পাঁশকুড়ায় রাওয়া অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫ই ডিসেম্বর প্রভাতসঙ্গীতের ৩৭তম বার্ষিকী অনুষ্ঠান৷ রাওয়া ইয়ূনিটের উদ্যোগে আশাদ্বীপ মঞ্চে প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ পৌরোহিত্য করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী সুধীর  দত্ত মহাশয়৷ প্রধান অতিথির আসন ও বিশিষ্ট অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন যথাক্রমে আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও স্থানীয় প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী চিত্তরঞ্জন দাশ ঠাকুর৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ শতদীপা আচার্যা৷

স্বাগত ভাষণ দেন রাওয়া সচিব পার্থসারথী পাল৷ মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরোরোপিত প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশিত হয়৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রীমতী মীরা পাল, শ্রীমতী অলকা বর্মণ৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন ছাত্রছাত্রাবৃন্দ৷ ‘ঋতুরঙ্গ’ পরিবেশন করেন ঈশিতা মাইতি৷

প্রধান অতিথি আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ভাব-ভাষা-সুর-ছন্দে সমৃদ্ধ প্রভাত সঙ্গীতের অভিনবত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন---সঙ্গীতগুরু শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ৫০১৮টি সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে বর্তমান বিশ্বের নব দিকদর্শন ‘নব্যমানবতাবাদ’ প্রচার করে গেছেন৷ প্রভাত সঙ্গীত আজ বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত৷

বিশিষ্ট অতিথি শ্রী চিত্তরঞ্জন দাশ ঠাকুর মহাশয় শিল্পীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ অনুষ্ঠানে রাওয়া রত্ন ও নবরত্ন প্রাপ্ত উদীয়মান শিল্পীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়৷ যাদের ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল তারা হলেন শ্রী সুভাষ পাল, শ্রী সুশান্ত পাল ও মানস কালসার৷ প্রমুখ