গত ২১শে অক্টোবর ২০১৮ আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় অনুষ্ঠিত জনসভায় পতাকা উত্তোলন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রবন্ধ৷ ওই জনসভায় নেহেরু পরিবারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘একটি পরিবারকে বড় করতে গিয়েই নেতাজীর মত ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়েছে৷’ খুব সত্যি কথা৷ নেতাজী ছিলেন অখণ্ড ভারতের একনিষ্ঠ সেবক অন্যদিকে ইংরেজ সরকারের বশংবদ জহরলাল নেহেরু ভারত ভাগের প্রধান কারিগর৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নেতাজীর অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য অর্ধেকটা সত্য, বাকি অর্ধেকটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেপে গেছেন৷ তিনি যদি জানেনই নেতাজীর অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাহলে লালকেল্লার ওই জনসভায় তিনি নিজে কেন ভারতের স্বাধীনতায় নেতাজীর অবদানের কথা স্বীকার করলেন না? ভোটের জন্যে বাঙালীর সেন্টিমেন্টে সূড়শুড়ি দিয়ে ধরি মাছ না-ছঁুই পানি গোছের ভাষণ দিয়ে ভাবলেন অনেক বলেছি৷ বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘ভন্ডামির দ্বারা কোন মহৎ কাজ সম্পন্ন করা যায় না৷’ প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত গড়তে চান৷ তাই বলি আগে নিজের মনকে স্বচ্ছ করুন তারপর স্বচ্ছ ভারত গড়ার কথা বলবেন৷ এই প্রসঙ্গে প্রধান মন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ইতিহাসকে উপেক্ষা করে যেমন কোন দেশ কোন জাতি বেশীদিন নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবেনা, তেমনই ইতিহাসের সত্যকে অস্বীকার করে ভারতবর্ষও বেশীদিন নিজের অস্তিত্বও বজায় রাখতে পারবে না৷
ইতিহাসের সেই সত্য কী ? সংক্ষেপে সেই সত্য হচ্ছে ,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এই বাংলারই মাটিতে, অখণ্ড বাংলার মাটিতে বঙ্গভঙ্গ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে যার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতে৷ কালক্রমে সেই আন্দোলনই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পর্যবসিত হয়৷ আবার ভারতের এই স্বাধীনতাও বাঙ্গালীর অবদান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের৷ নেতাজী যদি তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনী নিয়ে পূর্বদিক থেকে ভারতবর্ষ আক্রমণ করে ইংরেজ সরকারের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে না দিতেন তাহলে গান্ধী-নেহেরু অহিংসার বুলি আউড়ে একশো বছরেও ভারতবর্ষকে স্বাধীন করতে পারতেন না৷ সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়৷ আদতে রাজনীতি কখনেও পুরোপুরি অহিংস হয়না, হতে পারে না৷ রামায়ণ -মহাভারতের যুগেও রাজনীতি অহিংস ছিল না, আজও নয়, ভবিষ্যতেও পুরোপুরি অহিংস হবে না৷ নিজের একটা অবাস্তব চিন্তাকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে ভারতের রাজনীতিতে অহিংসার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে গান্ধীজি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপথে পরিচালিত করে চিরকালের মত ভারতের চূড়ান্ত সর্বনাশ করে গেলেন৷ শুধু ভারত ভাগ নয়, সেইসঙ্গে পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতারও মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিয়ে গেছেন৷ প্রতিটি ভারতীয়ের এই সত্যটি হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করা দরকার৷
বঙ্গভঙ্গ আইনের বিরুদ্ধে বাঙ্গালী পরিচালিত আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করে গান্ধীজি তাঁর Hind swaraj’ বইয়ে লিখেছেন Real awakening took place after the particulation of Bengal. The spirit generated in Bengal spread in the North to the Punjab, and in the South to Cape Comorin .... In the teath of opposition Lord Curion partitioned Bengal. That day may be considered to be the day of the partition of the British Empire’.একেবারে নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী৷ আজাদ হিন্দ ফৌজের গুতো খেয়ে ইংরেজ সরকারকে ভারত ছেড়ে যেতে হয়েছে লর্ড ক্লিম্যাণ্ট অ্যাটলি৷ ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন৷ কলকাতার রাজভবনে বসে তিনি নিজ মুখে একথা স্বীকার করেছেন৷ গান্ধীজি ছাড়া বাঙ্গালীর রাজনৈতিক প্রতিভার স্ফুরণে মুগ্দ মহামতি গোখলে বলেছেন ‘What Bengal thinks today India thinks tomorrow’’ বাঙ্গালীর জীবনে এই প্রশংসার প্রাসঙ্গিকতা আজও তো কমেইনি, বরঞ্চ বেড়েছে৷ বাঙ্গালী যেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে সেদিন বাঙালী আবার জোর গলায় বলতে পারবেIf Bengal lives India will live, if Bengal die India wil die. তেমন দিন কি আসবে ? কবে আসবে?
