নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ বিজেপির পক্ষ থেকে গত ৩১শে অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনে (জাতীয় ঐক্য দিবস) তাঁর পূর্ণাবয়ব বিশাল এক মূর্ত্তির প্রতিষ্ঠা করেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বিশ্বের এই সর্বোচ্চ মূর্ত্তিটি উদ্বোধন করেন৷ এই মূর্ত্তিটি বসানো হয়েছে গুজরাতের নর্মদা জেলার সর্দার সরোবরের একটি দ্বীপের ওপর৷ এর উচ্চতা ১৮২ মিটার৷
নারীর মর্যাদা বিষয়ে গার্লস্ প্রাউটিষ্টের সিম্পোসিয়াম
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ৪ঠা নবেম্বর গাল্র্স প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের শরৎ স্মৃতি সদনে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ে একটি সিম্পোসিয়ামের আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডঃ পূরবী রায় (নেতাজী ভাবনা মঞ্চের প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন অধ্যাপিকা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়), প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন ডঃ উমা চট্টোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথিরূপে ছিলেন রাইকমল দাশগুপ্ত ও ডঃ তিন্নি দত্ত৷
প্রথমে স্বাগত ভাষণে সাগরিকা পাল সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার সমাজের সার্বিক শোষণমুক্তির ডাক দিয়েছেন৷ সমাজে দিকে দিকে নারী নির্যাতন, শোষণ ও নারীর অধিকারহরণ হচ্ছে৷ নারীকে তার স্বাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদের স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার ওপর প্রাউট -প্রবক্তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন৷
রীতা রায় বলেন, সমস্ত প্রকার ভাবজড়তার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে নারীকেও পুরুষের সঙ্গে সমানতালে এগোতে হবে৷
গার্লস্ প্রাউটিষ্টের কেন্দ্রীয় সচিব অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা তাঁর ভাষণে বলেন, সমাজের বিকাশের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অবদান ৷ সমাজের অর্ধেক অংশ যদি পিছিয়ে পড়ে তাহলে সমগ্র সমাজের অগ্রগতি ব্যাহত হবেই৷ তিনি বলেন, সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্ক হওয়া উচিত co-ordinated co-operation’ অর্থাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা৷ তবেই সমাজের যথার্থ উন্নতি সম্ভব৷
ডঃ তিন্নি দত্ত বলে, শিশু প্রকৃতিদত্ত প্রবৃত্তি নিয়েই জন্মগ্রহণ করে৷ কিন্তু তার কী করা উচিত কী করা উচিত নয়--- এসব প্রাথমিকভাব মাকেই শিক্ষা দিতে হবে৷ শিশুর বিকাশে মারই প্রধান ভূমিকা৷ তিনি বলেন, কোনো নারী যেন কখনো অবহেলিত না হয়, সেদিকে বিশেষ করে নজর দিতে হবে৷ আর , শুধু অধিকার নয়, দায়িত্ব সম্পর্কেও তাদের সচেতন হতে হবে৷
রাইকমল দাশগুপ্ত বলেন, নারীদের অধিকার রক্ষার জন্যে আন্দোলনের প্রয়োজন আছে, তবে নিজেদের আচার-আচরণের দিকেও নজর দিতে হবে৷
ডঃ উমা চট্টোপাধ্যায় মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘নারীর মর্যাদা’ পুস্তকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ও বলেছেন, এই পুস্তকে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রকৃত দিশাও দেখানো হয়েছে৷
সভাপতি ডঃ পূরবী রায়ও নারীর নির্যাতন, সমাজে নারীকে অবহেলার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী প্রভাত সঙ্গীত ‘সবারে করি আহ্বান’ ও সমাপ্তি প্রভাত সঙ্গীত ‘আমি ডাক দিয়ে যাই.. যাই.. যাই...’ পরিবেশন করেন সুনন্দা সাহা, মালা সরকার, শম্পা দাস, হৈমন্তী চৌধুরী প্রমুখ৷ সঙ্গতে শ্যামল গুহ৷ ধন্যবান জ্ঞাপন ও সমাপ্তি ঘোষণা করেন ডঃ রীনি রায়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতার গার্লস প্রাউটিষ্টের ভুক্তিপ্রধান শ্রাবণী বসাক৷