পরলোকে আমরা বাঙালী নেতা রতন রায়

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর ২০১৯ ত্রিপুরার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও ‘আমরা বাঙালী’ দলের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা কমিটির সচিব  শ্রী রতন রায় দীর্ঘ রোগভোগের পর পরলোকগমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর৷ তিনি আমরা বাঙালী দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন৷ দীর্ঘদিন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা কমিটির সচিবের দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করেন৷ তিনি শান্তিরবাজার মহকুমার লাউগাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্র বর্তমান৷ তাঁর পুত্র সৌরভ রায় বর্তমানে আমরা বাঙালী দলের একনিষ্ঠ ও সক্রিয় কর্মী৷

১৪ই সেপ্ঢেম্বর দ্বিপ্রহরে রতন রায়ের বাসভবনে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়৷ ভাবজড়তা ও কুসংস্কারমুক্ত ‘আনন্দমার্গে চর্যচর্য’ বিধিমতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে গিয়ে রতন রায়ের স্ত্রী-পুত্রকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়৷ কিন্তু তাঁরা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কুসংস্কার ও ভাবজড়তা মুক্ত মার্গীয় বিধিতেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন৷

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য দীপ্তেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ সুধাচিত্তা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ কর্মব্রতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ চিরকৃতি আচার্যা ও অগণিত মার্গী ভাইবোন৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য দীপ্তেশ্বরানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও শ্রী রতন রায়ের কর্মজীবনের ওপর আলোকপাত করেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত, শ্রী গৌরীশঙ্কর নন্দী, শ্রী গোবিন্দ মজুমদার, কিরীটি দাস ও গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা সব রকম কুসংস্কার ও ভাবজড়তা মুক্ত মার্গের বিধানকে মুক্তকণ্ঠে সমর্থন করেন৷