ক্রিকেটার নির্বাচনের এই  ভুলগুলো ভোগাতে পারে  প্রতিটি  দলকে

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

রায়ডু, হ্যাণ্ডসকম্ব, চান্দিমল সুনীল নারাইন, যাঁদের নাম এখানে দেওয়া হল তারা এমন অসাধারণ ক্রিকেটার যারা এক মূহূর্তে ম্যাচের গতিধারা  বদলে দিতে পারেন৷  কিন্তু এখানে যে ভূলের কথা বলা হ’ল সেটা আসলে এঁদের কাউকেই আসন্ন বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি৷ এর খেসারত হয়তো প্রতিটি দলকেই দিতে হতে পারে৷

তাই এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা বাদ গেলেন বিশ্বকাপের খাতা থেকে?

শাপুর জাদ্রান- আফগানিস্তানের বাঁহাতি সিমারটি দখলে রয়েছে ৪৩টি উইকেট৷ প্রথম  শ্রেণীর  ক্রিকেটও রয়েছে  ভাল সাফল্য৷ তাঁকে  দলে না রাখায়  অবাক অনেকেই৷

সুনীল নারাইন- দেশের হয়ে ৬৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা নারাইন ওয়েস্ট ইন্ডিজের  দলে সুযোগ পাননি৷ কিন্তু, নারাইনের  মতো অলরাউণ্ডার এই মূহূর্তে খুব কমই আছেন৷ ইনিংস শুরু করতে পারেন৷  আর নারাইনের বোলিং নিয়ে তো  কোনও সন্দেহই নেই৷

পিটার হ্যাণ্ডকম্ব - অস্ট্রেলিয়ার  উইকেট  রক্ষক  ব্যাটসম্যানটি এখনও পর্যন্ত ২১টি ম্যাচ  খেলেছেন৷  ব্যাটিং হাতটাও বেশ ভাল৷ মিডল অর্ডারে  দ্রুত রান তুলতে  পারেন৷ কিন্তু  সুযোগ  পাননি পিটার৷  তাঁর না থাকা কিন্তু ভোগাতে পারে দলকে৷

দীনেশ চান্দিমল - শ্রীলঙ্কার  অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার৷ ১৪৬ টি একদিনের  ম্যাচ  খেলা চান্দিমলের ব্যাটিং গড় ৩২-এর বেশি৷ মিডল অর্র্ডরের অন্যতম ভরসা হতে পারতেন৷ যদিও এবার বিশ্বকাপে  শ্রীলঙ্কা দলে সুযোগ পাননি ডানহাতি  ব্যাটসম্যানটি৷

আবু জায়েদ- এখনও পর্যন্ত একটিও একদিনের ম্যাচ খেলেননি৷ এমন একজন বোলারকে দলে নিয়ে নির্বাচকরা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত  নিয়েছেন, সেটা বড়সড় প্রশ্ণের মুখে৷

মহম্মদ আমির-পাকিস্তানের  বাঁহাতি  বোলারটি  খেলে ফেলেছেন ৫০টি  একদিনের ম্যাচ৷ তাঁকে  এক সময় পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার  বলা হত৷ শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও  প্রয়োজনে রান করার ক্ষমতা আছে৷ যদিও বিশ্বকাপের  দলে তিনি নেই৷

রিজা হেন্ডরিক্স-দক্ষিণ আফ্রিকার  হয়ে ১৮টি  একদিনের ম্যাচ খেলা রিজাকে  দলে নেওয়া হয়নি৷  নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই  প্রশ্ণের মুখে৷ রিজার  মতো ব্যাটস্ম্যান দলে থাকলে  মিডল অর্ডার মজবুত  হত বলে মনে করেন অনেকে৷

টম ব্লনডেন- নিউজিল্যাণ্ডের  হয়ে একটিও  একদিনের ম্যাচ খেলেনটি  এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানটি৷  এমন একজন আনকোরাকে বিশ্বকাপের  মতো গুরত্বপূর্ণ টুর্র্ণমেন্টের  নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত  তা নিয়ে প্রশ্ণ  রয়েছে অনেকেরই৷

অম্বাতী রায়ডু - বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে রায়ডুর  সুযোগ পাওয়া এক সময়  প্রায় নিশ্চিত ছিল৷ কিন্তু ,শেষ মুহূর্তে সুযোগ পাননি৷ মিডল অর্র্ডরে রায়ডুর ব্যাটিং নিঃসন্দেহে বড় ভরসা  যে কোনও দলের৷

মার্ক উড- বেশ কয়েকটি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন৷ তবে, তেমন করে নজর  কাটতে পারেননি৷  সমালোচকদের যুক্তি  মার্ক উডের  থেকে জোফ্রা আর্র্চরকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারত৷ যদিও  সে ক্ষেত্রেং  কূটনৈতিক  কোনও  সমস্যা ছিল কিছুটা৷

পরিশেষে এটাও বিচার্য যে প্রতিটি দলই বিশ্বকাপে তাদের সেরা দল নিয়ে মাঠে নামবে৷ ক্রিকেটেএকজন শচীন তেণ্ডুলকর বা একজন কপিল দেব বিশ্বকাপ নিয়ে আসেনি৷ দলগতভাবে যারা ভাল পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাল খেলবে তারাই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পাবে৷ বিশ্বকাপের আসরে সেরাদের মধ্যে সেরা হওয়াটা লক্ষ্য৷ কে বা কারা দলে নেই তা না ভেবে যারা দলে রইল তাদেরই ব্যাটে বলে লড়াই হবে ২০১৯ ইংলণ্ড বিশ্বকাপের আসরে৷