March 2019

গণতন্ত্রকে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে হবে না হলে গণতন্ত্র ব্যর্থ

প্রভাত খাঁ

১৯৫০ সালের ২৬শে জাানুয়ারী থেকে সংবিধান মোতাবেক দেশের কেন্দ্র ও রাজ্যে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে শাসন চলছে৷ যদি সমীক্ষা করা যায় তাহলে দেখা যাবে এই সাধারণতন্ত্রের অর্থ কী সেটা মনে হয় খুব কমই লোক জানেন ও বোঝেন৷ তবে ১৫ই আগষ্টের দিনটিকে অনেকেই স্মরণে রেখেছেন৷

কলকাতায় দধীচি দিবস পালন

কলকাতা ঃ গত ৫ই মার্চ কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্র্যলয়েও দধীচি দিবস পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে কলকাতা  ও পার্শবর্তী  এলাকার আনন্দমার্গীরা ও বিভিন্ন দূরবর্তী  স্থান থেকে আগত আনন্দমার্গীরাও আনন্দমার্গের ধ্যানমন্দিরে  বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন  করেন৷  এরপরে মিলিত সাধনা  ও গুরুপূজার  পর ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চের  ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আচার্য সুতীর্র্থনন্দ অবধূত (তিনি তখন আনন্দমার্গের  ছাত্র ছিলেন) সেদিনকার  ঘটনার বর্ণনা  দেন ও কীভাবে কায়েমী স্বার্থবাদীরা ও কম্যুনিষ্টরা  জোটবদ্ধ হয়ে আনন্দমার্গের আশ্রম আক্রমণ করে ৫জন সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন তার বর্ণনা দেন৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ৩রা মার্চ দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেন রিচ এলাকায় শ্রীমতী প্রণতি পালের  নবনির্মিত গৃহে  গৃহপ্রবেশ  অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে  সম্পন্ন হয়৷ এই উপলক্ষ্যে  প্রথমে ৩ঘন্টাব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্য, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত প্রমুখ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তনের পর আনন্দমার্গের আদর্শ ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ গৃহপ্রবেশের  মন্ত্র পাঠ করেন অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা৷ গৃহপ্রবেশের প্রভাত সঙ্গীতটি  গেয়ে শোনান অবধূতিকা আনন্দ গতিময়

ত্রিপুরায় আনন্দমার্গের ধর্মীয় অনুষ্ঠান

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরা রাজ্যের পানিসাগর শহরে স্থানীয় আনন্দমার্গীদের উদ্যোগে মহাদেব মন্দিরে শিবতত্ত্ব ও যোগ বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ মানব সভ্যতার জনক শিব৷ আদিপিতা ভগবান শিবের বহু নাম --- আদিদেব, বৈদ্যনাথ, নটরাজ, পঞ্চানন, ত্রিলোচন--- শিবের এই নামগুলি তাঁর বিভিন্ন কর্ম ও গুণের পরিচিতি বহন করে৷ কল্যাণময় শিবের ছিল অনন্ত ঐশ্বর্য৷ তাই তার নাম বিভূতিনাথ৷ পরম করুণাময় শিব, মানুষের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যেই আজ থেকে প্রায় ৭ হাজার বছর পূর্বে যোগবিদ্যা এই পৃথিবীতে প্রচার করেছিলেন৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, শিব প্রবর্তিত এই যোগবিদ্যাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন৷

বনগাঁয় কৃষ্ণতত্ত্ব আলোচনায় আচার্য কাশীশ্বরানন্দজী

গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত বনগ্রাম শহরের খেলাঘর ময়দানে শ্রীশ্রী হরিভক্তি প্রদায়িনী সভা কর্তৃক আয়োজিত মহাধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‘কৃষ্ণতত্ত্ব ও গীতা মাহাত্ম্য’ বিষয়ে আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত দীর্ঘ আলোচনা করেন৷ এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত কৃষ্ণগীতি পরিবেশন করেন শ্রী সজল রায়৷

