February 2019

প্রভাতসঙ্গীত

(১)

মধুর চেয়েও আরো মধুর আমার বাংলা ভাষা,

আমার প্রাণের ভাষা৷

শিরার স্রোতে ধমনীতে রক্তে মর্মে মেশা৷৷

ওষ্ঠে যখন এল হাসি, নাবল চোখে আলোর রাশি

বলেছিলুম কোলে বসি মা তুমি ক্লেশ নাশা৷৷

অনাদরে অবহেলায় তোমারে মা আজ কে কাঁদায়

জীর্ণবাসে ধূলায় লুটায় যে মোর সকল আশা৷

(২)

বাংলা আমার দেশ, বাংলাকে ভালবাসি

বাংলার দুঃখে কাঁদি বাংলার সুখে হাসি৷

বাংলার ভাইবোনেরা মোর খেলারই সাথী

বাঙালীর হিয়া অমরা ঢেলে যায় প্রীতিনীতি

বাংলার ফুল ফল জল প্রভাতের স্মিত শত দল৷

যুগান্তরের নিরাশার কুযাশা দিক নাশি

একুশ তোমায় ভোলা না যায়

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

একুশের এই ফেব্রুয়ারী

               তোমায় কি ভুলতে পারি?

এই দিনেতেই ডাকার (ঢাকা) বুকে

               যুদ্ধ হয় যে জারি৷

রফিক, জব্বর, বরকত মিলে

               বাংলা ভাষা রক্ষায়,

খান সেনাদের বুলেট খেয়ে

               অমর হয়ে যায়৷

আজকের এই মহান দিনে

               শপথ নেওয়া চাই,

বাংলা ও বাঙালীর মোরা

               দুঃখ যেন ঘুচাই৷

মতদ্বন্দ্ব যতই থাকনা

               তারে শিকেয় তুলে,

বাঙালীর ভাব–ভাষার টানে

               যাই যেন সব ভুলে৷

আর চাই সৎ রাজনীতি

আদর্শ নেতৃত্ব

‘গজতা’ শব্দের অর্থ হ’ল হস্তীযূথ৷ তোমরা অনেকেই জান পৃথিবীর জীবসমূহ সমাজগতভাবে দু’টি ভাগে বিভক্ত –– এককচারী জীব ও যূথবদ্ধ জীব৷ যেমন ধর আমাদের অতি পরিচিত ছাগল, মুর্গী৷ এরা এককচারী জীব৷ নিজের স্বার্থেই ব্যস্ত..... একেবারেই self centered. এরা সাধারণতঃ একে অপরের কোন কাজে লাগে না৷ একে অপরের বিপদে ছুটে এসে রুখে দাঁড়ায় না৷ এরা প্রভুভক্ত বা নিষ্ঠাবান–ও (sincere) নয়৷ এরা প্রভুর দুঃখে তিলমাত্র বিচলিত হয় না৷ যেখানে থাকে ....

হাইলাকান্দি আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান

গত ২৬ শে জানুয়ারী অসমের হাইলাকান্দি আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়৷ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা বিভিন্ন  খেলায় ও স্পোর্টস-এর বিভিন্ন আইটেমে অংশগ্রহণ করে৷ খেলাধূলার  পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আচার্য দীপ্তিময় ব্রহ্মচারী, আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত,আচার্য শুভ্রজ্যোতিষানন্দ  অবধূত,ভুক্তিপ্রধান মাধবী  শর্মা প্রমুখ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রাদের  হাতে পুরস্কার  তুলে দেন ও তাঁরা তাঁদের  বক্তব্যে ছেলেমেয়েদের  মন দিয়ে  লেখাপড়ার  করার সঙ্গে সঙ্গে  নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে  তুলতে উৎসাহিত করেন---যাতে তাঁরা প্রত্যেকেই  সমাজের  সম্পদে পরিণত হন৷

রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ স্কুলে  বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

