November 2018

এন. আর. সি-র মানে কি বাঙালী তাড়াবার  কৌশল?

হরিগোপাল দেবনাথ

এন.আর,সি  সর্বসাকুল্যে তিনটে মাত্র ইংরেজী শব্দের  মিলিত রূপ---ন্যাশ্যানাল রেজিষ্টার অব সিটিজেনস্৷ (বাংলা ভাষার এর তর্জমা করলে দাঁড়ায়---নাগরিকপঞ্জীকরণ৷) অর্থাৎ কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রে নাগরিকগণের সরকারী মতে বিধিবদ্ধ তালিকা৷ তাই, এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য দু’টো দিকই যথেষ্ট ওজনদার  বলারও অপেক্ষা  রাখে না৷  যে কোনো দেশ, রাজ্য বা রাষ্ট্রের পক্ষেই এর নিঁখুত হিসেব-রক্ষণের কাজটা অতি গুরুত্বপূর্ণ, অপরিহার্য তো বটেই৷  রাষ্ট্রের লোকসংখ্যা ও তার হ্রাস  বৃদ্ধি, গড়-পড়তা, আয় নির্র্ধরণ, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা  গ্রহণ, রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের  হিসেব-নিকেশ, উন্নতি-অবনতি ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ  করতে চাইলে  র

শোষণ করা চলবে না

আমি ইতোপূর্বেই বলেছি যে মানুষের মধ্যে যতটা সামর্থ্য রয়েছে মানুষ তার খুব অল্প অংশই কাজে লাগায়৷ লতে গেলে তার সামর্থ্যের শতকরা এক ভাগও প্রয়োগ করে না৷ আর সমাজ যাদের মহাপুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, দেখা যায় তারাও বড় জোর শতকরা দশভাগ সামর্থ্যের উপযোগ নেয় আর বাকী শতকরা নববই ভাগ অব্যবহৃত থেকেই যায়৷ সাধারণ ভাবে লতে গেলে, মানুষ তার সামর্থ্যের নববই ভাগই কাজে লাগায় না৷ স্থূল ব্যষ্টি যারা তারা তো তাদের অন্তর্নিহিত সামর্থ্যের অর্ধেকটা কেবল শুয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়৷ বাকি সামর্থ্যের খুব অল্প ভাগই সে প্রকৃত কাজে লাগায়৷

বাঙালী জাতির অস্তিত্বের লড়াই

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত ১লা নভেম্বর অসমের তিনসুকিয়ায় বাঙালী বিদ্বেষী এক জঙ্গীগোষ্ঠী পাঁচ জন নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালীকে চরম নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে৷ নিহতকরা গরীব খেটে খাওয়া বাঙালী৷ তারা কেবলমাত্র বাঙালী---এছাড়া এদের বিরুদ্ধে আর কোনরকম অভিযোগও ছিল না৷ এন আর সি, ডি ভোটার নিয়েও তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না৷ তবুও তাদের এমনই বর্বরভাবে হত্যা করা হ’ল!

আনন্দমার্গ---এক সর্বান্যুসূত দর্শন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সর্র্বন্যুস্যুত দর্শন বলতে কী বোঝায়? মানবসমাজের সর্বক্ষেত্রের সর্বপ্রকার সমস্যারই সুষ্ঠু সমাধান যে দর্শনে একসূত্রে গ্রথিত রয়েছে--সেই দর্শনকেই  বলা হয় সর্বান্যুসূত দর্শন৷

বর্তমানে মানবসমাজের বিভিন্ন সমস্যাকে বিচ্ছিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে সেগুলির সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এইভাবে বিভিন্ন দার্শনিক পৃথক পৃথকভাবে আধ্যাত্মিক দর্শন , অর্থনৈতিক দর্শন, রাষ্ট্রনৈতিক দর্শন, শিক্ষাদর্শন, শিল্প-সাহিত্যের দর্শন প্রভৃতি দর্শন দিয়েছেন৷

বারাসাতে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ মিছিল

বারাসাত ঃ গত ৩রা  নভেম্বর বারাসাতে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পক্ষ থেকে অসমিয়া সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে নিহত পাঁচ জন বাঙালীর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়৷ এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের পক্ষে শ্রীতারাপদ বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ, গৌতম মণ্ডল, কুমুদ দাশ, মিণ্টু বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার ও আরো অনেকে৷ মিছিল শেষে একটি পথসভায় কর্মীরা মিলিত হয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ও অসমের বাঙালী হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷ ভারতবর্ষের সমস্ত জায়গায় বাঙালীদের নিরাপত্তা যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ৷ স্থানীয় জনসাধারণ ও পথ চলতি মানুষজন এই প্র

আমরা বাঙালী কর্মী সম্মেলন

বণগাঁ ঃ গত ৪ঠা নভেম্বর বণগাঁতে আমরা বাঙালী দলের পক্ষে একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সম্মেলনে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সমস্যা ও তার আশু সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়৷ ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীতারাপদ বিশ্বাস৷ তিনি ‘আমরা বাঙালী’ দলের প্রতিটি কর্মীকে ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘আমরা বাঙালী’ দলের কী করণীয় সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন শ্রীবিশ্বাস৷ সম্মেলনে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সমস্ত কর্মীরা যোগদান করেন৷

বর্ত্তমান শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধানদের উপর ভয়ংকর মানসিক ও শারীরিক চাপ তাই প্রধান হওয়ার অনীহা

প্রভাত খাঁ

মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হতে শিক্ষাবিদ বিশেষ করে অধ্যাপকদের এতো অনীহা কেন এর উত্তর তো একটাই তা হলো অধ্যক্ষপদে গেলে ছাত্রছাত্রাদের বহুমকী তো অধ্যক্ষকেই সহ্য করতে হবে৷ কখনো কখনো সেই ছাত্র-ছাত্রাগণ দাবী আদায়ে অফিস ঘরে আটক করে রেখে তাঁকে জল পান করতে, এমনকি প্রাকৃতির ডাকে বাহিরে যেতেও দেয় না৷ শুধু তাই নয় বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণটা এতটা শিক্ষাক্ষেত্রের ওপর পড়েছে যার দরুণ সরকারী নির্দেশের তিলমাত্র এদিক ওদিক হলে অধ্যক্ষের চেয়ারও টলমল করতে পারে৷ শিক্ষাবিদ্গণ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাদান করেই তাঁদের পবিত্র কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাতে চান৷ কিন্তু যত দিন যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রগুলিতো রাজনৈতিক দলগুলোর ছেলে ধরার আঁত

সংক্ষেপে প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা হ’ল প্রথমতঃ সমাজের প্রতিটি মানুষের যুগানুসারে জীবনের নূ্যনতম চাহিদা পূরণের গ্যারাণ্ঢী দেওয়া৷ দ্বিতীয়তঃ সকলের নূ্যনতম চাহিদা মেটানোর পর গুণীদের মধ্যে গুণানুপাতে বণ্ঢন৷ তৃতীয়তঃ, নিম্নতম মানের ক্রমবৃদ্ধি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রকৃত সূচক৷ আর এর মধ্য দিয়ে সর্বনিম্নমান সর্বোচ্চ মানের ব্যবধান হ্রাস করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

বারাসাত ঃ গত ৩রা  নভেম্বর বারাসাতের আনন্দমার্গ সুকলে ৬ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সমস্ত আনন্দমার্গীরা ও ববহু সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ এছাড়া আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা উক্ত কীর্ত্তনানুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিতে একটি আধ্যাত্মিক পরিবেশ আনয়ন করেন৷ কীর্ত্তন সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত৷