March 2019

গণতন্ত্রের বেনামীতে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ভারতের লোকসভার নির্বাচন শুরু হচ্ছে৷  সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নির্র্বচনে প্রার্থী হওয়ার তোড়জোড়৷ সঙ্গে সঙ্গে দল বদলের খেলাও৷ বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি  দিলীপ  ঘোষ তো খোলাখুলি  সাংবাদিকদের কাছে বললেন, লোকসভায় জিতে  আসার মত যথেষ্ট অভিজ্ঞ  প্রার্থী তাঁর  দলে নেই, তাই দল বদল করে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের  তিনি তাঁর  দলে আহ্বান  জানাচ্ছেন৷ সম্প্রতি ভাটপাড়ার  প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপিতে  যোগ দিলেন৷ আর বিজেপিও সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তাঁদের  দলের সংসদের প্রার্থী ঘোষণা  করে দিয়েছে৷ ইতোপূর্বে তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা  যিনি নাকি  তৃণমূলকে নিজ হাতে গড়েছেন বলে দাবী করেন--- তিনি এখন বিজেপি’র এরা

পা ধুয়ে দেওয়া নাটক

সুকুমার সরকার

পা ধুয়ে দেওয়া আর পা মাড়িয়ে যাওয়া দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না যদি মনুষ্যত্বের মর্য্যাদায় না থাকে৷ সম্প্রতি ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ত্তৃক অর্ধকুম্ভস্নানের পর পাঁচ দলিত সাফাই কর্মীর পা ধুইয়ে দেওয়ার পর যে বিতর্ক উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই নিবন্ধের অবতারণা৷

দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাজ দলিত ও সাফাই কর্মীদের পা ধুইয়ে দেওয়া নয়৷ তাঁর কাজ দেশের প্রতিটি মানুষের আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক বিকাশ সুনিশ্চিত করা ও মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে সমাজ রাষ্ট্রে যেখানে যেটুকু গলদ আছে আইনেরে দ্বারা তা দুর করা৷

আমরা হিন্দীর বিরুদ্ধে নই, হিন্দী-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে

মানস দেব

আমি ও আমরা যারা রাজ্যে হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছি আমরা কেউ হিন্দী ভাষা ও হিন্দী ভাষীদের বিরুদ্ধে নই৷ আমরা হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে৷ যেমন হিন্দী বিহারকে বুদ্ধু  বানিয়ে দিয়েছে৷ মৈথিলি, ভোজপুরী, অঙ্গিকা ভাষাগুলো অনেক উন্নত হওয়া সত্ত্বেও আজ গেঁয়ো ভাষায় পরিণত হয়েছে হিন্দী আগ্রাসনের শিকার হয়ে৷  বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও সেই একই  ষড়যন্ত্র চলছে৷ আমাদের হিন্দি বিরোধিতা এখানেই৷ তাছাড়া  আজ ভারতবর্ষে  যারা একটি বিশেষ ধর্মীয় মতবাদকে জোর করে গিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদী  শাসন কায়েম  করতে চাইছে  হিন্দী  ভাষা  তাদের  প্রধান হাতিয়ার৷ আমার তো মনে  হয় প্রকৃত হিন্দী অনুরাগীদেরও প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত৷ কেন তাদে

বিষাক্ত বৃত্ত

মন্ত্র আনন্দ

ভারতীয় মানুষ রাজনীতির এক বিষাক্ত বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে৷ দেশীয় পুঁজিপতিরা এই বৃত্তের কেন্দ্রে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের  সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লণ্ডনে ভারতীয়  ছাত্রদের  এক সমাবেশে ভাষণ প্রসঙ্গে বলেন---‘‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সহযোগিতায় ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷ এদের বিরুদ্ধেও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে৷ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, মানুষকে অর্থনৈতিক  স্বাধীনতাও দিতে হবে৷’’

প্রাউটের নব্যমানবতাবাদই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও শোষণ থেকে মুক্তির পথ

প্রভাত খাঁ

বিংশ ও একবিংশ শতাব্দী পৃথিবীর ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়৷ ধবংস ও সৃষ্টি আপেক্ষিক জগতে  এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ বিংশ শতাব্দিতে যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে তাতে এই পৃথিবীর বুকে নিয়ে এসেছে মানব সমাজের অগ্রগতিতে এক নোতুন প্রবাহ৷ মানব সমাজ সামগ্রিকভাবে অধিকতর  সচেতন হয়েছে ও এক বৃহৎ পরিবার ভুক্ত হয়েছে বিজ্ঞানের উন্নতি ও অধ্যাত্মবাদের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের দরুণ৷ অত্যাধুনিক  জগতে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী (মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার) পৃথিবীর বুকে সর্বরোগ হর যে আর্থসামাজিক দর্শন প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব দিয়েছেন সেটি যে আজকের সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কতটা প্রাসঙ্গিক

