মার্গগুরু শ্রীশ্রী আন্দমূর্ত্তিজীর পাঞ্চভৌতিক দেহের ৩০তম মহাপ্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়দিনব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল৷ ২১শে অক্টোবর মহাপ্রয়াণ দিবসে বিকেল ৩-৩০ ঘটিকায় মার্গগুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে আনন্দমার্গীরা কলকাতাস্থিত ‘পরম শ্রদ্ধেয় ‘বাবা’র (শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর) স্মৃতিসৌধে এই অখণ্ডকীর্ত্তন শুরু করেন৷ কোভিড-১৯ ও সেই কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে লক-ডাউন ও সরকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরী করার পরিপ্রেক্ষিতে সব জায়গা থেকে আনন্দমার্গীদের পক্ষে এই মহাপ্রয়াণ অনুষ্ঠানে যোগদান করা সম্ভব ছিল না৷ তাই অন-লাইনে এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের ব্যবস্থা ছিল৷ ফলে পৃথিবীর সব জায়গা থেকেই ভক্তমণ্ডলী এই অনুষ্ঠানটিকে দেখতে পেয়েছেন ও বিভিন্ন আনন্দমার্গ ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে নিজেরাও অখণ্ড কীর্ত্তন করতে পেরেছেন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানও নিজ নিজ ইয়ূনিটে সুষ্ঠুভাবে করেছেন৷ কলকাতায় ভক্তমণ্ডলীর ভীড় অন্যবারের মত না হলেও সমগ্র অনুষ্ঠানটি খুবই সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে হয়েছে৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধর্মচক্র অনুষ্ঠান ও তৎপরে পরমারাধ্য বাবার প্রবচনও (অডিও) শোনানো হয়েছে৷ ২৬শে অক্টোবর অখণ্ড কীর্ত্তন সমাপ্ত হওয়ার পর মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর আনন্দমার্গীরা মার্গগুরুদেবের মহান আদর্শকে জীবনে ও সমাজে বাস্তবায়িত করার জন্যে শপথ গ্রহণ করেন৷ বাংলা, হিন্দী ও ইংরেজীতে শপথবাক্য পাঠ করান যথাক্রমে আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ এর পর ভিডিওতে বাবার প্রবচন শোনানো হয়৷ এ সময় সমবেত ভক্তমণ্ডলী ভক্তিভাবে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন৷ সবশেষে সংঘের ধর্মপ্রচার সচিব আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷ তৎপরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়