প্রতিশ্রুতির ফানুষ উড়িয়ে বাঙলায় পরিবর্তন যাত্রা - প্রতিশ্রুতির ফানুষ চুপসে পেট্রল নববই পার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সোনার  বাঙ লা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরিবর্তন যাত্রায় সামিল হচ্ছেন একঝাঁক পরিযায়ী নেতা৷ বঙ্গ সংসৃকতির বিপরীত মুখে চলে রাজ্যে দলবদল শুরু হয়েছে ভোটের মুখে রাজ্য শাসক দল ছেড়ে কেন্দ্রীয় শাসক দলের দিকে৷  বঙ্গ বিজয়ের স্বপ্ণে বিভোর হয়ে প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি মাথায় নিয়ে বঙ্গে হাজির একদল পরিযায়ী নেতা৷ বিজেপির, বঙ্গ বিগ্রেডের ওপর আস্থা নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের৷

‘আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ বিজেপি নেতাদের  কটাক্ষ করে বলেন--- সোনার বাঙলার প্রতিশ্রুতি দেবার আগে জবাব দিক সাত বছরে কটা প্রতিশ্রুতি পালন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তিনি বলেন ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতারা দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতির বহর শুনিয়েছিল৷ তার একটাও পালন হয়নি৷ সুইসব্যাঙ্কের  কালো টাকা ফেরৎ আসেনি, কালো টাকা আরও বিদেশে পাচার হয়েছে৷ দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি ছিল, কয়েক কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে, নেতাজীর গোপন ফাইল প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি ছিল--- রক্ষা করেনি৷ এই মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পঞ্চাশ টাকার নীচে থাকবে পেট্রোল ডিজেলের দাম৷ এই মুহুর্তে পেট্রোল নববই পার করেছে, ডিজেল ৮০ পার করেছে, গ্যাস ৮০০টাকা ছুঁতে চলেছে৷ কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানে না৷ তবে এটা স্পষ্ট এই বিজেপি ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেয়,ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বিপরীত পথে চলে যায়৷

শ্রী জয়ন্ত দাশ ব্যাঙ্গের সুরে বলেন--- আচ্ছা দিনের মজা লুঠছে ধন কুবেররা, জনগণকে প্রতিশ্রুতির ভাঁওতা দিচ্ছে ধামাধরা নেতারা৷  সোনার  বাঙলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলে এরা বাঙলাকে শশ্মান করে দেবে৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন এটা পরিবর্তন যাত্রা নয়, বঙ্গ সংসৃকতির বিসর্জনের যাত্রা৷ অসম ত্রিপুরা দেখে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শিক্ষা নিক কি ধরনের বিশ্বাস ঘাতকতা করা হয়েছে অসম ত্রিপুরার বাঙালীদের সঙ্গে৷ অসমে বোটের আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অসমের সব ডিটেনশন ক্যাম্প উঠিয়ে দেওয়া হবে৷ ক্ষমতা এসে কি করছেন আজ দেশবাসী তা দেখছে৷ তিনি বলেন রাজনীতিটাই আদর্শভ্রষ্ট নীতিহীন নেতাদের করে খাওয়ার অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ জনগণের স্বার্থের কথা কোন নেতাই আজ ভাবেন না৷ দেশীয় পুঁজিপতি ধনকুবেররা এই রাজনীতিই চেয়েছিলেন৷ ভ্রষ্টাচারী রাজনীতি চটুলরসের সাহিত্য চলচিত্র দিয়ে যুবসমাজকে বিপথগামী করে দেশের সম্পদ লুঠছে ধনকুবেররা৷ শ্রী খাঁ বলেন অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার আগে মানুষকে সামাজিক,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সচেতন করে তুলতে হবে৷ সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে হাতিয়ার করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের শোষণের যাঁতাকলে পিষে মারছে মানুষকে৷ তিনি বলেন--- আজ প্রয়োজন অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করে প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের প্রয়োগ করে বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা৷ স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে কৃষি অকৃষি সম্পদের সাহায্যে৷ যাতে প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে ও প্রতিটি মানুষ ক্রয়ক্ষমতা অর্জন করবে৷ প্রতিটি ব্লকে কৃষি ভিত্তিক, কৃষি সহায়ক ও অকৃষি শিল্পের সমন্বয়ে এক বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে সর্বমানুষের সর্বজীবের কল্যাণের স্বার্থে৷ শ্রী খাঁ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের  মানুষকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের সমর্থন করতে আহ্বান জানান৷