February 2019

জঙ্গলমহল উৎসবে প্রভাতসঙ্গীত অনুষ্ঠান

পুরুলিয়া ঃ পুরুলিয়া জেলার জয়পুর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে সম্প্রতি জঙ্গলমহল উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ এই উৎসবে আনন্দনগরের আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ তাতে আনন্দমার্গের সাংসৃকতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র (রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোশিয়েসন) শিল্পীরা ২টি প্রভাত সঙ্গীত ও ৪টি প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য প্রদর্শন করেন৷ সমস্ত দর্শকরা এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

মোহনপুরে মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর ব্লক শহরের ওপর গৌরমোহন লজ-এ সাড়ম্বরে পালিত হ’ল বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অনুপ কুমার পাল ও শ্রীমতী জ্যোৎস্না পালের পুত্র শ্রী সৌমিত্র পাল-এর একমাত্র নবজাতক পুত্রসন্তানের অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আচার্য কীর্ত্তিনাথানন্দ অবধূত সহ জেলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গীগণ৷ স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক ব্যষ্টি আমন্ত্রিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে৷

মুর্শিদাবাদে মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

গত সতেরই জানুয়ারী মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে আনন্দমার্গীয় বিধিতে এক বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ বহরমপুরের সুতীর মাঠে অনুষ্ঠিত এই বিবাহনুষ্ঠানে পাত্র ছিলেন কান্দী নিবাসী শ্রী অজিত কুমার ঘোষের পুত্র শ্রীমান অংশুমান ঘোষ ও পাত্রী বহরমপুর নিবাসী প্রয়াত জগন্নাথ ঘোষ ও শ্রীমতী অর্চনা ঘোষের কন্যা রিনি ঘোষ৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ তপারতি আচার্যা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণস্বরূপানন্দ অবধূত, আচার্য বিশ্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য বিশ্বোত্তরানন্দ অবধূত ও প্রায় ৫০ জন আনন্দমার্গী৷ এছাড়াও পাত্র ও পাত্রীপক্ষের আত্মীয় স্বজন-বন্ধু-বান্ধব প্রায়

নীলকন্ঠ দিবস পালন

গত ১২ই ফেব্রুয়ারী কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে মহাসমারোহে  ‘নীলকন্ঠ দিবস’ পালিত হয়৷ এইদিন পাপশক্তির  ষড়যন্ত্রকে  ব্যর্থ করে মার্গগুরুদেব স্বীয় ঐশী শক্তির সাহায্যে মারাত্মক  বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ তাই এই দিনটিকে আনন্দমার্গীরা ‘নীলকন্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করেন৷

দুমকায় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ৮,৯,১০ফেব্রুয়ারী  দুমকাতে আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷  এটি হ’ল  হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান ও দুমকা ডায়োসিসের  আনন্দমার্গীদের জন্যে ফার্ষ্ট ডায়োসিস স্তরের সেমিনার৷ এই  সমস্ত এলাকা থেকে দেড় শতাধিক  সক্রিয় আনন্দমার্গী এই সেমিনারে  যোগ দিয়েছিলেন৷

এতে ‘যোগ, তন্ত্র ও ভক্তিতত্ত্ব’, ‘আনন্দমার্গ এক বিপ্লব’, ‘বিশ্বায়ন’---এই বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ ‘প্রমাতত্ত্বে’র-ওপর আলোকপাত করেন আচার্য তথাগতাননন্দ  অবধূত৷ এছাড়া প্রত্যহ পাঞ্চজন্য, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, প্রভাত ফেরী প্রভৃতির মাধ্যমে  সেমিনারে এক সুন্দর আধ্যাত্মিক পরিবেশের  সৃষ্টি হয়েছিল৷ 

‘নেতাজীর আদর্শকে  অনুসরণ করতে হবে’

শিলচর ঃ অসমের  করিমগঞ্জ জেলার নন্দীগ্রামে নেতাজী সেবা সংঘে গত ২৩শে জানুয়ারী  নেতাজী  জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভ্রজ্যোতিষানন্দ অবধূত আমন্ত্রিত হয়েছিলেন৷ আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত তাঁর ভাষণে  বলেন, নেতাজী ছিলেন একাধারে সাধক ও সৈনিক৷ সাধনার মধ্যদিয়ে  তিনি আত্মশক্তির  জাগরণ ঘটিয়েছিলেন ও সেই শক্তিতে দেশবাসীর কল্যাণে লাগিয়েছিলেন৷ আচার্য শুভ্রজোতিষানন্দ  অবধূত বলেন, আজকের  তরুণ যুবাদের  নেতাজীর  আদর্শকে সামনে রেখে এগুতে  হবে৷ যুগপৎ সাধনা ও সমাজকল্যাণকে  জীবনের  আদর্শ হিসেবে গ্রহণ  করতে হবে৷ আর এটাই হবে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের  প্রকৃষ্ট উপায়৷

