February 2019
‘‘২১শে ফেব্রুয়ারী’’- তুমি এসো বারবার
একুশ ফেব্রুয়ারী ক্যালেণ্ডারের পাতায় একটি খোপ কাটা দিনের পরিচিতি নয়, ২১শে ফেব্রুয়ারী হলো বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে সংগ্রামের এক অগ্ণিক্ষরা ইতিহাস, একটা আদর্শ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্মবলিদানের মূর্ত্ত প্রতীক৷ এই দিনটিকে স্মরণ করলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজার হাজার মুষ্টিবদ্ধ হাত, দৃঢ়প্রত্যয়ী মুখ আর মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দুরন্ত সংগ্রামে সর্বস্ব পণ করা বাঙালীর রণহুঙ্কার৷ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার নামে অনৈতিক, অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিকতার নিদর্শন রূপে কেটে দেওয়া অখণ্ড বাঙলার পূর্বাংশ ও যাকে অন্যায়ভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল---তার অধিবাসী বাঙালীদে
- Read more about ‘‘২১শে ফেব্রুয়ারী’’- তুমি এসো বারবার
- Log in to post comments
যোগ ও তন্ত্র
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
প্রাউটের অর্থনীতি–ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
বিকেন্দ্রিত সামাজিক–অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অতি সহজেই কৃষি ও শিল্পের আধুনিকীকরণ করা যায় ও তার উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারও সহজে পাওয়া যায়৷ এইভাবে যদি সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলগুলি আপন আপন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায় তাহলে বিভিন্ন অঞ্চলের মাথা পিছু আয়–বৈষম্য হ্রাস পাবে ও অনুন্নত অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাকে উন্নত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমপর্যায়ে আনা যাবে৷ প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ভোগ করবে৷ যখন প্রত্যেকটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে তখন সমস্ত দেশই অতি দ্রুত অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে৷
‘বাংলাকে ভালবাসি’
আবার আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷
- Read more about ‘বাংলাকে ভালবাসি’
- Log in to post comments
বিদ্যার্থী ও বিদ্যা সাধনা
সরস্বতী পূজা হয়ে গেল৷ বিদ্যার্থীরা ঘটা করে সরস্বতী পূজো করল৷ দু’দিন ধরে আনন্দ উৎসব করলো, পুষ্পাঞ্জলি দিল৷ আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রারা যদি ভেবে থাকে, ভক্তিভরে সরস্বতী পূজা করলুম---আর পাশের কোন চিন্তা নেই, তাহলে কিন্তু মস্ত ভুল হবে৷ দেখো যারা সরস্বতী পূজা করে না বা সরস্বতী দেবীকে মানেও না বা সরস্বতী দেবীর কথা জানেও না--- যেমন অন্যান্য মতে বিশ্বাসীরা তাঁরা কেউ বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই৷ পাশ্চাত্ত্যের যে বড় বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক,চিন্তাবিদ, তাঁরাতো আর সরস্বতী পূজা করেন না, কিন্তু বড় বড় বিদ্বান হতে পেরেছেন৷ আর যারা দিবারাত্রি সরস্বতীকে প্রণাম করে অথচ বিদ্যাচর্র্চয় যাদের নিষ্ঠা নেই, তাঁরা কিন্ত
- Read more about বিদ্যার্থী ও বিদ্যা সাধনা
- Log in to post comments
বাঙালির বইমেলা আছে কিন্তু বইপড়ার অভ্যাস নেই
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আমার এগরা মহকুমা বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল৷ অনেকদিন আগে থেকেই চারিদিকে পোস্টারে ব্যানারে হোর্ডিং এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছিল৷ বইমেলা উপলক্ষ্যে সোস্যাল মিডিয়াতেও বিস্তর প্রচার করা হয়েছিল৷ সে দিক থেকে দেখতে গেলে এগরা হচ্ছে একটি মফস্বল শহর৷ শহরে শিক্ষিত মানুষের বসবাস৷ বেশিরভাগ মানুষই চাকুরিজীবী বুদ্ধিজীবী৷ এই শহরে নামিদামি স্কুল যেমন রয়েছে তেমনি কলেজ রয়েছে৷ মহকুমা শাসকের কার্যালয়, কোর্ট, মহকুমা হসপিটাল সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল প্রভৃতি শহরের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ যে কারণে প্রচুর মানুষের ভিড় হয় এই শহরে৷
- Read more about বাঙালির বইমেলা আছে কিন্তু বইপড়ার অভ্যাস নেই
- Log in to post comments
ব্যারাকপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভপদার্পণ দিবস পালন
ব্যারাকপুর ঃ গত ৮ই ফেব্রুয়ারী উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী তিনি এই আনন্দমার্গ স্কুল পদার্পণ করেছিলেন৷ এই উপলক্ষ্যে এই দিন সকল ৮ থেকে প্রথমে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও পরে ৩ঘন্টা বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্যারাকপুর সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গীরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন রাজলক্ষ্মী বণিক, সুজাতা বিশ্বাস, হরলাল হাজারি, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ সঙ্গে সারাক্ষণ খোল বাজান দীপায়ন স
জঙ্গল মহলের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান
গত ৭ই ফেব্রুয়ারী রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনা সভায় শিশুর সার্বিক বিকাশ বিষয়ে আলোচনা করের আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ শিশুর বিকাশে পিতামাতার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত৷ বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে সন্তুষ্ট অভিভাবকবৃন্দ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতিকল্পে সর্বপ্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন৷ আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্দ করে৷
বিদ্যাদিবস
গত ১০ই ফেব্রুয়ারী রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিদ্যাদিবস’৷ এই উপলক্ষ্যে মিলিত প্রার্থনা, ধ্যান, প্রভাত সঙ্গীত, ও নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়৷
এরপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ ‘সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত৷ তারই উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় সব অনুষ্ঠানগুলি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল৷