April 2019

আনন্দমার্গীয় বিধিতে বিবাহানুষ্ঠান

আনন্দনগর (পুরুলিয়া)ঃ গত ১০ই মার্চ চিতমু গ্রামে আনন্দমার্গীয় বিধিতে এক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷  এই বিবাহে পাত্রী ছিলেন এই গ্রামের  বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বিশ্বনাথ গড়াঞয়ের  একমাত্র  কন্যা মমতা গড়াঞ, আর পাত্র ছিলেন রঘুনাথ গড়াঞয়ের পুত্র সমর চন্দ্র  গড়াঞ৷ এই বিবাহানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দব্রতীশা আচার্যা৷

প্রাচীন ভারতে শল্য–চিকিৎসা, বিষ–চিকিৎসা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উদ্ভব ও বিকাশ

এবার আমি মহাভারতের যুগের চিকিৎসা–পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছু বলব৷ আয়ুর্বেদের মতে যখনই শরীরে বায়ু কিংবা পিত্ত কিংবা কফের বৃদ্ধি বা স্বল্পতা ঘটে তখনই দেহের সাম্যাবস্থা নষ্ট হয়ে রোগ দেখা দেয়৷ এই সাম্যাবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্যই ওষুধের প্রয়োজন হয়৷ বায়ুর স্বল্পতা ঘটলে ওষুধ দিয়ে তাকে বাড়াতে হয়৷ পিত্তের বেলায়ও একই নিয়ম৷ আয়ুর্বেদের এটাই মত৷ একই পর্যায়ভুক্ত ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী চারটা ধাতুর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়–বায়ু, পিত্ত, কফ, ও রক্ত৷ এই দু’য়ের মধ্যে তফাৎটা হ’ল এই যে ইউনানি পদ্ধতিতে একটা অধিক ধাতুকে (রক্ত) ধরে নেওয়া হয়েছে৷ বাকি তিনটি ধাতু উভয় পদ্ধতিতেই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ উভয় পদ্ধতিতেই স্থূল

যোগ ও স্বাস্থ্য

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

ভেজানো (বা অঙ্কুরিত) ছোলার উপকারিতা

ছোলার খোলা না ছাড়িয়ে জলে ভিজিয়ে ফুলিয়ে নিলে তাকে বলা হয় ‘সিক্তচনকং’৷ ছোলা কিছুটা গুরুপাক হলেও গুড়–আদার সঙ্গে ভিজে–ছোলা মিশিয়ে খেলে তা কিছুটা সহজ পাচ্য হয়৷ ‘লবণেন সহ সিক্তচনকং’–অর্থাৎ নুন দিয়ে ভিজে  কিডনী রোগের ঔষধ৷ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়, ছোলা–ভিজে ও আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ যথেষ্ট খাদ্যগুণ–সমৃদ্ধ হওয়ায়, যাঁরা নিরামিষ আহার করেন, তাঁদের যদি পেটে সহ্য হয়, তবে সকালে নিয়মিতভাবে ভিজানো বা অঙ্কুরিত ছোলা খাওয়া খুবই উপকারী৷ ভিজে ছোলা পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে ৷

(দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য)

তোমায় আমি ভালবাসি

রামদাস বিশ্বাস

আমার গানের সুরে নীল–নীলিমায় দূরে

তোমার গীতির ধারা বয়ে যায়৷

তোমার প্রেমের স্রোতে অনন্ত এই পথে

আমার জীবন যায় ভেসে যায়৷৷

গান শোণাতে বাজাও বাঁশী

মধুর চেয়েও মিষ্টি হাসি

হাসো তুমি কাছে–দূরে বিশ্বভূবন ঘুরে ঘুরে

দোলাও হৃদয় মধুর দ্যোতনায়৷৷

তোমায় আমি ভালবাসি

ভালবাসি ভালবাসি

আমার মুখে তোমার ভাষা

আমার বুকে তোমার আশা

আমার আশা যাচি গো তোমায়৷

চিরন্তন সত্য

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ধর্ম মানে কভু ভোগবাদ নয়

ধর্ম মানে কভু পুরোহিতবাদ নয়

ধর্মের ছায়ায় লালিত হয় মানুষের মূল্যবোধ

ধর্ম মানুষের বিদ্বেষ আর জিঘাংসাকে করে রোধ৷

জীবনের প্রথম প্রভাতে ধর্ম ছিল মানুষের সাথে

ধর্মের সর্বাঙ্গে ধবনিত হ’ল যে সুর

সে সুরে স্পন্দিত হ’ল মোদের অন্তঃপুর৷

যুদ্ধোন্মাদ এই পৃথিবীর কোণায় কোণায়

জাগ্রত মানুষ রঞ্জিত হোক নবচেতনায়৷

পৃত্থির আকাশে-বাতাসে ধবনিত হোক

বিশ্বের সব মানুষের ধর্ম এক, উৎস এক৷

মরণ বাঁচন

জয়দেব বিশ্বাস

আমি রূপের গাঙ্গে সাঁতার দিয়ে

    ভাটির টানে উজান যাব

আমি জীবন-তারণ বাতাস ছঁুয়ে

    মরণ-বায়ে শীতল হব৷

ভীষণ যখন বিষম হয়ে

    করবে তারা পিছন পানে,

কিংবা জীবন তরীর ছিদ্র পথে

    ছলকে জল ভরবে বানে---

তখন আমি মাঝ দরিয়ায

    কূলের পানে সাঁতারির,

নৌকা-হারা সেঁউতি বুকে

    বাবা নামেরই পরশ নেব৷

তবু জানি হারব নাকো

    থাকব আমি সবার মাঝে

ঘাসের ফুলে তরুর মূলে

    মানব-কুলে সকাল সাঁঝে৷

রক্ষা করবে কে?

প্রশ্ণ

দেবল কুমার কর্মকার

ধর্ম যদি বিভেদ আনে  

সাম্য দেবে কে?

রাজা যদি শোষণ করে  

পালন করবে কে?

স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করলে  

বন্ধু হবে কে?

শিক্ষক যদি আদর্শহীন  

শিক্ষা দেবে কে?

গুরু যদি অসংযমী    

পথ দেখাবে কে?

চোর-পুলিশে গলাগলি   

রক্ষা করবে কে?

আজ টি-২০ আই.পি.এল, আগামীতে টি-১ বলের আই.পি.এল.!!

ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিশ্ব ক্রিকেটে টি-২০-র আবির্ভাব ঘটেছে বেশ কয়েক বছর আগেই৷ ভারত সেই টি-২০ ফরম্যাটে সারা বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারদের  নিয়ে যে চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে আসছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আই.পি.এল.)৷ এখন এই খেলার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে ক্রিকেটার ছাড়াও অভিনেতা-অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, সিনেমা জগতের পরিচালক, প্রোডিউসার আরও অনেক তথাকথিত উঁচুতলার অভিজাত মানুষজন৷ মূলত তাঁদের পয়সায় আই.পি.এল এক জনপ্রিয়তম আনন্দ উৎসবের প্ল্যাটফরম্৷ দর্শক ঠাসা ষ্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলের এই ক্রিকেট যুদ্ধ স্বভাবতঃই জমে ওঠে৷ কিন্তু টি-২০-র এই ক্রিকেটে ক্রিকেট খেলার সেই আভিজ