বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে হাওড়ার আমতা বাসস্ট্যাণ্ডে আনন্দমার্গের জলসত্র
ব্যবস্থাপনায়---আনন্দমার্গ ভুক্তি কমিটি, হাওড়া
ব্যবস্থাপনায়---আনন্দমার্গ ভুক্তি কমিটি, হাওড়া
বিশ্বক্ষ্রহ্মাণ্ডে মূলসত্তা একটিই,, তা হচ্ছে চিতিশক্তি৷ এই চিতিশক্তি চৈতন্যসত্তা আবার শক্তিসত্তাও বটে– এইভাবে চিতিশক্তি দুইয়েরই কাজ করে৷ এইজন্যেই একে চিতিশক্তি বলা হয়৷ বস্তু নয় কিন্তু বস্তুকে যে রূপ প্রদান করে তাই শক্তি বা প্রকৃতি৷ এই প্রকৃতিই বস্তুতে রূপ প্রদান করে প্রকারভেদ সৃষ্টি করে৷
সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা৷ এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে৷ সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রই ছিল কুটির শিল্প৷ নারী–পুরুষ–বালক নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত৷ পরে দেখা গেল কিছুশিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না.....করতে হয় কিছু সংখ্যক গ্রাম নিয়ে৷ তা না হলে তাদের একদিকে যেমন বাজারের ঘাটতি পড়ে, অন্যদিকে তেমনি শিল্পীর সংখ্যাতেও অভাব দেখা দেয়৷ তখন মানুষ প্রথম শিল্পায়োগ বা কারখানায়* যেতে শুরু করল৷ এখানে প্রসঙ্গতঃ একটা কথা বলে’ রাখি৷ শিল্প যত বেশী কুটীর–শিল্প হয়, শিল্প যত বিকেন্দ্রীকৃত হয়, মানুষের সুবিধা তত বেশী৷ এতে যে শুধু আর্থিক সামর্থ্যকে চারিদিকে
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নিয়ে যেভাবে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র পেশসহ যাবতীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়া আদালতের রায়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এর থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যথার্থ গণতন্ত্রের ওপর রাজনীতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বা কর্ত্রী ব্যষ্টিদের প্রকৃত আস্থা খুব একটা বেশী নেই৷ তাঁদের প্রায় সবারই লক্ষ্য ক্ষমতা লাভ৷ গণতন্ত্রের প্রতিঅগাধ বিশ্বাস বা শ্রদ্ধা তাঁদের নেই৷ আছে কেবল ছলে -বলে-কৌশলে গণতন্ত্রের কাঁধে চড়ে শীর্ষে আরোহণ করার প্রবল আগ্রহ৷
দুরন্ত কালবৈশাখী চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়ে বর্ষণেরঅঝোর ধারায় গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতিতে স্নিগ্দ পরশ ও শীতলতা আনে৷ একইভাবে নববর্ষও মানুষের মনের কোণে জমে থাকা পুরোনো বছরের গ্লানি, হতাশা, অশান্তিকে দূরে নিয়ে নবশক্তির সঞ্চার করে৷ ফেলে আসা বছরের সাফল্যগুলি মানুষকে দেয় নোতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার উদ্যম ও প্রেরণা আরভুল-ত্রুটি-অসাফল্যের লক্ষণ গুলোকে বিশ্লেষণ করে দুর্বলতার কারণগুলির সংশোধনের মাধ্যমে মানুষ গ্রহণ করেস ম্মুখ পানে অগ্রসরণের সংকল্প৷এই সংকল্পই রচনা করে নোতুন মাইল ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর ৷ তাই নববর্ষের শুভ সূচনার দিনটিকে মানুষ বরণ করে মঙ্গলময়ের চরণে প্রার্থনা ও ভক্তিরসের পবিত্রতায়৷ বর
বর্তমান বিশ্বে যতগুলি জীবিত ভাষা আছে, বাংলাভাষা তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ভাষা৷ আর এই প্রাধান্যের কারণঃ---
১) এই ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা
২) এই ভাষার গ্রহণীয় মানসিকতা
৩) এই ভাষার সমৃদ্ধ শব্দভান্ডার
৪) এই ভাষায় ললিত-মধুর গীতিধর্মীতা
৫) এই ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিখ্যাতকবি প্রতিভারজন্ম
৬) এই ভাষা আন্তর্জাতিকমাতৃভাষারমর্যাদা পাওয়া,
৭) এই ভাষা পৃথিবীর বৃহত্তম পঞ্চম জনগোষ্ঠীরমানুষেরমুখের ভাষা৷
তবে নোতুন মানুষ চাই যাঁরা জাগতিক বুদ্ধির পরিসরকে যুক্তি, বুদ্ধি দ্বারা ক্রমশঃ বিস্তারিত করবেন, প্রাণীন অসহায়ে আন্তরিক সেবা ও সমস্ত অপ্রাণীন সত্তার সাথেও সচেতন ব্যবহারে নিজের মনকে শুচিশুদ্ধ ভয়মুক্ত একাগ্র করবেন, সাথে সাথে ওই স্থির বিন্দুস্থ মানসিক শক্তিকে সাধনার মাধ্যমে বিস্তারিত চেতনায় রূপান্তরিত করে মানুষটি হয়ে যাবে বিশ্বরূপ৷ এমন মানুষের নেতৃত্বেই স্বপ্ণ পূরণের অন্য
টাটানগর ঃ ১৯৮৪ সালের ৫ই এপ্রিল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পূর্বসিংভূম জেলারপটমদা থানারভুলা গ্রামেরশ্মশানের নিকটে একজৈন মন্দিরের ধবংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি প্রাচীন বাংলা লিপি আবিষ্কার করেন, যা শ্রীহর্ষলিপিরও পুরোনো৷ এই লিপিরতিনি নাম দিয়েছেন ‘দালমা লিপি’, যেহেতু এই একই ধরণেরলিপি পাওয়া গেছে পশ্চিম রাঢ়েরদালমা পাহাড় ঘেরাবিভিন্ন নদী-উপত্যকায়৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর সুস্পষ্ট অভিমত, প্রাচীনবাংলা ভাষা লিখিত হয়েছিল ঠিক শ্রীহর্ষ লিপিতে নয়, শ্রীহর্ষেরই স্বগোত্রীয় কিন্তু প্রাচীনতর দালমা লিপিতে৷
গত ১৫ই এপ্রিল বাঙলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে গাইঘাটা ব্লকের নোরাদা গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সুভাষ বৈরাগীর গৃহপ্রাঙ্গণে সকাল ৬টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনানুষ্ঠানে গাইঘাটার ব্লক ও বনগাঁ ব্লকের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভাই ও বোনেরা যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর ‘কীর্ত্তন মাহাত্ম্য’-এর ওপর জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ কর্মব্রতা আচার্যা, শ্রীসন্তোষ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ৷ সকালে নগর কীর্ত্তনেরও আয়োজন করা হয়েছিল৷ এছাড়া একটি চিকিৎসা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়৷ এতে প্রায় ৭০ জন দুঃস্থ রোগীকে বিনাব্য
দিল্লী ঃ গত ১৬ই এপ্রিল পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে (পঞ্জাব) ‘শিক্ষা ও নব্যমানবতাবাদ বিষয়ে মহান্ দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের অবদানে’র ওপর এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় উপরিউক্ত বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখতেআনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপিকা ললিতা শর্র্ম ও আধ্যাপিকা নন্দিতা সিংএর উদ্যোগে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