December 2018

নোটায় বোট সাড়ে ৮ লক্ষ

  এবারের  ৫ রাজ্যের  বিধানসভা নির্বাচনে  ‘নোটায়  বোট পড়েছে ৮.৪৪ লক্ষ৷ অর্র্থৎ  ৮.৪৪ লক্ষ  বোটদাতার  অভিমত  ‘না, আমরা এঁদের  কাউকে  পছন্দ  করছি না’৷  বর্তমানে  রাজনীতির ময়দানে  নেমে  অধিকাংশ  নেতা-নেত্রী জনগণকে ভুলে  নিজেদের  স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত থাকেন৷ তাই  দেখা যায়, ক্রমে  জনগণের  অর্থনৈতিক  অবস্থা খারাপ  হতে থাকলেও  ওই সব নেতা -নেত্রীদের   আয় বিপুল অঙ্কে বাড়তে থাকে ৷ এই  কারণে  রাজনীতির প্রতি মানুষ  ক্রমশঃ বীতশ্রদ্ধ  হয়ে উঠছে, প্রকৃতপক্ষে  কঠোর  নীতিবাদী, সেবাপরায়ণ মানুষই জনপ্রতিনিধি হওয়ার  যোগ্য৷  সেই যোগ্যতার  অত্যন্ত অভাব  পরিলক্ষিত হচ্ছে  বর্তমান রাজনীতিতে৷ এই কারণে  ‘নোটা’ বোটের  স

মহারাষ্ট্রে ২ জন চাষীর আত্মহত্যা

মহারাষ্ট্রের  নাসিকে  গত ৮,৯ই ডিসেম্বর  ২ জন  পেঁয়াজ  চাষী তাঁদের  ফসলের  পর্র্যপ্ত দাম না পাওয়ার  ফলে  হতাশ হয়ে আত্মহত্যা  করেছেন৷  চাষের  জন্যে  তাঁরা  ব্যাঙ্ক থেকে বড়  অংকের  ঋণ নিয়েছিলেন৷  কিন্তু  ভাল ফলনের  জন্যেই  তাঁরা  তাঁদের  ফসলের  ভাল  দাম  পেলেন না৷  এ অবস্থায়  ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ  কীভাবে  করবেন --- এই  দুশ্চিন্তায়  হতাশ  হয়ে  তাঁরা  একজন  চাষের ক্ষেতেই গলায় দড়ি  দিয়ে  অন্যজন কীটনাশক  খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্ণর  বদল

গত ১০ই ডিসেম্বর হঠাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্ণর  পদ থেকে উর্জিত  প্যাটেল  ইস্তফা দেন৷  তথ্যাভিজ্ঞ মহলের  ধারণা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির  সঙ্গে সংঘাতের জেরেই  তিনি পদত্যাগ  করেছেন৷ এই অবস্থায়  রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  ২৫তম  গভর্ণর  পদে  নিয়োগ করা হল  শক্তিকান্ত দাসকে ৷  ১১ তারিখে  কেন্দ্রীয়  সরকার  এক বিজ্ঞপ্তি  জারী করে  শক্তিকান্ত  দাসকে  গভর্ণর  পদে নিযুক্ত  করার  কথা  জানালেন৷

অন্যায়ের বিরুদ্ধে  একটি প্রতিবাদ

গত ৬ই ডিসেম্বর  অমিতা সেনগুপ্ত তাঁর স্বামী ও পুত্র সহ  গাড়ীতে  নিউ মার্কেটে  গিয়েছিলেন৷ মেট্রোন ষ্ট্রীটে  তাঁর  গাড়ীটি পার্ক করে তাঁরা  মার্কেটের  মধ্যে  যান৷ কিছুক্ষণ পর তাঁদের  ড্রাইভার  কাঁদতে কাঁদতে  ফোন  করে বলেন, তাঁকে  মারধোর  করা হচ্ছে৷ তাঁরা  তাড়াতাড়ি  গাড়ীর  কাছে  আসেন৷  এসে জানতে পারেন , ওখানকার  একটি  যুবক ছেলে  ড্রাইভারকে  জিজ্ঞেস করে এখানে  গাড়ীটি কতক্ষণ থাকবে৷ ড্রাইভার বলেন, আমি বলতে  পারছি  না, গাড়ীর মালিক  মার্কেটের  মধ্যে গিয়েছেন,  মিনিট  ৪/৫ এর মধ্যেই  এসে যাবেন৷ তখন  ছেলেটি  ড্রাইভারকে মারধোর  করে৷  সবচেয়ে বড় কথা  তাকে বলা  হয়  এখানে বাঙালীদের  ছিঁড়ে  ফেলা  হবে, কুচি কুচ

রামলীলা ময়দানে কর্ষক সমাবেশ ঐতিহাসিক ঃ তাদের দাবী --- রামমন্দির নয় কৃষিঋণ মুকুব চাই

