December 2018

নকলের দলে কাসুন্দি, টম্যাটোর সসও

বনগাঁ ঃ গোপালনগর থানার সুভাষনগর এলাকায় পুলিশ সম্প্রতি হানা দিয়ে নকল কাসুন্দি ও নকল টম্যাটো সসের এক কারখানার সন্ধান পেয়েছে৷ নকল তেল, নকল ঘিয়ের কারখানার সন্ধান আগেই পাওয়া গিয়েছিল৷ এখন নকল  কাসুন্দি ও টম্যাটো সসের কারখানার সন্ধান মিলল৷

গাঁদাল পাতা

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ ঙ্মলৌকিক সংস্কৃতে বলা হয় গন্ধভাদালী ক্ষ৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷

কলকাতার কাহিনী

ইংরেজরা যখন এই দেশ দখল করেন তখন কলকাতা ছিল সুন্দরবনের উত্তর প্রত্যন্ত অংশ৷ মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে কলকাতাকে বাঁচানোর জন্যে ইংরেজরা কলকাতার উত্তর–পূর্ব দিকে একটা খাল কেটেছিলেন যা ‘মারাঠা ডিচ্’ নামে পরিচিত৷ এই মারাঠা ডিচের সঙ্গে টলী সাহেব আদি গঙ্গাকে সংযুক্ত করে দেন৷ প্রাচীনকালে এই আদি গঙ্গা ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ ও সে বহে চলত বারুইপুরের মহাপ্রভুডাঙ্গার পাশ দিয়ে ছত্রশালের দিকে৷ মহাপ্রভু খড়দায় ভাগীরথীকে ডান হাতে রেখে বারুইপুরে বর্তমান মহাপ্রভুডাঙ্গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছত্রশালের কাছে গঙ্গা পার হয়ে পৌঁছুতেন শ্যামপুর৷ তারপর গোপীবল্লভপুরের পথ ধরে যেতেন পুরীর দিকে৷ এই টলী সাহেবের নামেই খালের এই

