নৈহাটী, , ৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ ঃ বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও কালজয়ী সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৭-তম বর্ষপূর্ত্তি উপলক্ষ্যে রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন, কাঁকিনাড়া ও নৈহাটী শাখার যৌথ উদ্যোগে নৈহাটী ‘ঐকতান’ মঞ্চে দর্শক ঠাসা প্রেক্ষাগৃহ মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হ’ল প্রভাত সঙ্গীত আধারিত ‘সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ ও ‘আলোচনা সভা’৷
অনুষ্ঠানে প্রণব আঢ্য পরিচালিত পঞ্চম-এর শিল্পীবৃন্দ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সমবেত উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ এরপরেই সম্মানীয় অতিথিবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন---সম্মানীয় সভাপতি আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব তথা কেন্দ্রীয় রাওয়া সচিব, প্রধান বক্তা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ প্রধান অতিথি ডঃ বিশ্বজিৎ ভৌমিক, ডেপুটি ডিরেক্টর, ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়৷ বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও কালজয়ী সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি আবিশ্ব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে ভক্তজনের প্রণম্য তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিবৃন্দ৷ সভাপতি কর্তৃক মোমবাতি প্রজ্জাবলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ সম্মানীয় অতিথিবৃন্দকে ব্যাচ পরিয়ে ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করেন রাওয়ার সদস্যবৃন্দ৷
স্বাগত ভাষণে বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রী গৌতম মণ্ডল উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিবর্গ ও দর্শকবৃন্দকে স্বাগত জানান৷
সরসী সাহার পরিচালনায় নৈহাটী ‘নৃত্যাঞ্জলী কলামন্দির’-এর শিল্পীবৃন্দের সুন্দর দু’টি নৃত্য, ‘বাঙলা আমার দেশ, বাঙলাকে ভালবাসী’ ও ‘জোরেতে হড়কা নামে নামলো প্রাণে ঢল, দাদাগো একসঙ্গে চল গো সবাই একসঙ্গে চল’৷ নৈহাটী আনন্দমার্গ সুকলের ছাত্রছাত্রাবৃন্দ ‘প্রজাপতিপাখনা মেলে পুষ্পপরাগ নিয়ে গেল কোথা হতে এসেছিল’, সায়ন্তী চক্রবর্ত্তীর নির্দেশনায় কাঁকিনাড়া ‘নক্ষত্র নৃত্য শিক্ষা মন্দিরের’ শিল্পীবৃন্দ একটি সুন্দর উপস্থানায় অংশগ্রহণ করেন---তা হ’ল ‘কৃষ্ণোহস্তি পুরুষোত্তমঃ কৃষ্ণোহস্তি ভগবান স্বয়ং’ অবলম্বনে সমবেত নৃত্য৷
মঞ্চে বিভিন্ন আঙ্গিকের উল্লেখযোগ্য প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন উন্মেষা ঘোষ, পার্থপ্রতীম মুখার্জী, নিরঞ্জনা রায় প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট বেতার ও দূরদর্শন শিল্পী শ্রী প্রবীর মজুমদার ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রী রাজা চট্টোপাধ্যায়৷
শ্রী প্রবীর মজুমদার, রাজা চট্টোপাধ্যায়, সরসী সাহা ও সায়ন্তী চক্রবর্তী ছাড়াও সঞ্চালক শ্রী বিপ্লব পালকে পুষ্পস্তবক ও বই দিয়ে সংবর্ধিত করেন রাওয়ার সদস্যবৃন্দ---জয়ন্ত দাশ, বুবুন মজুমদার৷
অনুষ্ঠানে সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য বিশেষ আকর্ষণ ছিল নৃত্যনাট্য ‘উত্তরণ’৷ গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, নৃত্য নির্দেশনায় অংশুরাজ ঘোষ, অংশগ্রহণে ‘লাবণ্য নাট্য সংঘের (খরদহ) শিল্পীবৃন্দ৷
আলোচনা সভায় সম্মানীয় প্রধান অতিথি ডাঃ বিশ্বজিৎ ভৌমিকের বক্তব্যের বিষয় ছিল ‘মানুষের সভ্যতা ও সংসৃকতি’
সম্মানীয় প্রধান বক্তা ছিলেন আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ’৷ উল্লেখ্য যে ‘পরিবর্তক’ পত্রিকার সাংবাদিক শ্রী মহন্ত দাশগুপ্ত আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূতজীর মূল্যবান বক্তব্য শুনে তাঁর খুব ভাল লাগায় তিনি মঞ্চে এসে পুস্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান৷
সম্মানীয় আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত সভাপতির ভাষণের পরেই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট জয়ন্ত দাশ৷
অনুষ্ঠানটি সফল করে তুলতে যাঁরা একান্তভাবেই সহযোগিতা করেছেন ---বুবুন মজুমদার, মাধব পাল, অরুণ মজুমদার, সঞ্জয় মিশ্র, কালিপদ চক্রবর্ত্তী, অরূপ মজুমদার, কার্ত্তিক সর্দার, সাগরিকা পাল প্রমুখ৷ সমস্ত অনুষ্ঠানটি দর্শক কর্তৃক উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে৷
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সাফল্যের সঙ্গে সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন শ্রী বিপ্লব পাল৷