গত ২২, ২৩ ও ২৪ জুন ঃ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত আনন্দমার্গ দর্শনের ‘ব্রহ্ম সদ্ভাব’ ও ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন---‘প্রাউট’-এর ‘সুসংবদ্ধ কৃষি’, ‘সামাজিক সুবিচার’ প্রভৃতি বিষয় ছিল এই সেমিনারের আলোচ্য বিষয়৷
শিলিগুড়িতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতনগর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে প্রায় ২৫০ জন আনন্দমার্গী ভাই-বেনেরা এই সেমিনারে যোগদান করেন৷
‘ব্রহ্মসদ্ভাব’ বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে আচার্য রবীশানন্দ অবধূত বলেন, সকল বস্তুরই একটা ভিত্তি থাকা চাই৷ জীবন দৃঢ়ভিত্তিক না হলে সামান্য ঝড়েই তা ভেঙ্গে পড়ে৷ ব্রহ্মভিত্তিই দৃঢ়তম ভিত্তি৷ তিনি বলেন, ব্রহ্ম সাধনার মাধ্যমে মানুষ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক চরম বিকাশ ঘটাতে পারে, তেমনই সমস্ত প্রকার কুসংস্কার তথা ডগমার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারে৷
তিন দিন ব্যাপী দর্শন ও আদর্শের আলোচনা ছাড়াও প্রতিদিন ভোরে ‘পাঞ্চজন্য’, কীর্ত্তন পরিক্রমা, মিলিত প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা প্রভৃতিও ছিল প্রাত্যহিক কর্মসূচীর অঙ্গ৷ এছাড়া দ্বিতীয় দিন আনন্দমার্গীদের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শিলিগুড়ি শহর পরিক্রমা করে৷ মিছিলের পর ইণ্ডোর ষ্টেডিয়ামের সামনে এক ধর্মসভারও আয়োজন করা হয়৷ এই ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করে প্রবীণ আনন্দমার্গী কেশব সিন্হা৷ আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত, আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্দ অবধূত প্রমুখ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সর্বানুসূ্যত আদর্শের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তাঁরা বলেন, আজকের সমাজের সামাজিক-অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক সমস্ত দিকেই মানুষ দিশা হারিয়েছে৷ ফলে দেখা দিয়েছে সর্বক্ষেত্রেই চরম অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা৷ আনন্দমার্গের সর্বানুস্যুত দর্শন প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষকে তার যথার্থ পথনির্দেশনা দিয়েছে৷
আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্দজী বিশেষ করে ‘প্রাউট’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সমাজের সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্ত প্রকার সমস্যারই সমাধান রয়েছে ‘প্রাউটে’৷