শোষণ–মুক্তির দিশারী–প্রাউট

সৌমিত্র পাল

ইতিহাস বলে যে, আজ থেকে দশ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষ পৃথিবীতে এসেছিল৷ সেটা ছিল আদিম বন্য অবস্থা৷ পশুর মতোই সে জীবন–যাপন করত৷ ক্রমে ক্রমে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে৷ আজ জ্ঞান–বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে গোটা বিশ্বকে মানুষ ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে৷ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক মুহূর্তে সে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করছে৷ বস্তুজগতের বিস্ময়কর সমৃদ্ধি ঘটালেও ব্যর্থ হয়েছে সে তার অন্তর্জগৎ (মনোজগৎ)–কে সমৃদ্ধ করতে৷ শান্তির পিয়াসী মানব মন বস্তুজগতের ভোগ সাধনায় মত্ত হয়ে মনোজগতে চির কাঙাল–ই থেকে গেছে৷ আর মনের নানান স্থূল বাসনাকে চরিতার্থ করতে দলগত, জাতিগত, সম্প্রদায়গত প্রভৃ

আনন্দমার্গের আনন্দমঞ্জুষা মাষ্টার ইয়ূনিটে  আনন্দমার্গ স্কুলের  সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব

গত ১১ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ তিনদিন ব্যাপী পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়িপাড়ায় অবস্থিত আনন্দমঞ্জু মাষ্টার ইয়ূনিটে আনন্দমার্গ স্কুলের ৫০ বর্ষপূর্ত্তি  উপলক্ষ্যে মহাড়ম্বরে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়৷ অনুষ্ঠানের  প্রথম দিন ১১ই মার্চ সকাল  ৭টায়  পতাকায় উত্তোলনের পর সকাল সাড়ে সাতটায়  ১২ ঘন্টা ব্যাপী অষ্টাক্ষরীয় ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয়৷ কীর্ত্তন চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত৷ স্থানীয় আনন্দমার্গীরা ছাড়াও সমস্ত  জেলা থেকে আনন্দমার্গীরা এই অখণ্ড কীর্ত্তনে যোগদান  করে সারাদিন  ধরে কীর্ত্তনানন্দে  বিভোর হ’ন৷ সঙ্গে সঙ্গে  নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

নিউজিল্যাণ্ডের মসজিদে জঙ্গী হামলা, নিহত ৪৯

এতদিন খবর পাওয়া যেত মুসলিম জঙ্গীরা এখানে ওখানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাচ্ছে৷ গত ১৫ি মার্চ নিউজিল্যাণ্ডের নিকটস্থ দু’টি মসজিদে উপাসনারত মুসলিমদের ওপর হামলা চালায় মুসলিম বিদ্বেষী কয়েকজন বন্দুকধারী৷ জানা গেছে সেদিন ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদে ও কিছুদূরে লিনউডের মসজিদে জড়ো হয়েছিল বহু মুসলিম৷ তারা নামাজ পড়ার সময়ই হঠাৎ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা এক শেতাঙ্গ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে৷ ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হকচকিয়ে প্রাণ বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে৷ এই হামলায় ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ৪২ জন ও লিনউডের মসজিদে ৭ জন প্রাণ হারান৷ অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন নিউজিল্যাণ্ডে সফররত বাঙলাদেশের ক্রিকেট দলের খ

আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৫ই মার্চ হুগলী জেলার গোপীনগরে এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দিবাকর মিত্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ৫ই মার্চ তিনি পরলোক গমন করেছিলেন৷

৫ই মার্চ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ প্রয়াত দিবাকর মিত্রের পুত্র অভীক মিত্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত প্রয়াত আনন্দমার্গী দিবাকর মিত্রের স্মৃতিচারণ করেন ও আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রের ওপর আলোকপাত করেন৷

তরমুজ

পৃথিবীতে তরমুজের অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ ভারতীয় তরমুজের ওপর–শাদা, ওপর–সবজে ও ওপর–কালচে–তিন প্রজাতিই রয়েছে৷ সাধারণতঃ ভারতীয় তরমুজের ভেতরটা ঘোর লাল অথবা ফিকে লাল হয়ে থাকে৷ গোয়ালন্দ, আমতা, তারকেশ্বর, ক্ষর্দ্ধমান, ভাগলপুর ও সাহারাণপুরের তরমুজেরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে ভাগলপুরী তরমুজ৷ যার ভেতরটা হলদে সেই চীনা তরমুজের আকার কিছুটা ছোট হয় কিন্তু মিষ্টত্ব খুবই বেশী৷ বর্ত্তমানে সাবেকী জাপানী বর্গীয় তরমুজ দক্ষিণ বাংলায় সমুদ্র–ঘেঁষা অঞ্চলে ভালই জন্মাচ্ছে–এর স্থানিক নাম দেওয়া হয়েছে সাগরশ্রী৷ উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেন তরমুজের আদি বাসস্থান নাকি আরব দেশে৷ অনুমিত হয় জলপথে এই তরমুজ কলিঙ্গ