March 2019

শিলিগুড়িতে আনন্দমার্গের সেমিনার

শিলিগুড়ি ঃ  গত ৮, ৯ ও ১০ মার্চ শিলিগুড়িতে আনন্দ- মার্গের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এটি ছিল আনন্দমার্গের সেকেণ্ড ডায়োসিস স্তরের সেমিনার৷ এই সেমিনারে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে দুই শতাধিক আনন্দমার্গী এই সেমিনারে যোগদান করেন৷ সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক ও সমাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন ‘প্রাউট’-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ তিনি আনন্দমার্গের অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন---যোগ সাধনার নিয়মিত অভ্যাসের দ্বারাএকজন শারীরিক সুস্থতা, দুর্বার মনঃশক্তি অর্জন করে ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে পারেন৷ য

পাকিস্থান, ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়নের পথে চলার মানসিকতাকে অগ্রাধিকার দিক

প্রভাত খাঁ  

পাকিস্তান এমন একটি ভূখণ্ড যার তিনদিকই পাহাড় ও ভূমিবেষ্টিত  কিন্তু ভারত বিশাল দেশ তার পশ্চিমদিকে বিরাট অংশ ও পূর্বদিকের তিনভাগে প্রায় দুভাগ সমুদ্রবেষ্টিত তাই ভারতকে স্থলপথ ও জলপথে আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষায় বেশি সচেতন হতে হয়৷ গত ২০১১ তে প্রতিবেশী রাষ্ট্র-এর মদতপুষ্ট লস্কর তৈবার জঙ্গীরা  মুম্বাই আক্রমণ করে জলপথে৷ তার ভয়ঙ্কর পরিণতি শুধু ভারত নয় সারা পৃথিবী দেখেছে আর একটা অপ্রিয় সত্য কথা হল যে পাকিস্তানের জন্মই হয়েছে ভারত বিদ্বেষকে হাতিয়ার কবে৷ তাই সাম্প্রদায়িকেতার ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগাটাই হল সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক গোষ্ঠীর একটা কূটচাল  যার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানকে সামনে রেখে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চ

বাতরোগ

রোগের লক্ষণ ঃ রক্তে অম্লদোষ বেড়ে গেলে বাত রোগের সৃষ্টি হয়৷ এখানে বাতরোগ বলতে বিশেষ করে গ্রন্থিবাতের ( গেঁটে বাত) কথাই বলা হচ্ছে৷

ঔষধ ঃ এই বাতরোগ কোন ঔষধের বহিঃপ্রয়োগে খুব ভাল ভাবে সারে না৷ তবে সাময়িক ভাবে উপশম হয়৷ বাতরোগে মালিশ জাতীয় বস্তুর মধ্যে যেগুলি উত্তম মানের তাদের অনেকেরই উপাদান হ’ল ধুতুরা ফল৷ কণ্ঢকযুক্ত ধুতুরা ফল খাদ্য হিসেবে কথঞ্চিৎ বিষাক্ত হলেও বহিঃপ্রয়োগে ভাল ফল দেয়৷ তবে কৃষ্ণ ধুতরোর ফলেতে এই গুণ একটু বেশী৷

নারী–প্রগতি

অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা

আজকাল প্রায়ই নারী প্রগতি বলে একটা কথা অনেকের মুখে মুখে চলে আসছে৷ সেদিন রেডিও এফ. এম. গোল্ড এ প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে এই ‘‘নারী প্রগতি’’ কথাটা শুনে আমার মনে এ বিষয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা প্রকট হয়৷

বয়ঃব্রণ ও তার ঔষধ

মানুষের সাধারণতঃ ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সে শরীরে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন গ্রন্থিরসের ক্ষরণ ত্রন্দ্বন্তুব্জন্দ্বব্ধ প্সন্দ্র ড়প্সব্জপ্পপ্সুন্দ্বগ্গ্ হতে থাকে৷ এর ফলে রক্তের উষ্ণতায়, গতিতে, সংরচনায় পরিবর্তন ঘটে৷ তাতে করে মুখমণ্ডলে, বিশেষ করে কপাল ও গালে ছোট ছোট ফুসুক্ড়ি দেখা যায়৷ বাংলায় একে ব্রণ বলা হয়৷ এটা বিশেষ একটা বয়সে হয় তার পূর্বেও হয় না, পরেও হয় না৷ তাই একে বয়ঃব্রণ বলা হয়৷ সংস্কৃত ভাষায় ব্রণ বলতে বয়ঃব্রণকে তো বোঝায়–ই, অধিকন্তু যে কোন ক্লেশদায়ক ফোঁড়া বা ফুসুক্ড়ির জন্যেও ব্রণ শব্দ চলতে পারে৷ ব্রণরোগ মানে ঘা–এর রোগ৷

