December 2018

রাম ও নারায়ণ

একটা গল্প আছে৷ একবার হনুমানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, /আচ্ছা হনুমান, তুমি তো বড় ভক্ত৷ তুমি জান যে নারায়ণ ও রামের মধ্যে কোন মৌলিক পার্থক্য নেই, তবু তুমি সর্বদাই রামের নাম নাও, কদাপি ভুলেও নারায়ণের নাম নাও না৷ যদিও রাম ও নারায়ণ মূলগত ভাবে একই সত্তা, তবু তুমি এমনটি কর কেন?*

সামাজিক মূল্য ও মানবিক মৌল নীতি

পূর্ব প্রকাকশিতের পর

আমাদের বক্তব্য হ’ল, মানুষকে নীচ করে, মানবতাকে অবহেলা করে, তাকে কখনও শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নেওয়া যায় না৷ শাস্ত্র তৈরী করে মানুষ নিজের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার জন্যে৷ শাস্ত্র শাসন করবে নিশ্চয়ই, কিন্তু সে শাসন কখনও মানুষকে কবর দেবার জন্যে নয়৷ মানুষকে তার ন্ধন থেকে মুক্ত করে সবার উৎস সেই পরম সত্তার সাথে মিলিয়ে দেওয়াতেই শাস্ত্রের সার্থকতা৷ শাস্ত্র মানুষের টুঁটি টিপে হত্যা করবে, শুধু বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে জীবনের স্বাভাবিক গতিটুকুকে রুদ্ধ করে দেবে---মানুষের সমাজে তা কখনও সমর্থন করা যায় না৷

দান খয়রাত নয়, ক্রয় ক্ষমতা দান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহান্ দার্শনিক পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘প্রাউট’ দর্শনে বলা হয়েছে, সমাজের প্রতিটি মানুষের যা সর্বনিম্ন প্রয়োজন অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের গ্যারান্টী দেওয়া সবাইকার জন্যে করাই যে কোনো কল্যাণকামী সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য৷ তার মানে  কিন্তু সরাসরি প্রত্যেকের গৃহে অন্ন পৌঁছিয়ে দেওয়া বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছিয়ে দেওয়া সরকারের কর্তব্য নয়৷ আর তা করাটাও সমাজের পক্ষে ভাল নয়৷ প্রাউটে বলাই হয়েছে, প্রতিটি মানুষের সর্বনিম্ন প্রয়োজন মেটাবার দায়িত্ব সমাজের বা সরকারের৷ কিন্তু সরকার যদি এই দায়িত্বের প্রেরণায় প্রেষিত হয়ে প্রত্যেকের গৃহে অন্নপ্রেরণের ব্যবস্থা করে’ প্রত

সমাজে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষণ মুক্তির নোতুন আদর্শ গ্রহণ করতে হবে

প্রভাত খাঁ

মানবজীবনে যদি আদর্শ না থাকে তাহলে জীবন সার্থক হতে পারে না৷ মানুষ মননশীল উন্নত প্রাণী বিশেষ৷ সাধারণ ভোগ লালসার শিকার হয়ে যদি মানুষ চলে তাহলে মনুষ্যত্ব বলতে আর আদর্শবান বলতে যা বোঝায় তার ত্রিসীমানায় থাকাটা সম্ভব নয়৷ তাই বলা হয় ‘হাই থিঙ্কিং প্লেইন লিভিং’ হ’ল সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার মহৎ উপায় বা পথ নির্দেশনা৷ ভারত তাই ঘোষণা করেছে সুপ্রাচীন কালে ‘ভূমৈব সুখং নাল্পং সুখমস্তি’৷ ‘ভূমাকে লাভ করাই সুখ, সেটা ব্যতীত সুখ লাভ সম্ভব নয়’৷ এই ভূমা কী?

