এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ৷ দু’দিনের সফরে এসে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্যে একরাশ খুশির খবর শোনালেন তিনি৷ মাকরঁ জানিয়ছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ফ্রান্সে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজারে নিয়ে যেতে চান তিনি৷ এক্স হ্যান্ডলে এ কথা বলেছেন মাকরঁ৷ বর্তমানে ফ্রান্সে পাঠরত আড়াই লক্ষ বিদেশি পড়ুয়ার মধ্যে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা অন্তত ১০ হাজার৷ যে সময়ে ভারতীয় পড়ুয়াদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য কানাডার সঙ্গে ভারত সরকারের টানাপড়েনে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, বাতিল হয়েছে বহু ভারতীয় পড়ুয়ার ভিসার আবেদন, পড়ার খরচ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে, সেই মুহূর্তে মাকরঁর এই ঘোষণা বহু পড়ুয়ার মনে আশার আলো জ্বালল৷ কলা, দর্শন, সাংস্কৃতিক পাঠের পীঠস্থান ফ্রান্স এই মুহূর্তে বিশ্বের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষের তালিকায় অষ্টম এবং ইউরোপে পঞ্চম স্থানে রয়েছে৷ মাকরঁ আজ বলেছেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা ৩০ হাজারে নিয়ে যেতে চাই৷ জানি, এটা উচ্চাশা৷ তবে আমি তা সফল করতে চাই৷’’ এই স্বপ্ণ সফল করতে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য কিছু সুবিধা চালু করার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট৷ তিনি জানান, ফরাসি না জানা পড়ুয়ারাও যাতে ফ্রান্সে পড়তে যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে৷ পাশপাশি, ফ্রান্সের দূতাবাসের সহযোগিতায় এ দেশে ফরাসি ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র আরও বাড়ানো হবে৷ শুধু তাই নয়, ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য ফ্রান্সের ভিসা পাওয়ার রাস্তা আরও সুগম করা হবে৷ প্রজাতন্ত্র দিবসে ফ্রান্সকে পাল্টা ‘উপহার’ দিয়েছে ভারতও৷ পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় চার ফরাসি নাগরিকের নাম ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি (অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের জন্য এটাই সর্র্বেচ্চ সংখ্যা)৷ শার্লট শোপ্যাঁ, কিরণ ব্যাস, পিয়ের সিলভাঁ ফিলিওজাত, ফ্রেড নেগ্রিটকে এ বছর এই সম্মান দেওয়া হবে৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়