মুশাফির

ভারত কৃষিপ্রধান দেশ৷ দীর্ঘ ৭১ বছরে এদেশের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি কৃষির উন্নতি কতটুকু করেছে? --- যার জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি গর্ববোধ করতে পারে? অদ্যাবধি উর্বর কৃষিজমির অধিকাংশ রাস্তা তৈরী করতে, শিল্প গড়তে ব্যবহার করেছে৷ বাড়ীঘর হয়েছে৷ ভূমি সংস্কার তেমন করেছে বলে মনে হয় না৷ চাষের উন্নতির জন্যে নূ্যনতম কাজগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার করেনি৷ অদ্যাবধি চাষাবাদের জন্যে যে জলটুকু প্রয়োজন তা অধিকাংশ চাষীই পায় না৷ আজও দেশের নদনদীগুলি, খাল-বিলের তেমন সংস্কার হয়নি৷ কিন্তু খরচ হয়েছে অনেক৷ গঙ্গা নাকি জাতীয় নদী?

সাফল্যের গুপ্ত রহস্য

অতীতে কয়েকবারই আমি তোমাদের একটা গল্প শুণিয়েছিলুম হর–পার্বতী সংবাদ থেকে৷ গল্প আছে, একবার পার্বতী শিবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “সাফল্য লাভের রহস্য কী”? উত্তরে শিব বলেছিলেন, সাফল্য লাভের সাতটি গোপন রহস্য আছে৷

‘ফলিষ্যতীতি বিশ্বাসঃ

               সিদ্ধের্প্রথমলক্ষণ৷

দ্বিতীয়ং শ্রদ্ধয়া যুক্তং

               তৃতীয়ং গুরুপূজনম্৷৷

চতুর্থো সমতাভাবো

               পঞ্চমেন্দ্রিয়নিগ্রহ৷

ষষ্ঠঞ্চ প্রমিতাহারো

               সপ্তমং নৈব বিদ্যতে৷৷  

(শিবসংহিতা)

কর্ষকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোন পথে?

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত ৩০শে নবেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে পার্র্লমেন্ট ষ্ট্রীট পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ কর্ষক বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়ে ঋণমুকুব, ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রভৃতির দাবী জানায়৷ অল ইণ্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ উত্তর প্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু , কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য থেকে কর্ষকরা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ বস্তুতঃ সারা বিশ্বেই কর্ষকরা বিপন্ন৷ ভারতীয় কর্ষকদের অবস্থা আরও খারাপ৷ ক্ষুদ্র-চাষীদের অবস্থা সর্র্বধিক মর্মান্তিক৷ খরা, বন্যা, ঋণের প্রভৃতি বোঝা, ফসলের ওপর রোগাক্রমণ বিভিন্ন কারণে ফসল নষ্ট হয়৷ এই

‘ধর্ম’ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হোক

সত্যসাধন সরকার

বর্তমানে বিজেপি ও তার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ধর্ম’কে মাধ্যম করে আপন আপন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে৷ বিজেপি তো শুরু থেকে ধর্মের সেন্টিমেন্টকে প্রধান হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে নেমে বর্তমানে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করেছে৷ এখন সামনের ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনী যুদ্ধে জয়লাভের জন্যেও এখন অন্যান্য সমস্ত অস্ত্র ছেড়ে ধর্মকেই একমাত্র হাতিয়ার করে নিয়েছে৷ বিজেপি’র কাছে এখন বোধ হয় আর এমন কিছু ইস্যু নেই যাতে নিজেদের কৃতিত্ব বা সাফল্য দেখিয়ে জনগণের দরবারে পুনরায় বোট ভিক্ষা করে৷ ‘আচ্ছে দিন’ও এল না, সুইসব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকাও ফেরানো গেল না, গরীব জনসাধারণের ব্যাঙ্ক একজোট ১

প্রাউটের কৃষিনীতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কৃষি অর্থনীতির ভিত্তি৷ কৃষি গোটা সমাজেরও ভিত্তি৷ একটা বহুতল বাড়ীর ভিত্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে তা ভেঙ্গে পড়ে৷ তেমনি কৃষি ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হলে সমগ্র সমাজের বির্পযয় দেখা দেবে৷ বর্তমানে ঠিক হচ্ছেও তাই৷ এ অবস্থায় উচিত কৃষিকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো৷ বলা হয়, That which is wrong in principle, must be wrong in detail.

মূলনীতিতে ত্রুটি থাকলে, সমস্ত ব্যবস্থাটাই ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাবে ও পরিশেষে তা ধবংস ডেকে আনবে৷ তাই মূলনীতির দিকে আগে দৃষ্টি দেওয়া উচিত৷