ইতিহাস বলে ভারতের এই স্বাধীনতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের অবদান৷ লর্ড ক্লিমেন্ট এট্লি ১৯৫৬ সালে ভারত ভ্রমণে এসে দুদিন কলকাতা রাজভবনে ছিলেন৷ সে সময় পশ্চিম বাঙলার অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী৷ স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজ সরকারের ভারত ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়৷ রাজ্যপাল ইংরেজ সরকারের ভারত ছেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ণ করলে এট্লি বলেন, ‘‘সুভাষ বসু কর্তৃক ভারতের স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর দেশীয় সেনাগণের ইংরেজ শাসনের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তি শিথিল করিয়া দেওয়া৷’ ‘‘ইংরেজদের ভারত ত্যাগের সিদ্ধান্তে গান্ধীর কার্যকলাপের প্রভাব কতটা ছিল, এই প্রশ্ণের উত্তরে এটলির ওষ্ঠদ্বয় একটা অবজ্ঞাসূচক হাস্য বিস্তৃত হইল এবং তিনি চিবাইয়া চেবাইয়া কহিলেনmi-ni-mal; History of modern Bengal, Book-3, R.C.Majumder)৷ অর্থাৎ গান্ধিজীর অহিংসা নীতি ইংরেজ সরকারের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি৷ এরপর স্বয়ং ভগবান এসে যদি বলেন গান্ধীজি ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা পাইয়ে দিয়েছেন তাহলে ভগবানকে বলতে হবে, আপনি ঘুষ খেয়েছেন, মিথ্যে কথা বলছেন৷ বস্তুতপক্ষে ভারতের স্বাধীনতায় গান্ধীনেহেরুর কানাকড়ি অবদান নেই , অথচ খণ্ডিত রক্তাক্ত স্বাধীন ভারতে এঁরাই হয়ে গেলেন দেশ ও জাতির ভাগ্যবিধাতা৷ এটাই হচ্ছে ভারতবাসীর জীবনে সবচেয়ে মারাত্মক সবচেয়ে ক্ষতিকর অভিশাপ৷ হিন্দুধর্মের চিরন্তন শত্রু পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় সভ্যতার মৃত্যু ছাড়া এই অভিশাপের কবল থেকে মুক্তি লাভের কোন সম্ভাবনা নেই৷ অবৈধ পদ্ধতিতে অর্জিত স্বাধীনতার সম্ভবত সেইটাই ভাগ্যলিপি৷
১৯২০ থেকে ১৯৪৭ এ ভারত ভাগের দিন পর্যন্ত ২৭ বছর গান্ধিজী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন৷ এই ২৭ বছরে তিনি ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে চারটি আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন---১৯২০ খিলাপৎ আন্দোলন , ১৯২২ ? নো ট্যাক্স আন্দোলন, ১৯৩০ লবণ আন্দোলন ও ১৯৪২ এ ইংরেজ ভারত ছাড়ো আন্দোলন৷ চারটি আন্দোলনই নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়৷ এটাই স্বাভাবিক৷ অহিংসা নীতি প্রয়োগ করে গান্ধীজি ইংরেজ সরকারের হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটিয়ে দ্বিতীয় বুদ্ধ দ্বিতীয় যীশুখীষ্ট হবার স্বপ্ণ দেখেছিলেন৷ তাঁর সে স্বপ্ণ পূরণ তো হলইনা উল্টে ভারতবাসীর আজীবনের অখণ্ড ভারতের স্বপ্ণকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে গেলেন৷ পাকিস্তানের শ্রষ্টা মহঃ আলি জিন্না তাঁর এই অহিংসা নীতির সমালোচনা করে বলেছেন,when they- Gandhi and his co-workers-were preaching non-violent non-cooperation they were forgetting human nature, they were forgetting