বনধ্কে কেন্দ্র করে রাজ্যে ষাটের দশকের স্মৃতি আবার ফিরে এল৷ সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার হ’ল ৩৪ বছরের রাজ্যপাট হারিয়েও সিপিএমের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ কথায় আছে বাঘের স্বভাব মরলেও যায় না৷ ৮ই জানুয়ারী কংগ্রেস, সিপিএম ও বিভিন্ন বামপন্থীদল ও ট্রেড ইয়ূনিয়ন ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল৷ এই বনধ্কে কেন্দ্র করে বাম কংগ্রেস সমর্থকরা রাজ্যের বহু জায়গায় তাণ্ডব চালায়৷ ট্রেন আটকানো, বাসে আগুন, পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে বনধ্ সফল করতে তৎপর হয় কংগ্রেস-সিপিএমের উগ্র সমর্থকরা৷ বহু জায়গায় বাস থামিয়ে বৃদ্ধ, শিশু, মহিলা সহ যাত্রীদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও বনধ্ সমর্থকদের রণংদেহী মূর্ত্তি দেখে বাস যাত্রীরা আতঙ্কে নিজেরাই বাস থেকে নেমে চয়ে যায়৷ তবে এসব সত্ত্বেও রাজ্য মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল৷ হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, ২৪ পরগণা প্রভৃতি জেলায় বনধের সেরকম কোন প্রভাব পড়েনি৷ যদিও সন্ধ্যায় বাম-কংগ্রেস নেতারা বনধ্ সফল হয়েছে বলে জানায়৷
কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে বনধ ডাকলেও রাজ্য বিজেপি বনধের বিরুদ্ধে কোন সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি৷ এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বাম বিজেপির গোপন আঁতাত বলে সন্দেহ করছেন৷ বিজেপি রাজ্য নেতা অবশ্য বলেন বনধ্ রোখার দায়িত্ব সরকারের---আমাদের নয়৷