December 2018

প্রাউটের প্রকরণ ও প্রস্তাবনা

ড. দিলীপ হালদার, (অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)

প্রোগ্রেসিব ইয়ূটিলাইজেশন্ থিওরি Progressive Utilization Theory) কথাটাকেই সংক্ষেপে প্রাউট(PROUT) বলা হয়৷ প্রাউট প্রভাতরঞ্জন সরকারের একটি মৌলিক আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব৷ বাংলায় প্রাউটকে তিনি প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বলেছেন৷ এর উদ্দেশ্য হ’ল মানুষের জাগতিক দুঃখ-কষ্ট লাঘব করে পরমার্থ লাভের সন্ধান দেওয়া৷Progressive-এরPRO, Utilization-এরU ওTheory-রT এই তিনটি অংশ মিলে প্রাউট কথাটার সৃষ্টি৷ প্রতিটি অংশেরই আলাদা-আলাদা মানে আছে৷

ছিন্নভিন্ন  মানব সমাজকে  একসূত্রে  বাঁধতে  আজ একান্ত জরুরী আধ্যাত্মিক নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

যে যাই বলুক  ও চিন্তা  করুক যা বাস্তব  সত্য তা হলো মানুষ  সমাজবদ্ধ প্রাণী৷ এই কারণেই  প্রাচীন ভারতবর্ষের  সমাজবেত্তাগণ ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্রকে  চলার পথে  ধ্রুবতারা বলেই  মান্যতা দিয়েছেন৷

বাংলা বানান সংস্কার

ন্যাজ

অনেকে ‘ন্যাজ’ না বলে বলে ‘লেজ’ বা ‘ল্যাজ’৷ কিন্তু সেটা ঠিক নয়৷ সংস্কৃত ‘ন্যুব্জ’ থেকে ভাষাতত্ত্বের বিশেষ নিয়মে ‘ন্যাজ’ হতে পারে, ‘লেজ’ বা ‘ল্যাজ’ হতে পারে না৷ কেননা মূল শব্দের বানানে দন্ত্য ‘ন’ রয়েছে৷ তার বিবর্ত্তিত রূপে ‘ল’ আসবে কোত্থেকে? শব্দটা ‘লাঙ্গুল’ থেকেও আসে নি কারণ লাঙ্গুল–এ ‘জ’ অক্ষরটি নেই৷ এমনকি ‘দ’–ও নেই৷ অনেক সময় ‘দ’ বিবর্ত্তিত হয়ে ‘জ’ হয়ে যায়৷ ‘লাঙ্গুল’–এর তদ্ভব বাংলা শব্দ ‘নেঙ্গুন’৷ এই শব্দটি আমি বীরভূমের গ্রামে শুণেছি.......একটি ছড়ায় ঃ ‘‘ছুতোরে কাঠ কাটে/বগাতে নেঙ্গুন নাড়ে৷’’

জ্যোতিঃ

জিএসটি’র  হার কমানো হবে

৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপি জোর ধাক্কা  খাওয়ায় এবার  জনগণের হৃদয় জয় করার  জন্যে  নোতুন ষ্ট্র্যাটেজি  নিয়েছে৷ সেই  অনুসারে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি জানিয়েছেন জি.এস.টি’র হার কমানো হবে৷  মোদিজীর ঘোষণা আগামী লোকসভা নির্বাচনের  আগে  আমজনতাকে স্বস্তি দিতে ৯৯ শতাংশ  পণ্যসামগ্রীতে জি.এস.টি’র হার  ১৮ শতাংশের  নীচে  নাবিয়ে  আনা হবে৷ বর্তমানে  বহুপণ্যে  জি.এস.টি’র হার  ২৮ শতাংশ  পর্যন্ত  আছে , এগুলিতে  জি.এস.টির  হার  ১৮ শতাংশের  নীচে নাবিয়ে আনা হবে৷

প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অরুণ ভাদুড়ি পরলোকে

খ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অরুণ ভাদুড়ি গত ১৭ই ডিসেম্বর এক বেসরকারী নার্সিংহোমে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর৷ ২০১৪ সালে তিনি রাজ্যের ‘বঙ্গ বিভূষণ’ সম্মান লাভ করেন৷ এ.টি. কাননের ছাত্র মহম্মদ আবু দায়ুদের কাছে তাঁর সঙ্গীত শিক্ষায় হাতে খড়ি৷ মহম্মদ নাসিরুদ্দিন খান ও পরবর্তীকালে ওস্তাদ ইসতিয়াক হোসেন খান ও পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছেও তিনি সঙ্গীত শিক্ষার তালিম নিয়েছেন৷