that they were human beings and not saintas and it was futile to apply soul force for solution of political problem (Gandhi and Ginnah / S.K- Majumder). গান্ধীজি কোন আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ছিলেন না তা সত্ত্বেও ভারতের রাজনীতিতে আধ্যাত্মিক শক্তি প্রয়োগ করে চিরকালের মত ভারতবর্ষের যে অপূরনীয় ক্ষতি করে গেলেন আর একজন সুভাষ বোস ছাড়া সেই ক্ষতিপূরণের সম্ভাবনা আপাতত নেই৷
ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন গান্ধিজী অহিংস নীতি সম্পর্কে তাঁর বইcrisis of faith এ লিখেছেনIt is true we devoloped a Kind of NEGATIVE PATRIOTISM while trying to rid the country of foreign yoke. Nagative Patriotism এর বাংলা অর্থ বিকৃত দেশপ্রেম৷ ভারত ভাগসহ স্বাধীন ভারতে রাজনৈতিক আর্থনৈতিক সামাজিক যতরকমের দুর্নীতি আছে সবের উৎস এই বিকৃত দেশপ্রেম৷ সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ঘটনা হচ্ছে এই বিকৃত দেশপ্রেম৷ সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ঘটনা হচ্ছে এই বিকৃত দেশপ্রেম ভারতীয়দের-মুসলমান নয়, হিন্দুদের-মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে তাদের চিন্তাধারাকে কলুষিত করে তাদের ধর্র্মবিমুখতা ভবিষ্যৎ ভারতের পক্ষ বিপদের কারন হয়ে উঠতে পারে৷ বিবেকানন্দ বলেছেন, তোমরা যদি ধর্ম ছাড়িয়া দিয়া পাশ্চাত্যজাতির জড়বাদ সর্বস্ব সভ্যতার অভিমুখে ধাবিত হও, তোমরা তিন পুরুষ যাইতে -না-যাইতেই বিনষ্ট হইবে৷ ধর্মহীন ভারতবর্ষ সেি পথেই এগুচ্ছে৷
কংগ্রেস ২৭ বছর ধরে গান্ধীজির ভূমিকা বিশ্লেষন করে ইংরেজ ঐতিহাসিক মাইকেল এডওয়ার্ডস তাঁর বিখ্যাত বই ‘The Last years of British India ’ ‘Gandhi remained round its neck like the Ancient Mariners albabross unhibiting its action, dividing its purpose, confusing the genuine revolutionrias and ultimatly ensouring the partition of India.’ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এইটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সত্যিকথা৷ ভারতবাসীর দুর্র্ভগ্য দেশভাগজনিত সেই কলঙ্কিত ইতিহাসের স্মৃতি মানুষের মন থেকে মুছে দিতে ক্ষমতায় আসীন হয়েই নেহেরু সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে বিকৃত করে একটা বিকৃত ইতিহাস দেশবাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবেই জাতির চরিত্রহনন করে সমগ্র জাতিকে একটা ক্লীবনপুংসক জাতিতে পরিণত করেছেন যে কারণে ছশো বছরের মুসলমান শাসন দুশো বছরের ইংরেজ শাসন মোট আটশো বছরের পরাধীনতার পর পাওয়া এই স্বাধীনতা ভারতবাসীর জীবনে আনন্দের উৎস হওয়ার বদলে ইংরেজ আমলের পরাধীনতার চেয়েও যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠছে৷ অনন্তকাল ধরে পাকিস্তানের হাতে লাঞ্ছিত অপমানিত হওয়ার জন্য, অনন্তকাল ধরে পাকিস্তানের ভয়ে খাঁচায় বন্দী জানোয়ারের মত -জীবনযাপনের জন্য নিশ্চয় ভারতের মাটি থেকে ইংরেজ সরকারকে তাড়ানো হয়নি? কে এই প্রশ্ণের উত্তর দেবে?
