যোগ ও তন্ত্র
ড্ড পূর্ব প্রকাশিতের পর
ড্ড পূর্ব প্রকাশিতের পর
শিল্পোন্নয়ন ঃ
১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকণ্ঠ’ দিবস৷ আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন৷ আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ঘটনা৷ পটনার বাঁকিপুর সেন্ড্রাল জেলে মিথ্যা অভিযোগে বন্দী মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূত্তিজীক্ হত্যার উদ্দেশ্যে ওষুধের নামে প্রাণঘাতী মারাত্মক বিষ প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু মার্গগুরুদেব সেই বিষকে আত্মস্থ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে দেন৷
মার্গগুরুদেব এই বিষ প্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন৷ সরকার তাঁর দাবীতে কর্ণপাত করেনি৷ এরপর ১লা এপ্রিল (১৯৭৩) তিনি এই দাবীতে অমরণ অনশন শুরু করেন৷ এই ঐতিহাসিক অনশন চলেছিল পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন৷
ভারতের বর্ত্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আর মাত্র কয়েক মাস আয়ু আছে কারণ ২০১৯ এর মাঝামাঝি পাঁচবছর পূর্ণ হতে চলেছে৷ এই সরকারের শেষ ‘অন্তবর্তী বাজেট’ লোকসভায় পেশ হয়েছে৷ কিন্তু এই বাজেট-এর আকার-প্রকার কিয়েক মাসের জন্য নয়৷ এটা দেখে মনে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বাজেট৷ ২০১৯-২০২০ সালের বাজেট৷ বাজেট পেশ করা উচিত ছিল কয়েক মাসের জন্য কাজ চালাতে৷ নির্বাচনের পর যে সরকার আসবেন তারা পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন৷ কিন্তু বিজেপি সরকার প্রথা ভেঙ্গেছেন নির্লজ্জভাবে নির্বাচনী চমক দিতে৷
‘‘বাঙলা ও বাঙালী’’র নিজস্ব সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা লোকসভা ও বিধানসভায় উপস্থাপন করলে তো বিষয়গুলোর দ্রুত ও যথার্থ সমাধান হতে পারতো৷ তবে কেন তারা সরব হন না?’’-আমার ইতোপূর্বে লেখা এক প্রবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রদ্ধেয় গোবিন্দ-দার উক্ত জিজ্ঞাসার উত্তরে আমার এই প্রবন্ধের অবতারণা৷ প্রশ্ণ খুবই স্বাভাবিক হলেও উত্তরটা নিয়ে হয়তো মতানৈক্য থাকতে পারে৷ তবে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ লব্ধ অভিজ্ঞতার নিরিখে আমার এ মূল্যায়ন৷
গত ১,২,ও ৩ ফেব্রুয়ারী আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ এই সেমিনারের ‘আনন্দমার্গ এক বিপ্লব’-এর ওপর আলোকপাত করেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ ‘যোগ, তন্ত্র ও কেবলাভক্তি’র ওপর আলোচনা করেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত, ‘প্রমা’ ও ‘গ্লোবালাইজেশন’-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷
১,২,৩ ফেব্রুয়ারী অসমের শিলচরে (রংপুর) আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানে আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ প্রাউটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রাউটের প্রয়োগ ভৌমিক দিক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাউটের নীতি হ’ল আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা৷ তিনি বলেন, প্রতিটি অর্থনৈতিক ইয়ূনিট বা অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শোষণমুক্ত করেই বিশ্বৈকতাবাদ তথা বিশ্বরাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে৷ তিনি বলেন, বর্তমান ধণতান্ত্রিক দুনিয়ায় যে ‘গ্লোবালাইজেশন’ বা ‘বিশ্বায়নের’ কথা বলা হয় তা হ’ল শোষণের বিশ্বায়ন৷ প্রাউট চায় শো
গত ২৬শে জানুয়ারী পরিতোষ সাউয়ের ধর্মপত্নী শ্রীমতী করুণাবালা সাউ (৭২) দীপা কেশিয়াড়ীতে (পশ্চিম মেদিনীপুর) তাঁর বাসভবনে পরলোকে গমন করেন৷
তিনি নিঃসন্তান ছিলেন৷ গত ৫ই ফেব্রুয়ারী তাঁর বাসভবনে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠান শেষে তিনি আগ্রহী সুধীবৃন্দের মধ্যে আনন্দমার্গের এই বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷
ভেষজ প্রলেপ
কিন্তু মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান এই উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সক্ষ জিনিসকে দাঁতে চিক্ষিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷
ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷
বটিকা
খস আত্মন্ জন্ ড ঞ্চ খসাত্মজ৷ ‘খসাত্মজ’ শব্দের অর্থ রাক্ষসীপু––সে স্বয়ং রাক্ষস নাও হতে পারে৷ পুরাণে এই ধরনের কাহিনীও অনেক আছে৷ রাক্ষসী মাতার গর্ভে জন্মেছে উন্নত বুদ্ধির মানুষ বা দেবতা৷ কর্কটী রাক্ষসীর স্বামী অনুভসেন ছিলেন মানব ও রাজা৷ কর্কটী রাক্ষসী কর্কট অর্থাৎ ক্যান্সারের ঔষধ আবিষ্কার করেছিলেন৷ রাক্ষসীর পু– হলেও সুতনুক রাক্ষস ছিলেন না৷ তবু তাঁকে ‘খসাত্মজ’ বলা অবশ্যই চলবে৷ আসলে শাস্ত্রে ‘আত্মজ’ বলতে বোঝায় প্রথম সন্তানকে (পু– বা কন্যা)৷ অন্যান্য সন্তানকে ‘আত্মজ’ না বলে বলা হয় ‘কামজ’৷ এক্ষেত্রে দুঃখের সঙ্গেই বলতে হচ্ছে যে কর্কটী রাক্ষসীর আবিস্কৃত কর্কট রোগের (cancer) ঔষধ আজ বিস্মৃতির অন্তর