মঙ্গলকোটে পুরোনো পুঁথি উদ্ধার

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিধি
সময়

বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ক্ষীর গ্রামের একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১৫০টি পুরোনো পুঁথি উদ্ধার হয়েছে৷ সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মূর্ত্তিও পাওয়া গেছে৷ স্কুলের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পড়ে থাকা পুঁথি ও মূর্ত্তিগুলি গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়৷

পুরান মতে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম সতীর ৫১ পীঠের একটি অন্যতম পীঠস্থান৷ এখানে সতীর বুড়ো আঙুল পড়েছিল৷ এখানে প্রতিষ্ঠিত দেবীর নাম যোগাদ্যা৷ তার নামেই মন্দিরের নাম---যোগাদ্যা মন্দির৷ মন্দির কমিটির কর্তৃপক্ষ জানান একসময় এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে তন্ত্রসাধনার রেওয়াজ ছিল৷ সেই সঙ্গে এখানে নিয়মিত শাস্ত্র চর্চাও হ’ত৷ এইসব অঞ্চলে সেই সময় অনেকগুলি টোল ছিল৷ নবদ্বীপ থেকে অনেক বড় বড় পণ্ডিত ওই টোলগুলিতে শাস্ত্র চর্চা করতে আসতেন৷ এই সব পুঁথিগুলি সেই সময়েরই হতে পারে৷ কথাগুলি বলেন, যোগাদ্যা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কল্যাণ চক্রবর্তী৷

স্থানীয় ইতিহাস গবেষক রণদেব মুখার্জীর মতে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার পুঁথিগুলি প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো হবে বলে মনে হয়৷ উদ্ধার হওয়া মূর্ত্তিগুলি পাল আমলের হতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷ মঙ্গলকোটের প্রাচীন ইতিহাস অনুসন্ধান- কারীরা মনে করেন পুঁথিগুলি ও মূর্ত্তিগুলির বৈশিষ্ট্য জানা গেলে এই এলাকার ইতিহাসের এক নতুন দিক খুলে যাবে৷

মঙ্গলকোটের মহকুমাশাসক সৌমেন পাল জানান মূর্তিগুলির বৈশিষ্ট্য জানার জন্য রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে৷ আপাতত মূর্ত্তি ও পুঁথিগুলি প্রশাসনের হেফাজতে থাকবে৷