বুদ্ধিজীবীদের ভাবনায় প্রাউট

একর্ষি

বর্তমানে সমগ্র বিশ্বই মন্দার শিকার৷ কম–বেশী সব দেশেই তার প্রভাব পড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সকল রোগের মকরধ্বজ রূপে প্রাউট বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ করেছে৷ তাঁদের দৃষ্টিতে প্রাউটের অভিনবত্ব ও বিশেষত্ব নির্ণীত হয়েছে৷ অর্থনীতি সচেতন প্রতিটি মানুষই জানেন যে অর্থনীতি বিষয়টাই দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদন–বণ্ঢন–ভো ব্যবস্থার ওপর৷ বুদ্ধিজীবীরা লক্ষ্য করেছেন প্রাউট অর্থনীতিতে গোটা ব্যবস্থাপনার নিয়ামক ও সঞ্চালক সমবায় পদ্ধতি৷ প্রাউটের সমবায় পদ্ধতি প্রথাগত সমবায় থেকে স্বতন্ত্র৷ তাঁরা বলেছেন, সমবায় প্রাউট অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক৷ আরো লক্ষ্য করেছেন সমবায় অর্থনীতির মূল লক্ষ্য সর্বাধিক উপযোগ বা ভোগ ও সামূহিক কল্যাণ৷ অন্য

বাঙ্গালোর আনন্দমার্গের মহিলা আশ্রমে কম্বল বিতরণ

বাঙ্গালোর ১৮ই নবেম্বর ঃ আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে স্থানীয় দুঃস্থদের মধ্যে ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়৷ আশ্রমের প্রবীণা অবধূতিকা আনন্দসরিতা আচার্য্যা ও স্থানীয় মার্গের অনুগামীগণ যথা সর্বশ্রী ভুক্তিপ্রধান -কে জর , মিলন সুতপা, শর্মিষ্ঠা, মান্না, কৌশিক , আরো অনেকে মিলিতভাবে এই সেবা দান করেন৷ মার্গের ত্রান শাখার পক্ষ থেকে এই কল্যাণ মূলক কাজটি সম্পাদন করা হয়৷ উপস্থিত ব্যষ্টিদের মধ্যে দিদি আনন্দ সরিতা আচার্য্যা সমাজসেবামূলক সংঘটন আনন্দমার্গের সম্বন্ধে কিছু বক্তব্য রাখেন৷ সমবেত শোতৃবর্গ মার্গের আধ্যাত্মিক সাধনা , শিক্ষা ত্রান ও জনকল্যাণমুখী কাজের জন্যে, সারা পৃথিবীতে ব্যাপক প্রচারের সংবাদ শুনে তাঁরা অত্যন

শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ চাই

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

কর্ষক ঃ এমনিতে যাঁরা চাষবাস নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্যে সংস্কৃত ভাষায় বেশি প্রচলিত শব্দ দু’টি রয়েছে–কৃষীবল ও কর্ষক৷ ‘কর্ষক’ শব্দটি কৃষ ধাতু থেকে উৎপন্ন৷ যাঁরা এই কর্ষককে ‘কৃষক’ বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা না জেনেই এই ভুল করেছেন৷ আর যাঁরা আজও ‘কৃষক’ লেখেন তাঁরা ভুলকে ভুল না জেনেই লেখেন৷ আমরা ‘আকর্ষক’ ‘বিকর্ষক’ বলবার সময় ঠিক বলি কিন্তু কেন বুঝি না ‘কর্ষক’ বলবার সময় ভুল করে কৃষক বলে ফেলি৷

 

শান্তিপুরে মদ্যপানের বলি ১০

আবার চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হ’ল ১০ জনের৷ এবার নদীয়া জেলার হবিবপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরী পাড়ায় অসুস্থ অবস্থায় শাস্তিপুর ষ্টেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০ জন৷

কলকাতা বইমেলা ৩০শে জানুয়ারী

এবার কোলকাতা বইমেলা বসছে ৩০শে জানুয়ারী থেকে৷ এই আন্তর্জাতিক কোলকাতা পুস্তক মেলা চলবে ১০ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত৷ মেলার স্থান সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক৷ প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত চলবে৷ আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স এ্যাণ্ড বুক সেলার্স গিল্ড৷