ত্রিপুরায় মহান একুশে উদ্যাপন

বিশ্ব (আন্তর্জাতিক) মাতৃভাষা দিবস মহান একুশে ফেব্রুয়ারী৷ অন্যান্য বছরের মতো এবারও ওই দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছে ‘‘আমরা বাঙালী’’-র কর্মীদের উদ্যোগে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে৷ আগরতলায় রাজ্য কার্যালয়ে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর, ধলাই জেলার শান্তির বাজারে, উঃ ত্রিপুরার ধর্মনগরে,ঊনকোটি জেলার মাছমারায়, খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ায়, কল্যাণপুরে ও খোয়াই শহরে, সিপাহীজলা জেলার চড়িলামে, দঃত্রিপুরা জেলার বিলোনীয়াতে, গোমতী জেলার অমরপুরে শহীদবেদীতে মাল্যদান, কোথাও কোথাও প্রকাশ্য সভা, কোথাও বা এ দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনর আয়োজন করা হয়৷ তেলিয়ামুড়াতে এ নিয়ে হয়েছে প্রকাশ্য জনসভা৷

‘আমরা বাঙালী’র প্রচার সভা

গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর ব্লকের অন্তর্গত জ্বলাবাজারে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে ত্রিপুরা অসম সহ সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাঙালী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে বক্তারা ছিলেন--- জেলাসচিব হেমেন্দ্র দেবনাথ, রাজ্যকমিটির সদস্য গোপালকৃষ্ণ দেব প্রমুখরা৷

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী আরেকটি বিক্ষোভসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত ব্লকেরই জলেবাসা বাজারে যেখানে বক্তব্য রেখেছেন রাজ্য সাংঘটনিক সচিব কেশব মজুমদার, জেলাসচিব হেমেন্দ্র দেবনাথ, বিভাস দাস প্রমুখরা৷

সায়েন্সিটিতে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রদর্শনী বাংলা ভাষায় করার দাবীতে ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি প্রদান

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী, বিকাল ৩.৩০ মিনিটে সায়েন্স সিটিতে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষায় সমস্ত প্রদর্শনী দেখানোর দাবিতে সায়েন্সসিটির ডিরেক্টরের হাতে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকপত্রটি তুলে দেন৷ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন অবিলম্বে তাঁরা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান নগরীর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, গোপাল রায়চৌধুরী, শুভজিৎ পাল, শৈলেন মোদক, এস.পি সিং৷ সংগীত পরিবেশন করেন শঙ্কর সরকার৷ এ

দধীচি দিবসের তাৎপর্য

মন্ত্র আনন্দ

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয় জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷ ১৯৬৭ সাল, বাঙলার ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ৷ কংগ্রেস দলের ভাঙনকে সহায় করে বাঙলার রাজনীতিতে জড়বাদী কমিউনিষ্টদের উত্থান৷ খণ্ডিত কংগ্রেসের এক অংশের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষ্ঠিত হ’ল যুক্তফ্রণ্ট সরকার৷ বিরোধী অবস্থানে থেকে যে কমিউনিষ্টরা এত দিন উন্নয়নের বুলি কপচে গেছে, যুক্তফ্রণ্ট সরকারে তারা কোনও উন্নয়নমুখী দপ্তর চায়নি, স্বরাষ্ট্র

মানুষ কবে মানুষ হবে

‘‘মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁশ কোথায় চলেছ তুমি,

আকাশ সাগর বিষিয়ে দিয়ে নরক করে’ মর্তভূমি?’’

সাবাস ভারতীয় সেনা, এই জবাবটা দেয়ারই  ছিল ধর্মের নাম নিয়ে পৈশাচিকভাবে  নরহত্যা  কিছুতেই  মেনে নেওয়া যায় না৷ সীমান্ত পারের জল্লাদ গুলোকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী, প্রয়োজনে আরও কঠিন কঠোর জবাব দিতে হবে৷ সেনাবাহিনীর এই কাজে প্রতিটি ভারতবাসীই সেনা বাহিনীর পাশেই থাকবে৷ একদল ধর্র্মন্ধ মানুষ ধর্মের মুখোশে মুখ ঢেকে দশকের পর দশক  ধরে পৈশাচিক  হত্যালীলা চালিয়ে যাবে, একে আর কোনও মতেই প্রশ্রয়  দেওয়া উচিত নয়৷