পাখীরা লিখতে, পড়তে জানে না, প্রতিবাদও করতে জানে না৷ যদি জানত---‘দাও ফিরে সে অরণ্য’ গোছের কিছু লিখত, নতুবা দলবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করত৷ এসব পারে না বলেই নীরবে মুখ ফিরিয়ে নেয়৷
একসময় পরিযায়ী পাখীদের শীতকালীন আদর্শ বাসস্থান ছিল সাঁতরাগাছি ঝিল৷ মানুষের দুর্বুদ্ধির তাড়নায় সেই বাসস্থান আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে৷ নগর সভ্যতার গ্রাসে প্রকৃতির সন্তানরা৷ ঝিলের দু’পাশে গড়ে উঠেছে বহুতল প্রাসাদ৷ ঝিলও আর আগের মত পরিষ্কার থাকে না৷ আস্তে আস্তে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে শীতকালে উড়ে আসা পাখীর আনাগোনা কমে যাচ্ছে৷ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিহগেরা৷
বেশ কয়েক বছর ধরে পাখীর সংখ্যা কমছিল৷ তবে এ বছর আশার কথা শুনিয়েছে একটি প্রকৃতিপ্রেমীক সংঘটন৷ ‘প্রকৃতি সংসদ’ নামের এই সংঘটনটি প্রায় চার দশক ধরে পাখী ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করছে৷ গত ১৫ বছর ধরে সাঁতরাগাছির ঝিলে পাখী গোনার কাজ করছে৷ এবছরও তারা দু’দিন ঝিলের পাড়ে শিবির করে পাখী গোনার কাজ করে৷ এই সংঘটনের পক্ষ থেকেই জানানো হয় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দেড় হাজার পাখী বেশী এসেছে৷ গত বছরের সংখ্যাটি ছিল প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি৷ এ বছর সেটা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার৷ তবে সাইবেরিয়া থেকে আসা কিছু বিশেষ প্রজাতির পাখী আর আসছে না যা পক্ষীপ্রেমীদের বিষণ্ণ্ করছে৷ এই সংঘটনটি পাখী গোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রাদের পাখী চিনতেও শেখায়৷ এ বছরও প্রায় দু’শো ছাত্র-ছাত্রাকে পাখী চিনতে শেখায় সংঘটনটি৷