১,২,৩ ফেব্রুয়ারী অসমের শিলচরে (রংপুর) আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানে আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ প্রাউটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রাউটের প্রয়োগ ভৌমিক দিক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাউটের নীতি হ’ল আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা৷ তিনি বলেন, প্রতিটি অর্থনৈতিক ইয়ূনিট বা অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শোষণমুক্ত করেই বিশ্বৈকতাবাদ তথা বিশ্বরাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে৷ তিনি বলেন, বর্তমান ধণতান্ত্রিক দুনিয়ায় যে ‘গ্লোবালাইজেশন’ বা ‘বিশ্বায়নের’ কথা বলা হয় তা হ’ল শোষণের বিশ্বায়ন৷ প্রাউট চায় শোষণমুক্তির বিশ্বায়ন৷
‘প্রমা’ তত্ত্বের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে আচার্য সেবাব্রতা অবধূত বলেন, জীবনের শারীরিক বা ভৌতিক, মানসিক ও আত্মিক---এই তিন স্তরের মধ্যে পরিপূর্ণ সন্তুলন (ব্যালেন্স) চাই৷ এটাই ‘প্রমা’র মূল কথা৷
এই তিনের মধ্যে সন্তুলন না থাকলেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়৷
২ তারিখে শিলচর আনন্দমার্গে এক বর্র্ণঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয় ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী সুশীল ঘোষ মহাশয়৷ স্বাগত ভাষণ দেন পান্না রায়৷ এরপর আনন্দমার্গের ধর্ম, সাধনা ও সেবামূলক কর্মসূচীর ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত ও বিবেক ব্রহ্মচারী৷ সভার সঞ্চালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷
সেমিনারে তাত্ত্বিক আলোচনা ছাড়াও ৩দিন ধরে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, তাণ্ডব কৈশিকী নৃত্য, যোগাসন ও যোগসাধনার প্রশিক্ষণ প্রভৃতির কর্মসূচীও ছিল৷ যথারীতি নারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়েছিল৷
এখানে উল্লেখ্য শিলচরের উদারবন্দে আনন্দমার্গের একটি জমি আছে এখানে আশ্রম গড়ে তোলার জন্যে শ্রী দিলিপ ধর ৫০,০০০ টাকা দেন৷ তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকে এই আশ্রম তৈরীর জন্যে দান করতে এগিয়ে আসেন ও অনেকে প্রতিশ্রুতি দেন৷