এ্যামনেষ্টি ইনটারন্যাশন্যালের ইণ্ডিয়া শাখা অসমের ডিটেনসন ক্যাম্পগুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে অভিযোগ করা হয়েছে অসম সরকার জেলের মধ্যে ডিটেনসন সেন্টার তৈরী করে সেখানে বিদেশী বলে চিহ্ণিত করে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের মাসের পর মাস বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে৷ তাদের জন্যে কোনো প্যারোলের সুযোগ নেই৷ পরিবার থেকে, বহির্বিশ্বে থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে৷
ফলে এই চরম মানসিক নির্যাতনের ফলে তারা মানসিক অবসাদে ভুগছে৷ তাদের পরিবারের লোকজনও চরমভাবে হতাশায় ভুগছে ৷ এদের প্রকৃত পক্ষে কোনো মানবাধিকারই স্বীকৃত হচ্ছে না৷ এখানে যারা আটকে আছেন, তাদের অনেকেই জানে না, কেন তাঁরা বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন, কী তাদের দোষ?
২০১৮ সালের ২৫শে সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত এমনিভাবে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে ১০৩৭ জন বন্দী রয়েছে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের সন্তানরাও রয়েছে৷ এইভাবে ৩১ জন শিশু জেলের মধ্যে বন্দী রয়েছে, যা সম্পূর্ণ-সংবিধান বহির্ভূত৷ এই এ্যামনেষ্টি ইণ্ডিয়া অসম সরকারের কাছে এই ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ণ রেখেছিল সরকার তাদের সে সব প্রশ্ণের উত্তর দেননি৷
এমনি করে অসমে যারা অন্যায়ভাবে ‘বিদেশী’ ঘোষিত হয়ে জেলে পচছেন তাঁদের মানবাধিকার সম্পূর্ণরূপে অস্বীকৃত হচ্ছে৷
বলা বাহুল, ডিটেনশন ক্যাম্পে যাদের বিদেশী বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই বাঙালী৷