March 2019

১১ই এপ্রিল থেকে ১৯শে মে দিল্লি দখলের মহারণ

আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত সাত দফায় আসন্ন ১৭তম লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা৷ সাত দফা নির্বাচনের তারিখগুলি হ’ল---১১ই এপ্রিল, ১৮ই এপ্রিল, ২৩শে এপ্রিল,  ২৯শে এপ্রিল, ৬ই মে, ১২ই মে ও ১৯শে মে ২০১৯৷ গণনা হবে ২৩শে মে ২০১৯৷

এবারে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও সংঘটিত হবে৷ ওই চারটি রাজ্য হ’ল অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিম৷

গোড্ডায় আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

গত ৯ ও ১০ই মার্চ ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা শহরের স্থানীয় টাউন হলে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে উত্তর ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা থেকে আনন্দমার্গীরা সমবেত হয়েছিলেন৷ শ্রদ্ধেয় পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুক রঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক প্রবচন দান করে সমবেত ভক্তমণ্ডলীকে আধ্যাত্মিক সাধনায় উদ্বুদ্ধ করেন৷ তিনি বলেন প্রতিটি মানব জীবনের নিত্য কর্ম হ’ল আহার, স্নান, বিশ্রাম ও আধ্যাত্মিক সাধনা৷ আহার, স্নান, বিশ্রাম মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অবশ্য করণীয়৷ কেননা মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা না হলে তার প্রগতির প্রশ্ণ ওঠে না৷ আর মানব জীবনের প্রকৃত প্রগতি হয় আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে৷ আধ্যাত্মিক সাধনার

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গার্লস্ প্রাউটিষ্টের মিছিল ও স্মারকপত্র পেশ

কলকাতা ঃ গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় গার্লস্ প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে নারীদের ন্যায্য অধিকার সম্বলিত বিভিন্ন পোষ্টার ও ব্যালট সহ একটি মিছিল বের হয়৷ এই মিছিলটি গার্লস্ প্রাউটিষ্টের অফিস থেকে বেরিয়ে সায়েন্স সিটি, চার নম্বর গেট, সি আই টি রোড, মৌলালী হয়ে ধর্মতলায় রাণী রাসমণি রোড পৌঁছায়৷ মাঝে বিভিন্ন স্থানে ও রাণী রাসমণি রোডেও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই পথসভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী সাগরিকা পাল, শ্রীমতী শ্রাবণী বসাক, শ্রীমতী শম্পা দাস, শ্রীমতী ছন্দা সরকার, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগুণময়া আচার্যা প্রমুখ৷  তাঁদের বক্তব্যে

স্বচ্ছতার কাঁচটা ক্রমশঃ ঝাপসা হয়ে গেছে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতবর্ষের নির্বাচন কমিশন কর্ত্তৃক ১০ই মার্চ রবিবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গেছে৷ টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রে এখন শুধু নির্বাচনী সংবাদের রমরমা৷ ৫বছর আগে ২০১৪ সনের নির্বাচনের প্রাক্কালে  সুন্দর ভারত গড়ার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আচ্ছে দিনের স্বপ্ণ দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে এনডি.এ সরকার ভারতবর্ষের প্রশাসনে আসে৷ দেশের তরুণ ও যুব সমাজের জন্যে বছরে ২ কোটি চাকরী,  বিদেশে গচ্ছিত  এদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমান কালো টাকা উদ্ধার করে এনে প্রত্যেক দেশ বাসীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া, দেশের শিল্প ও কৃষির অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়ে ‘‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’’ এর মাধ

জীবনবেদের গুপ্ত গায়ত্রী

যদি কোন বৃহৎ বা ভারী বস্তুকে কেউ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, তার পক্ষে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে সেই বস্তুটার বীজটাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া৷ একটা গোটা বটগাছকে এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া খুব শক্ত৷ কিন্তু সেই বটবৃক্ষের একটা ছোট্ট বীজকে নিয়ে যাওয়া সহজ৷ বীজটাকে নিয়ে গেলেই গাছটাকে নিয়ে যাওয়া হ’ল৷

শোষণের ছলা–কলা

(শিরোনামে লিখিত বিষয়ের ওপর প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর বিভিন্ন পুস্তকে যা বলেছেন, সেগুলিকে সংকলিত করে’ তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত৷)

বুদ্ধির অপব্যবহার করে’ শোষণ নানা যুগে নানা ভাবে হয়েছে৷ বর্তমান যুগে কীভাবে হচ্ছে তার কয়েকটা চিত্র এঁকেছেন দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অশনি সংকেত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশন্যাল সাম্পেল সার্ভের রিপোর্ট থেকে জানা গেল গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে গত ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশী৷ আর তা হলো ৬.১ শতাংশ৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৫ থেকে ২৯ বৎসর বয়সীদের মধ্যে বেকার সমস্যা ভয়ঙ্কর৷ মোদিজীর ক্ষমতায় আসার আগে ২০১১ -১২ আর্থিক বছরে বেকারত্বের হার ছিল যুবক যুবতীদের মধ্যে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৪.৮ শতাংশ৷ আর ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে গ্রামীণ যুবক যুবতীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭.৪ শতাংশ ও ১৩.৬ শতাংশ৷ আর শহরের যুবক যুবতীদের মধ্যে বেকাত্বের হার হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে যুবকদের ক্ষেত্রে ৮.১ শতাংশ (২০১১-১২) থেকে ১৮.৭ শতাংশ (২০১৭-১৮) আর যুবতীদের

বসন্তোৎসব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসকের নিকট স্মারকপত্র পেশ

শিলিগুড়ি ঃ গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে নারী নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে চলচ্চিত্রে, দূরদর্শনে,সিরিয়ালগুলোতে বিজ্ঞাপনে অনাবৃত নারীদেহ প্রদর্শনের বিরুদ্ধে, পণপ্রথা সম্পূর্ণরূপে বন্ধের দাবীতে ও প্রতিটি নারীকে সামাজিক-অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন দাবীতে শিলিগুড়িতে মহকুমাশাসকের নিকট এক স্মারকপত্র পেশ করা হয়৷

স্মারকপত্র পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতী জয়া সাহা, কমলা সাহা, পলি সাহা, শুক্লা সাহা, বীথিকা পাল, গৌরী ঘোষ, দীপাদি, রিমাদি ও অন্যান্য অনেকে৷

দধীচি দিবসে মালদায় চিকিৎসা শিবির 

মালদা ঃ গত ৫ই মার্চ দধীচি দিবস উপলক্ষ্যে  মালদা জেলার  মানিকচক ব্লকের লালবাথানী-ছোট ভবানীপুর গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে ও হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক শ্রী অজিত মন্ডলের পরিচালনায় একটি চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় দেড়শতাধিক দুঃস্থ রোগীকে এই শিবিরে চিকিৎসা সহায়তা ও ঔষধ প্রদান করা হয়৷ চিকিৎসা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আচার্য রত্নেশানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ মহাবিদ্যা আচার্যা৷ এই শিবির পরিচালনায় সাহায্য করেন স্থানীয় আনন্দমার্গী সর্বশ্রী সুনীল মন্ডল, সুবল মন্ডল, প্রভাস মন্ডল ও সঞ্জয় মন্ডল প্রমুখ৷ উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আনন্দমার্গের সাধনা, সেবাকার্য  ও দধীচি দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচন