April 2019

শুভ নববর্ষ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আগামী সোমবার বাংলার শুভ নববর্ষ৷ বাংলা ১৪২৫ সাল পেরিয়ে ১৪২৬ শুরু হবে৷ আমরা নোতুন বছরে পা দেব৷ এমনি এক বাংলা নববর্ষের প্রবচনে প্রাউট–প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি একাধারে মহান দার্শনিক, ইতিহাসবিদ্, ভাষাতত্ত্ববিদ্, শিক্ষাবিদ্, সঙ্গীতকার, যিনি মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত, তিনি আত্মবিস্মৃত বাঙালী জাতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত ও আমি আশা করব, ভবিষ্যতে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷ সেই জনগোষ্ঠীকে নোতুন করে শপথ নিতে হবে–এই নোতুন বছরটা তারা কীভাবে আরও সফল করে তুলবে৷ নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ

নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ ঃ বাঙলার নববর্ষ

আমরা  পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বক্ষ্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চল

লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে জনসেবার  ভাবনার দারুণ  অভাব, কেবল দলীয় স্বার্থে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দান

প্রভাত খাঁ

রাজনৈতিক দলগুলির যে সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি লোকসভায়  বর্তমানে আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা পুনরায়  নির্বাচনে  দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের যেটা প্রধান কর্তব্য তা হ’ল, তাঁরা গত  ৫ বছরে কী কী কাজ করেছেন, তার হিসেব দেওয়া ও জয়লাভ করলে কী কী কাজ করবেন তা জানানো৷ নূতন যাঁরা দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরাও নির্বাচিত হলে কী কী কাজ করবেন তা  জানাতে হবে৷ কিন্তু এই জিনিসটা কেউ করছেন না৷ অথচ নির্বাচনী  প্রচারে  গিয়ে  এইটাই জানানো তাঁদের  প্রধান কর্তব্য৷ আর তা না করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বড়ো বড়ো  মাঠ ঘেরা হচ্ছে আর দলের  নেতা-নেত্রীগণ হাজির হয়ে বিরোধী দলের ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের আদ্যশ্রাদ্ধ করছেন৷ জনগণের  সমস্যার কী সমাধান  ক

১৯,২০,২১ এপ্রিল বাংলাদেশে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

আগামী  ১৯,২০,২১ এপ্রিল, ২০১৯ (৬,৭ ও ৮ই বৈশাখ, ১৪২৬) বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও-তে এখানকার  আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে মানব ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত  হবে৷ ধর্মমহাসম্মেলনের  স্থান হ’ল---সিডিএ ট্রেনিং  সেন্টার, মুকুন্দপুর, রামপুর, কাহারোল, দিনাজপুর৷

যমজ ছয় সন্তানের জননী

যমজ সন্তানের জননী অনেকেই আছেন৷ কিন্তু একসঙ্গে ছয়-ছয়টি সন্তানের জননী---চমকে দেওয়ার মত সংবাদ৷ হ্যাঁ সম্প্রতি এই ঘটনাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে৷ মহিলার নাম থ্যালমা চাইতা৷ মাত্র নয় মিনিটের মধ্যে তিনি জন্ম দেন দুই জোড়া যমজ ছেলে ও এক জোড়া যমজ মেয়ে৷

চোখের রেটিনা রক্ষা করতে আঙুরের ভূমিকা

একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, অন্ধত্ব কমাতে আঙুরের বিশেষ ভূমিকা আছে৷ চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়৷ নিয়মিত আঙুর খেলে রেটিনার কোষগুলি রক্ষা পায়৷ দৃষ্টিশক্তি থাকে স্বচ্ছ৷ সেই কারণে যাঁরা রেটিনার সমস্যায় ভোগেন ও অন্ধ হয়ে যাবেন বলে ভয় করেন, তাদের নিয়মিত আঙুর খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

প্রয়াত ‘আমরা বাঙালী’ নেতা শ্রী রাধু সরেণের স্মরণসভা 

পুরুলিয়া ঃ গত ৫ই এপ্রিল ডামরুঘুটুতে  ‘আমরা বাঙালী’র  পক্ষ থেকে প্রয়াত নেতা শ্রীরাধু সরেণের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রথমে উপস্থিত ‘আমরা বাঙালী’র সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসীবৃন্দ রাধু সরেণের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ এরপর প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷  উক্ত অনুষ্ঠানে রাধু সরেণের দীর্ঘ কর্মময় জীবনের নানা দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শ্রী ঠাকুর দাস কিসুক, শ্রীসরেণের  কন্যা কাজল, পুত্র অবিনাশ সরেণ, রেঙ্গু সরেণ, চক্রধরদা ও আরো অনেকে৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৬ই এপ্রিল শনিবার উত্তর২৪পরগণার জেলার গাঁইঘাটা ব্লকের কাহনকিয়া গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী হরিপদ সরকারের আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালিত করা হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কীর্ত্তন পরিচালনা করেন শ্রী প্রমোদ দাস ও নিত্যানন্দ দাস৷ কীর্ত্তনশেষে সাধনা ও গুরুপূজার পর  আনন্দমার্গের শ্রাদ্ধ বিধি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস (ভুক্তিপ্রধান)৷ উল্লেখ্য হরিপদ সরকার হচ্ছেন শ্রীমতী কল্যাণী মণ্ডলের পিতা ও শ্রীপরিতোষ মণ্ডলের শ্বশুর মহাশয়৷

লবণের প্রয়োজন

‘লবণ’ শব্দের অর্থ হ’ল যে সৌন্দর্য বা লাবণ্য আনায়৷ প্রয়োজন মত লবণ শরীরে গৃহীত না হলে শরীরের সৌকুমার্য ও কমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়৷ এই অর্থেই লবণ শব্দটি তৈরী হয়েছে৷ ‘লবণ’ মানে লক্তপ্রাণ (রক্তপ্রাণ)৷

প্রাগৈতিহাসিক সমাজ

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ–সমাজে নারীর স্থান ছিল অন্যান্য যে কোন জীবের স্বাধীন নারীর মতই৷ পুরুষেরা যেমন প্রকৃতির কোলে নেচে গেয়ে হেসে খেলে জীবন কাটিয়ে দিত নারীরাও তা–ই করত৷ এই অবস্থা চলেছিল যখন মানুষ সমাজ বলতে কোন কিছুই গড়েনি তখন তো বটেই, তার পরেও মাতৃশাসনের যুগেও৷ কিন্তু যখনই পিতৃশাসিত সমাজ ব্যবস্থা এল তখনই নারীর অধিকার ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করা হতে থাকল৷ গোড়ার দিকে ঠিক করা হ’ল মেয়েরা ততটুকু স্বাধীনতা ভোগ করবে যতটুকু বিবাহের পরে তার শ্বশুরকুল তাকে ভোগ করতে দেবে বা বিবাহের পূর্বে পিতৃকুল তাকে যে সুযোগটুকু দেবে৷