চিরকাল এই অবস্থা চলতে পারে না, চলতে দেওয়া উচিৎ হবেনা৷ ভারতবর্ষকে যদি হারানো গৌরব ফিরে পেতে হয় তাহলে এই অবস্থার পরিবর্তন একান্তভাবেই আবশ্যক৷ সেজন্য ভারতবাসীর চিন্তাধারাতেও পরিবর্তন আনা দরকার ৷ মুস্কিল হচ্ছে নেহেরু সরকার রচিত বিকৃত ইতিহাসের অশুভ প্রভাব মানুষের চিন্তাশক্তিকেও পঙ্গু করে দিয়েছে৷ তাহলে পরিবর্তন আনবে কেবা কারা? অবশ্যই বাংলার যুবসম্প্রদায় ৷ একমাত্র বাংলার যুবসম্প্রদায়ই পারে এই পরিবর্তন আনতে বাংলার যুবসম্প্রদায় ছাড়া আর কারো দ্বারা সে কাজ সম্ভব হবে না৷ বিবেকানন্দও বলেছেন বঙ্গীয় যুবকগণের ভিতর দিয়াই সেই শক্তি প্রকাশিত হইবে যাহা ভারতকে তাহার উপযুক্ত ,আধ্যাত্মিক অধিকারে পুনঃ প্রতিষ্ঠাতা করবে৷’’
কিন্তু বিবেকানন্দের এই বিশ্বাস আজ বাংলার যুবসম্প্রদায় বহুধা বিভক্ত ৷ আত্মমর্যাদাবোধহীন জাতীয় মর্যাদাবোধহীন দলীয় নেতাদের প্ররোচনায় যুবকরা নিজেদের মধ্যে মারামারি খুনোখুনি করে নিজেদের সর্বনাশ করছে, পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষতি করছে, সমাজকে কলুষিত করছে, সর্র্বেপরি অজ্ঞানতাবশতঃ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে দিচ্ছে ৷ তার জানে না স্বাধীনতার অজুহাতে ইংরেজ সরকার , কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিষ্ট পার্টি ও মুসলিম লিগ এই চার অশুভ শক্তি চক্রান্ত করে ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কে দ্বিতীয়বার অন্যায়ভাবে দ্বিখণ্ডিত করে বাঙালীর চূড়ান্ত সর্বনাশ করেছে৷ গত ৭০ বছর ধরে বাঙ্গালীকে একাকে বাংলাভাগের অভিশাপ মাথায় বয়ে বেড়াতে হচ্ছে৷ দিল্লীর চক্রান্তে বাঙালীকে আর কতকাল এই অভিশাপ মাথায় বয়ে বেড়াতে হবে কেউ বলতে পারে না৷ বিশেষ করে সেই কারণেই বাঙালীকে সেই অভিশাপের কবল থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে বাংলার যুবকদের পারস্পরিক বিদ্বেষ ও বিরোধ ভুল ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে খণ্ডিতা রক্তাক্ত বঙ্গজননীর চোখের জল মুছাবার সৎ সঙ্কল্প নিয়ে৷ বাংলার যুবকরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তাহলে তারা ভারতের ইতিহাসের ধারা বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে৷
ভারতের এই স্বাধীনতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের অবদান বাঙ্গালী যুবকরা এই সত্যটিকে রক্তের অক্ষরে তাদের হৃদয়ে গেঁথে রেখে দেয়৷ জহরলাল নেহেরু নেতাজী ইতিহাসের আস্তাকঁুড়ে নিক্ষেপ করেছেন৷ নরেন্দ্র মোদি তাঁর লালকেল্লার ভাষনে নেতাজীর অবদান সম্পর্কে নীরব থেকে গেছেন৷ বাঙালীর বিরুদ্ধে দিল্লীর চক্রান্ত চলছেই৷ এই অবস্থায় বাঙালী যুবকরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীকে দিয়ে ‘ভারতের এই স্বাধীনতা নেতাজীর অবদান এই কটি কথা স্বীকার করিয়ে নিতে পারে তবেই বাঙ্গালী তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে, বিবেকানন্দের বিশ্বাসের মর্যাদা পূর্ণতা পাবে৷ কিন্তু এরপরেও বাঙ্গালী যুবকরা ঘুমিয়ে থাকে তাহলে জাতির মৃত্যু ছাড়া তাদের এই ঘুম আর ভাঙবো না৷
- Log in to post comments