আবার চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হ’ল ১০ জনের৷ এবার নদীয়া জেলার হবিবপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরী পাড়ায় অসুস্থ অবস্থায় শাস্তিপুর ষ্টেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০ জন৷
২৭শে নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে চৌধুরী পাড়ার চন্দনের বাড়ীতে বসে বেশ কিছু মানুষ চোলাই মদ খেয়েছিল৷ তারপর রাত থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ পেটে জ্বালা, বমি৷ অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কেউ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই, কেউ বা পরে এইভাবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে ২০ জন৷ এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসে পুর্ব মেদিনীপুর রামতারকে (তমলুক) ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল বিষ মদ খেয়ে৷ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বিষ মদ খেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সংগ্রামপুরে এমনি ভাবে ১৭৩ জন মারা গিয়েছিল৷ তখন মৃতদের পরিবারকে সরকার ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল৷ এ নিয়ে অনেক হৈ চৈ হ’ল৷ পরে অবৈধ মদ ব্যবসার জন্যে আদালতে ৪ জনের যাবজতজীবন কারাদণ্ড ঘোষিত হয়েছিল৷ এরপরও তারাপীঠে ৮ জন (২০১৫, সেপ্ঢেম্বর), ২০১৫-এর সেপ্ঢেম্বরে ময়নাতে (পূর্ব মেদিনীপুর) ২৫ জন , ওই সালের ডিসেম্বরে ক্যানিংয়ে (দক্ষিণ ২৪ পরগণা) ৫ জন ও ২০১৭-এর জানুয়ারীতে গলসীতে (বর্ধমান) ৮ জন মদ খেয়ে মারা গিয়েছিল৷
রাজ্যে যত অপরাধ সংঘটিত হয়, তার অধিকাংশ অপরাধীরা মদ খাওয়ার পর মনের সুস্থ চিন্তাধারা হারিয়ে ফেলে নানা দুষ্কর্ম করে’ থাকে৷ জঙ্গলমহলের সম্প্রতি যে অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, তাও সরকার বলছে আসলে মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান, কিন্তু তবুও মদের ঠেকগুলি যথারীতি চলছে৷ সরকার তার আয় বাড়াতে মদের দোকান খোলার জন্যে দেদার লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছেন৷ ইতোমধ্যে অনেক রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে৷ পশ্চিমবঙ্গেও এই মদ্যপান নিষিদ্ধ করা উচিত৷
সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদ অনুসারে জানা যায়, রাজ্য সরকার ১১ সরকারী আধিকারিককে সাসপেণ্ড করেছে৷ তাঁরা হলেন আবগারি দপ্তরের শান্তিপুর সার্কেলের বর্তমান ওসি, প্রাক্তন ওসি, রানাঘাটের ডেপুটি এক্সাসাইস, কালেক্টর ও ৮ জন কনষ্টেবল৷ বে-আইনি মদ বিক্রির জন্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আর মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