের শরীর বহু সংখ্যক কোষ দিয়ে তৈরী৷ সাধনার দ্বারা দিব্য স্বরূপের দিকে এগিয়ে চলতে বহু সংখ্যক কোষ দিয়ে গঠিত এই ভৌতিক শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে হবে৷ তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত আসন অভ্যাস করা৷ আসনের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের জন্যে তাণ্ডব ও কৌষিকী নৃত্য ও মহিলাদের জন্যে কৌষিকী নৃত্য আবশ্যিক৷ মূলত কোষের উন্নতি বিধানের জন্যে এই নৃত্য৷ তাই এর নাম কৌষিকী নৃত্য৷ নিয়মিত অভ্যাস করলে মহিলাদের ২২টি রোগের নিরাময় হতে পারে৷ সেই সঙ্গে মানসিক ও আত্মিক উন্নতিও হবে৷
৬ই সেপ্ঢেম্বর কৌষিকী দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে তাণ্ডব ও কৌষিকী নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ বিভিন্ন জেলাতেও ৬ই সেপ্ঢেম্বর কৌষিকী দিবস উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় আশ্রমে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় কলিকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে বহু সংখ্যক মার্গী ভাইবোন অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসনে ছিলেন আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত, আচার্য সর্বজয়ানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা৷ এই প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগীরা আগামী ২৭শে অক্টোবর কলকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রমে আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন৷
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন আচার্য মোহনকৃষ্ণানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ প্রেমদীপ্তা আচার্যা, শ্রীমতী সুনন্দা সাহা, কেশব মণ্ডল, বীরেন মণ্ডল, জয়ন্ত মহান্তি, মোহন মণ্ডল প্রমুখ৷