‘যথা অতি রমনীয় চারু কলেবরে

ব্রণ অন্বেষণ করে মক্ষিকানিকরে৷’

নোতুন পৃথিবী

প্রভাত খাঁ

জরাজীর্ণ এই ধরণী, বুকে

নোতুনের বার্তাবহ রূপে

যে তরু, সৃজিয়া গেলে

আশীর্বাদ পূর্ণ বারিদানে,

সে আজ সেবিছে বিশ্বে

ক্লান্তিহীন বটবৃক্ষ রূপে৷

আজিকার শুভদিনে

তাপসের দল আপ্লুত হৃদয়ে

তোমারে স্মরণ করে সেই বৃক্ষতলে৷

হে মহান, তোমার অভীষ্ট

যেন সিদ্ধ হয় ‘নোতুন পৃথিবী’ রূপায়ণে৷

আমার প্রার্থনা পিতঃ

সুভাশিস দানে জাগ্রত করিয়া

তোল সকলের প্রাণ৷

বাঙলা মায়ের গান

রামদাস বিশ্বাস

বাংলাকে ভালবাসা হয় যদি অপরাধ

সেই অপরাধ আমি বার বার করবো৷

বাংলাকে ভালবাসব, আমি বাংলাকে ভালবাসব৷৷

জাগরণের দীপ জ্বেলে বাংলার ঘরে ঘরে আছে যত ভাইবোন বলব হাতে ধ’রে৷

বাংলা আমাদের মা তার কোলে বসে মোরা হাসব ৷৷

আমাদের ঘরে কোন দস্যু এলে

বাংলা মায়ের চোখ ভরে যে জলে৷

সে মায়ের চোখের জল মোছাতে

আবার করব সংগ্রাম অতি দুর্বার৷

তস্করে ক’রে পরাজিত

মায়ের মুখের হাসি অম্লান রাখব৷৷

বিপন্ন বাঙালী

রবীন্দ্রনাথ সেন

একদিন জ্ব’লে উঠেছিল এই বাংলা

জ্ঞানে গরিমায় ত্যাগে তিতিক্ষায়

বিদ্যায় বুদ্ধিতে ধ্যানে ধারণায়

সাহসে শৌর্যে আত্মদানে৷

ভারতের একপ্রান্ত থেকে

আরেক প্রাম্তে ছুটেছিল তারা

ঐক্যের বন্ধন নিয়ে, বিপ্লবের বাণী নিয়ে

মুক্তির স্বপ্ণ নিয়ে, ঊষার আমন্ত্রণ নিয়ে৷

 

যেদিন দাবানলের মতো জ্বলে উঠল তারা

বিপ্লবের অগ্ণিশিখা ছড়িয়ে পড়ল

দেশ থেকে দেশান্তরে জার্র্মন জাপান হয়ে

উল্কার অনল শিখা এল দিল্লীর পথে,

আতঙ্কিত হলো সাম্রাজ্যবাদী শোষক

কেঁপে উঠল ভীরু কাপুরুষের দল

তলে তলে হ’ল গোপন শলা

‘‘চক্রং ভ্রমতি মস্তকে’’

পূর্ব প্রকাশিতের পর–

আরও কিছুদূর এগিয়ে চলতে চলতে সে সামনে দেখলে আর একটা পাহাড়......তাঁবার*১

কিপ্ঢেকঞ্জুস দেখলে–ছ’পকেট ভরতি রূপোর টাকা নিলে তাতেও তিনটে অসুবিধে৷ প্রথমতঃ অত রূপোর টাকারই বা দাম কত দ্বিতীয়তঃ রূপোর টাকার ভারে সে দ্রুত চলতে পারবে না৷ তৃতীয়তঃ তাতে ঝমঝম শব্দ হবে তাতে চোর–ডাকাতের বুঝতে সুবিধে হবে যে সে অনেক টাকার মালিক৷

আনন্দনগরে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

আনন্দনগর ঃ গত ৮,৯ ও ১০ মার্চ আনন্দনগরে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এই প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরে আনন্দনগরের চতুর্ষ্পাশ্বের ৫২টি গ্রাম থেকে শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন৷ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত ও আচার্য রবীশানন্দ অবধূত যথাক্রমে মূলতঃ প্রাউটের বৈশিষ্ট্যের ওপর ও আদর্শ নেতৃত্বের ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন---বর্তমানের সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দু’টি তত্ত্ব চালু রয়েছে৷ একটা হ’ল পুঁজিবাদ, অন্যটা মার্কসবাদ৷ বলা বাহুল্য বর্তমানে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল এই দু’টি তত্ত্বের যে কোনও একটিকে মানে৷ কিন্তু এই দু’টিই আজকের পৃথিবীর ভয়াবহ সামাজিক-অর্থন