তিনি ছিলেন আকাশবাণী ও দূরদর্শনের নিয়মিত শিল্পী৷ বিশ্বের নানান্ প্রান্তে তিনি অনুষ্ঠান করে সঙ্গীত অনুরাগীদের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী প্রাউট-প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ মেদিনীপুরে কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ সুকলে আয়োজিত প্রাউট-প্রশিক্ষণ শিবিরে সারা রাজ্য থেকে ও পাশ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহার, অসম ও ত্রিপুরা থেকে বহু ছাত্র-যুবা ও বুদ্ধিজীবী অংশগ্রহণ করেন৷

হৃদ্রোগ (হার্ট ডিজিজ)

লক্ষণ ঃ বুকের মধ্যে জোর শব্দ হওয়া, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট বোধ হওয়া, হাত পা থর থর করে কাঁপা প্রভৃতি৷

কারণ ঃ হৃদরোগের পেছনে অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) পাকস্থলীকে যাঁরা সব সময় খুব বেশী ভারাক্রান্ত করে রাখেন, তাঁদের পাকস্থলীতে অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালনের আবশ্যকতা দেখা দেয় ও ওই রক্ত যুগিয়ে চলবার জন্যে হৃদ্যন্ত্রকে অত্যধিক পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে তা’ দুর্বল হয়ে’ পড়ে৷

বেদব্যাস

‘কৃষ্ণ’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল মহর্ষি বেদব্যাস৷ মহর্ষি বেদব্যাস প্রয়াগে গঙ্গা–যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে যমুনা থেকে উত্থিত একটি কৃষ্ণ দ্বীপে জালিক–কৈবর্ত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ যমুনা নদীর নিকটস্থ মৃত্তিকা হ’ল কৃষ্ণ কর্পাস মৃত্তিকা (ব্ল্যাক কটন সয়েল)৷ এই জন্যে যমুনার জলকেও কালো রঙের বলে মনে হয়৷ যমুনার যে চরটিতে মহর্ষি ব্যাস জন্ম গ্রহণ করেন সেটিরও ছিল কৃষ্ণমৃত্তিকা৷ ভারতের ইতিহাসে ব্যাস নামে কয়েক জনই খ্যাতনামা পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন (উত্তর মীমাংসার বাদরায়ণ ব্যাস)৷ তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্যে এঁকে বলা হত কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস অর্থাৎ কালো রঙের দ্বীপের অধিবাসী ব্যাস৷ এই কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস মহাভার

ছুটে যায়

জয়া সাহা

মানুষ জীবনে লক্ষ্য হারিয়ে

টাল–মাটাল পায়ে এগিয়ে চলেছে,

তাই তো কোথাও ভূমিকম্প, কোথাও সুনামি,

কোথাও খরা, আবার কোথাও বন্যা৷

মারা–মারি, কাড়াকাড়ি, সন্ত্রাস, জঙ্গিহানা

দূষণের জ্বালায় বাতাস করছে হাঁসফাঁস৷

সব কিছুর মাঝেও একটা উজ্জ্বল আলো

তোমায়–আমায় হাতছানি দিচ্ছে

যেন বলছে তাঁর পানে ছুটে চলাই

জীবনের লক্ষ্য, জীবনের গতি৷

হে আলোর প্রতিভূ, আলোর দিশারী

তোমারে জানাই মোর শত–শত প্রণতি৷

অস্থির মন যায় না যেতে তোমাপানে

ছুটে চলে অন্য কোথায় অন্য কোন খানে৷

আমারে রেখো প্রভু তোমার স্মরণে

পরম গন্তব্যে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবনের গাড়িটা ছুটছে দুরন্ত গতিতে

অমানিশার বুক চিরে লক্ষ্যের পানে৷

আমরা, যাত্রীর দল, ঘুমন্ত বা জাগ্রত

নূতন প্রভাতের প্রতীক্ষারত৷

ধীরে ধীরে সরে যায় রাতের কালিমা

আসে পূবের আকাশে স্নিগ্দ লালিমা

কুঞ্জে কুঞ্জে ধবনিত বিহগের কলরব৷

দূরের দিক্চক্রবাল ছঁুয়ে

শর্বরীর যত গ্লানি ধুয়ে

ফুটে ওঠে নবারুণের প্রথম আলোকচ্ছটা৷

যখন মানব সমাজ ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত

দাম্ভিক পাষণ্ডের সর্বগ্রাসী বীভৎস নৃত্য

চেতনার সমস্ত  পথ করে রুদ্ধ,

দুর্বৃত্তের নির্মম অত্যাচারে ওঠে মানুষের নাভিশ্বাস