৯ই ফেব্রুয়ারী  তারিখে  আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷  এই  ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়  শিশুর পড়াশোণা খেলাধূলা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত  বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ প্রতিযোগিতায় গ্রামের  ছেলেমেয়েরাও অংশগ্রহণ করে৷ বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কার  দিয়ে অনুপ্রাণিত করা হয়৷ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়  অংশগ্রহণকারী সবাইকে আনন্দমার্গ স্কুলের ক্রীড়াদিবসের মেডেল দেওয়া হয়৷

১১ই মার্চ নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস উদ্যাপন

১৯৭৯ সালের ১১ই মার্চ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ‘নোতুন পৃথিবী’ কার্যালয়ে শুভ পদার্পণ করেছিলেন৷ ওই দিনটিকে স্মরণ করে আগামী ১১ই মার্চ পরমারাধ্য শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালন করা হবে৷ এই উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, মার্গগুরুদেবের স্মৃতিচারণ, আলোচনা ও মিলিত আহারের কর্মসূচী রয়েছে৷

নোতুন পৃথিবীর সমস্ত সাংবাদিক, লেখক, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের আমরা এই শুভ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্যে সকাল ৮টার মধ্যে আমাদের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ জানাই৷ এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করি৷ 

চাঁদের পাহাড় জয় করে গিনেস বুকে উজ্জ্বল হলেন বীরভূমের বঙ্গসন্তান উজ্জ্বল পাল

আমরা সকলে বাঙালীরা একটা জিনিস খুব পছন্দ করি তা হলো ‘এ্যাডভেঞ্চার’ , তাই তো আমাদের লেখকদেরও   সেই দিকেই  বিশেষ আকর্ষণ থাকে৷ যেমন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন চাঁদের পাহাড় তাঁর স্বপ্ণ৷ আর সেই স্বপ্ণই জয়ে করে ফিরেছেন এক বঙ্গসন্তান উজ্বল পাল৷  শৈশব থেকে যুবক হওয়া পর্যন্ত বিভূতিভূষণের একটাই স্বপ্ণ ছিল৷ এই স্বপ্ণ পূরণ করলেন উজ্জ্বল৷

সারা বিশ্বজুড়ে ইসলামী জঙ্গীদের হত্যালীলা

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী জম্মু-কশ্মীরের পুলওয়ামাতে সি.আর.পি.এফ কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ৪৯ জন ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদ৷ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলা হয়েছে যে, এই জঙ্গীহানার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে৷ প্রকৃতপক্ষে এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি সরবরাহ করেছে পাকিস্তানী সেনা৷

জইশ-নেতা কামরান  নিহত

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী কশ্মীরের পুলওয়ামা জঙ্গী হামলার  ফলে ৪৯ জন জওয়ান নিহত হওয়ার ৪ দিন  পরে ভারতীয় সেনা আক্রমণকারী জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা কামরান  ও আরও  ২ জন জঙ্গীকে হত্যা  করল৷

এই সংঘর্ষে ভারতের পক্ষে নিহত হয়েছে ১জন  সেনা মেজর, ৩ জওয়ানও  ১জন পুলিশকর্মী৷

কূটিল রাজনীতি

পলিটিক্যাল এজেণ্ডা বাস্তবায়িত করার জন্যে বীরভূম জেলার লাভপুরের বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যাল নিজের মেয়েকে অপহরণ হওয়ার  নাটক করে৷ সংবাদে প্রকাশ, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী সুপ্রভাত  বটব্যালের  মেয়ে  প্রথমাকে কয়েকজন  আগ্ণেয়াস্ত্র দেখিয়ে  অপহরণ করে৷ এ নিয়ে  পরদিন  অপহৃতা মেয়েকে উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে  লাভপুরে বিজেপি সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায়  রাস্তা অবরোধ করে,  প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের  বিধায়ক  মনিরুল ইসলামের  বাড়ী  অটকায়৷ বিক্ষোভ জানায়৷ গাড়ী ভাঙ্গচুর করে৷