প্রার্থনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

হে বিশ্বপিতা! তোমারই প্রিয় সন্তান সবে

বিষাদগ্রস্ত, পৃথিবী শঙ্কিত লাঞ্ছিতের আর্তরবে

একদিকে দুর্বিনীত মদগর্বীর বিষাক্ত ফনা

অন্যদিকে বঞ্চিত নিপীড়িতের করুণ যন্ত্রণা

রুদ্ধ আজ জীবন প্রবাহের সাবলীল গতি৷

তোমার চরণে তাই জানাই মিনতি---

দাও সে’ জ্ঞান যা মনকে উদার করে

মোহান্ধ চিত্ত যত দাও প্রজ্ঞার আলোকে ভরে’৷

হৃদয়ে দাও প্রেম যার দুরন্ত প্লাবনে---

মুছে যাক দ্বন্দ্ব-কালিমা, হানাহানি সবখানে৷

সেই শক্তি দাও যার অমোঘ প্রচণ্ডতায়

রক্ত-মোক্ষকেরা নেবে মৃত্যু-গহ্বরে ঠাঁই৷

তোমার অনন্ত আশীষ-সুধার অমিয় পরশে

নাতুন দিনের স্বপ্ণ

সুখরঞ্জন সরকার

নোতুন যুগ এসে গেছে, এলো নতুন দিন,

নোতুন দিনের স্বপ্ণে আমার  মন হ’ল রঙিন৷

নোতুন দিনে মনটাকে তাই নোতুন করে নিয়ে,

মিশে যাব সবার মনে ভালোবাসা দিয়ে৷

মনের মাঝে উঠছে বেজে, নোতুন নোতুন সুর,

এই সুরেতে মনের বিষাদ করব আমি দূর৷

সবার সাথে মিলে মিশে বাঁধব সুখের ঘর,

সবাই আমার হবে আপন থাকবে না কেউ পর৷

হাসিমুখে সবার সাথে করব আলাপন,

করব নাকো কারো সাথে অসদ্ আচরণ৷

সুখ–দুঃখের সমভাগী হব সবার সনে,

হিংসা দ্বেষের ঘৃণ্য বাসা বাঁধবো নাকো মনে৷

ধর্ম বর্ণের বিঘ্ণ বিভেদ ভুলে যাবে মন,

তোমায় আমি ভালবাসি

রামদাস বিশ্বাস

আমার গানের সুরে নীল–নীলিমায় দূরে

তোমার গীতির ধারা বয়ে যায়৷

তোমার প্রেমের স্রোতে অনন্ত এই পথে

আমার জীবন যায় ভেসে যায়৷৷

গান শোণাতে বাজাও বাঁশী

মধুর চেয়েও মিষ্টি হাসি

হাসো তুমি কাছে–দূরে বিশ্বভূবন ঘুরে ঘুরে

দোলাও হূদয় মধুর দ্যোতনায়৷৷

তোমায় আমি ভালবাসি

ভালবাসি ভালবাসি

আমার মুখে তোমার ভাষা আমার বুকে

তোমার আশ

বিশ্বকাপ অভিযান দুরন্তভাবেই শুরু করল ভারত

গত বুধবার ওড়িশার কলিঙ্গ ষ্টেডিয়ামে ‘গ্রুপ সি’-র ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫-০-তে উড়িয়ে দিল হরেন্দ্রসিং-এর হকি টীম ইণ্ডিয়া৷ ভারতের হয়ে জোড়া গোল করলেন সিমরজিৎ সিং, বাকি গোলদাতারা হলেন, মনদীপ সিং, আকাশদীপ সিং ও ললিত উপাধ্যায়৷

ম্যাচের পর ভারতীয় কোচ হরেন্দ্র সিং দলের খেলার প্রশংসা করলেন৷ আকাশদীপ  তাঁকে ভরসা দিয়েছে৷ বললেন---ছেলেটা যথাযথভাবে লিঙ্কম্যানের দায়িত্ব পালন করেছে৷ গোল করে ও গোল করিয়ে লিঙ্কম্যান হিসেবে বিধবংসী মেজাজে খেলল আকাশদীপ৷’’ বছর ১৫ আগে যে খেলাটা ধনরাজ পিল্লাই খেলত সেই রকমই আকাশ আজ খেলার চেষ্টা করেছে ও অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে৷

দলে ফেরার লড়াইয়ে আবার রঞ্জির ময়দানে যুবরাজ

দিন দলের বাইরে থাকার ফলে সকলেই ভুলতে বসেছি৷ তিনি আর কেউ নন যুবরাজ সিং৷ গত ১৭ মাস তিনি ভারতীয় দলের বাইরে, ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার তিনি৷ কিন্তু এখন জাতীয় দলে তাঁর কোন স্থান রয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷ ঘরোয়া একদিবসীয় টুর্র্ণমেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে খুব খারাপ না খেললেও রাজ্য দলে জায়গা হারাতে হয়েছে তরুণ রক্তের কাছে৷ তবুও লড়াই তো তাঁর রক্তে৷ তাই আরও একবার জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্যে নিজের রাজ্য দল পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছেন যুবরাজ সিংহ৷

এবার শুরু বিজেপির ‘বুরে দিন’

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি ভারতীয় রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় খবর৷ সমস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত হ’ল এই বিধানসভা নির্বাচনগুলি হ’ল আগামী ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল অর্থাৎ এগুলিতে বিজেপির ভরাডুবি মানেই হ’ল ভারতের জনসাধারণ আর মোদী ম্যাজিকে ভুলবার নয়৷ হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে ২০১৪-তে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, এখন সেই হিন্দুত্ববাদের সেণ্টিমেণ্টের অস্ত্র এখন ভোঁতা হয়ে গেছে৷ তার ওপর বিজেপির দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতগুলোই ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে৷ বিজেপির প্রতিশ্রুতি ‘অচ্ছে দিন’ আসেনি, বরং এসেছে ক্রমশঃ ‘বুরে দিন’৷ তাই জনগণও