February 2019

জম্মু-কশ্মীরে জঙ্গী হামলায় নিহত ৪০ জওয়ান

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী জম্মু-কশ্মীরের পুলওয়ামা সি.আর.পি.এফ. কনভয়ে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ী নিয়ে জঙ্গীরা ঢুকে পড়ে’ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ফলে,এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত, অন্ততঃ ৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন৷ আহত প্রায় ৩০ জন৷ তার মধ্যে অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷

‘‘২১শে ফেব্রুয়ারী’’- তুমি এসো বারবার

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

একুশ ফেব্রুয়ারী ক্যালেণ্ডারের পাতায় একটি খোপ কাটা দিনের পরিচিতি নয়, ২১শে ফেব্রুয়ারী হলো বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে সংগ্রামের এক অগ্ণিক্ষরা  ইতিহাস, একটা আদর্শ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্মবলিদানের মূর্ত্ত প্রতীক৷ এই দিনটিকে স্মরণ করলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজার হাজার মুষ্টিবদ্ধ হাত, দৃঢ়প্রত্যয়ী মুখ আর মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দুরন্ত সংগ্রামে সর্বস্ব পণ করা বাঙালীর রণহুঙ্কার৷ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার নামে অনৈতিক, অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিকতার নিদর্শন রূপে কেটে দেওয়া অখণ্ড বাঙলার পূর্বাংশ ও যাকে অন্যায়ভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল---তার অধিবাসী বাঙালীদে

প্রাউটের অর্থনীতি–ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

বিকেন্দ্রিত সামাজিক–অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অতি সহজেই কৃষি ও শিল্পের আধুনিকীকরণ করা যায় ও তার উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারও সহজে পাওয়া যায়৷ এইভাবে যদি সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলগুলি আপন আপন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায় তাহলে বিভিন্ন অঞ্চলের মাথা পিছু আয়–বৈষম্য হ্রাস পাবে ও অনুন্নত অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাকে উন্নত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমপর্যায়ে আনা যাবে৷ প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ভোগ করবে৷ যখন প্রত্যেকটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে তখন সমস্ত দেশই অতি দ্রুত অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে৷

‘বাংলাকে ভালবাসি’

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আবার আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷

বিদ্যার্থী ও বিদ্যা সাধনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সরস্বতী পূজা হয়ে গেল৷ বিদ্যার্থীরা ঘটা করে সরস্বতী পূজো করল৷ দু’দিন ধরে আনন্দ উৎসব করলো, পুষ্পাঞ্জলি দিল৷ আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রারা যদি ভেবে থাকে, ভক্তিভরে সরস্বতী পূজা করলুম---আর পাশের কোন চিন্তা নেই, তাহলে কিন্তু মস্ত ভুল হবে৷ দেখো যারা সরস্বতী পূজা করে না বা সরস্বতী দেবীকে মানেও না বা সরস্বতী দেবীর কথা জানেও না--- যেমন অন্যান্য মতে বিশ্বাসীরা তাঁরা কেউ বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই৷ পাশ্চাত্ত্যের যে বড় বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক,চিন্তাবিদ, তাঁরাতো আর সরস্বতী পূজা করেন না, কিন্তু বড় বড় বিদ্বান হতে পেরেছেন৷ আর যারা দিবারাত্রি সরস্বতীকে প্রণাম করে অথচ বিদ্যাচর্র্চয় যাদের নিষ্ঠা নেই, তাঁরা কিন্ত

বাঙালির বইমেলা আছে কিন্তু বইপড়ার অভ্যাস নেই

বীরেশ্বর মাইতি

জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আমার এগরা মহকুমা বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল৷ অনেকদিন আগে থেকেই  চারিদিকে  পোস্টারে ব্যানারে হোর্ডিং এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছিল৷ বইমেলা উপলক্ষ্যে সোস্যাল মিডিয়াতেও বিস্তর প্রচার করা হয়েছিল৷ সে দিক থেকে দেখতে গেলে  এগরা হচ্ছে  একটি মফস্বল শহর৷ শহরে শিক্ষিত মানুষের  বসবাস৷ বেশিরভাগ মানুষই চাকুরিজীবী বুদ্ধিজীবী৷ এই শহরে নামিদামি  স্কুল যেমন রয়েছে  তেমনি কলেজ রয়েছে৷ মহকুমা শাসকের কার্যালয়, কোর্ট, মহকুমা হসপিটাল সুপার  স্পেশালিটি  হসপিটাল প্রভৃতি শহরের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ যে কারণে প্রচুর মানুষের ভিড় হয় এই শহরে৷

ব্যারাকপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভপদার্পণ দিবস পালন

ব্যারাকপুর ঃ গত ৮ই ফেব্রুয়ারী উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী তিনি এই আনন্দমার্গ স্কুল পদার্পণ করেছিলেন৷ এই উপলক্ষ্যে এই দিন সকল ৮ থেকে প্রথমে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও পরে ৩ঘন্টা বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্যারাকপুর সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গীরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন রাজলক্ষ্মী বণিক, সুজাতা বিশ্বাস, হরলাল হাজারি, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ সঙ্গে সারাক্ষণ খোল বাজান দীপায়ন স

জঙ্গল মহলের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান

গত ৭ই ফেব্রুয়ারী রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনা সভায় শিশুর সার্বিক বিকাশ বিষয়ে আলোচনা করের আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ শিশুর বিকাশে পিতামাতার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত৷ বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে সন্তুষ্ট অভিভাবকবৃন্দ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতিকল্পে সর্বপ্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন৷ আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্দ করে৷

বিদ্যাদিবস

গত ১০ই ফেব্রুয়ারী রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিদ্যাদিবস’৷ এই উপলক্ষ্যে মিলিত প্রার্থনা, ধ্যান, প্রভাত সঙ্গীত, ও নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়৷

এরপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ ‘সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত৷ তারই উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় সব অনুষ্ঠানগুলি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল৷