কৃষ্ণনগর স্যাঁকড়াপারা আনন্দমার্গ স্কুলের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

কৃষ্ণনগর, ৮ ফেব্রুয়ারী ঃ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিণী সমর্পিতা আচার্যার উদ্যোগে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক ও স্থানীয় আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যাবৃন্দের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৮-২-২০১৯ সকাল ১১টায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রাকে ৮টি দলে ভাগ করে মোট ১৭টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও স্থানীয় আনন্দমার্গের সদস্য৷ পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ‘উইমেস্ ওয়েলফেয়ার বিভাগের সেক্রেটারী অবধূতিকা আনন্দবীতরাগা আচার্যা৷ প্রধান অতিথি প্রাক্তন কমিশনার, কৃষ্ণনগর পৌরসভা, শ্রী অসিত কুমার সাহা, আনন্দমার্গের শিক্ষা বিষয়ের ওপরে মূল

মালদায় নীলকণ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসা শিবির

মালদা ঃ গত ১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকন্ঠ দিবস’-এ মালদা জেলার রতুয়া ব্লকের আডগামা গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অজিত মণ্ডল মহোদয়ের পরিচালনায় প্রায় ১৭০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়৷ রতুয়া মণিপুর আনন্দমার্গ স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অবধূতিকা আনন্দমহাবিদ্যা আচার্যা এই শিবিরে পৌরোহিত্য করেন৷ শ্রী প্রভাস মণ্ডল ও শ্রী সঞ্জয় মণ্ডল  এই শিবির পরিচালনায় সহায়তা করেন৷ উপস্থিত স্থানীয় অধিবাসীগণের মধ্যে আনন্দমার্গ ও নীলকন্ঠ দিবসের বিষয়ে আলোচনা করেন অবধূতিকা আনন্দমহাবিদ্যা আচার্যা ও শ্রী অজিত মণ্ডল৷ স্থানীয় জনগণের মধ্যে আনন্দমার্গ সম্পর

মানুষ, প্রকৃতি ও ঔষধ

(পুর্ব প্রকাশিতের পর)

খাদ্যের মাধ্যমে ঃ যে সকল ঔষধ অতিরিক্ত তিক্ত বা বিস্বাদ (সুজির মোহনভোগের সঙ্গে বিস্বাদ ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে মোগল যুগে হেকিমরা তৈরী করতেন সুমধুর ‘হল্বা’, বাংলায় যাকে ভুল করে ‘হালুয়া’ উচ্চারণ করা হয়) সম্ভব ক্ষেত্রে সেগুলিকে রন্ধন করে ভাত বা অন্য কোন প্রধান খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে মানুষ ঔষধ সেবনের এক নবতর পদ্ধতি আবিষ্কার করল৷ এই ভাবে ঔষধীয় গুণসম্পন্ন নিম্বপত্র (নিমপাতা), উৎসিকা (উচ্ছে), পটোল লতা (পলতা), গন্ধিকা (গাঁদাল) প্রভৃতি ঔষধকে মানুষ প্রধান খাদ্যের সঙ্গে, যেমন বাংলায় ভাতের সঙ্গে খেয়ে ঔষধের গুণ আহরণ করতে লাগল৷

ককেশিয়ান আর্য, প্রাচীন ইরান ও গমের ইতিকথা

(আগের সংখ্যার আলোচনার পর)

আজ ককেশীয় রক্ত ও মঙ্গোলীয় রক্তের মিশ্রণ ঘটায় তাঁদের গাত্রবর্ণে পরিবর্তন অবশ্যই এসেছে, আকারে প্রকারে তফাৎ অবশ্যই এসেছে৷ কিন্তু মুখ্যতঃ আকারে রাঢ়ী৷ জাত–বাঙাঙ্গলীরা যদি হয় খাঁটি সোণা, তা হলে তথাকথিত উচ্চ–বর্ণীয়েরা বিশেষ করে কায়স্থরা সেই সোণার ওপর একটি চক্চকে ধরনের মিনের কাজ (enameled gold)৷