কলকাতা ঃ গত ৫ই মার্চ কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্র্যলয়েও দধীচি দিবস পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে কলকাতা ও পার্শবর্তী এলাকার আনন্দমার্গীরা ও বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান থেকে আগত আনন্দমার্গীরাও আনন্দমার্গের ধ্যানমন্দিরে বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন করেন৷ এরপরে মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আচার্য সুতীর্র্থনন্দ অবধূত (তিনি তখন আনন্দমার্গের ছাত্র ছিলেন) সেদিনকার ঘটনার বর্ণনা দেন ও কীভাবে কায়েমী স্বার্থবাদীরা ও কম্যুনিষ্টরা জোটবদ্ধ হয়ে আনন্দমার্গের আশ্রম আক্রমণ করে ৫জন সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন তার বর্ণনা দেন৷
তিনি বলেন, আমাদের পরমারাধ্য গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ‘প্রবর্তিত আনন্দমার্গের মহান আদর্শের বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক সর্বাঙ্গসুন্দর সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত মানবসমাজ রচনার জন্যে এই ৫জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ও এর পরেও অনেকে এই আদর্শের জন্যে আত্মাহুতি দিয়েছেন বা পাপশক্তির হাতে নিহত হয়েছেন, তাঁদের সবাই মহান্ আত্মত্যাগী ‘দধীচি’৷ এই ‘দধীচি দিবসে’র দিনে আমরা তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই৷ যে আদর্শের জন্যে তাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, আমরাও আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে এই আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্যে প্রয়াস চালিয়ে যাব৷