April 2019

নববর্ষের নোতুন আলো

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

নববর্ষের নোতুন আলো

নাশুক সবার মনের কালো

হিয়ার মাঝে প্রদীপ জ্বেলে

তন্দ্রা ভেঙ্গে জাগিয়ে দিলে৷

প্রাণের পরাগ ছড়িয়ে দিলে

স্বপ্ণলোকের সুর শোনালে

কে তুমি মোর মন রাঙালে?

বিশ্বদোলায় সবে দোলালে৷

মধুর পরশে হরষে মাতালে

আলোর পথের দিশা দেখালে

বললে সবে এগিয়ে চল

নোতুন পৃথিবী গড়ে

নোতুন পৃথিবী

অনির্বাণ

নববর্ষ এলো আজি নবীনের বেশে

বাতাসে রয়েছে শুধু নোতুনের ডাক

আকাশে গৈরিক ছটা তপ্ত ধূলা ওড়ে

তার সাথে শেষ হ’ল চৈত্রের সাধ৷

পুরোনো বিদায় নিল নোতুনকে ডেকে

এল রে নোতুন দিন নোতুন পসরা নিয়ে

বইতে হবে না আর পুরোনো ক্লান্তির বোঝা

বিগত না পাওয়ার ব্যথা দিল ভুলিয়ে৷

ঐক্যমন্ত্রের ভাবনা নিয়ে নোতুনের সাজে

সত্য-শিব-সুন্দরের ধবজা তুলে ধ’রে

ভাল হোক মন্দ হোক সবকিছু ভুলে

সবাইকে বাঁধতে হবে প্রীতি-রাখী ডোরে৷

হাত হাত ধ’রে সবে চলো এগিয়ে

সুখে দুঃখে বেদনায় আনন্দ-উৎসবে

একের ধ্যান করে এক মনপ্রাণে

নববর্ষের বাসনা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

নববর্ষের প্রত্যুষে আজ আমি

               করজোড়ে নতজানু

এই বর মাগি, ধরি চরণ দু’টি---

এ জীবন হতে নোতুন জীবনে

               ফের যেন জেগে উঠি৷

তোমার মন্ত্রে হব নবজাত

তোমার আশীর্বাদী আলোকে হবো শুদ্ধস্নাত৷

জন্ম-মৃত্যু দুইয়ের কাল সীমায়

অন্তত এক অন্তবর্তী জীবন দাও আমায়৷

আমারে করো তোমার ভূমা মনের মনসিজ

মৃত্যুরে বন্ধক রেখে তোমার চরণে

তোমারই বরে হবো আমি দ্বিজ৷

তোমার তো কিছুই নয় অসাধ্য

তোমার ধর্মে তোমার কর্মে

               আমারে করো বাধ্য৷

নবীন বরণ

মণিদীপ রায়

আলো-ছায়া খেলে যায় কত ভাবে এসে,

গাছে গাছে ফোটে ফুল কত ভালবেসে৷

হাসি খেলি নাচি মোরা খিল খিল করে’

আসে যে বা কাছাকাছি নিই তায় বরে৷

হাত ধরে চলি মোর এ পথ ’পর

হরিহর মন সাথে, নাহি তাই ডর৷

গণের দায়িত্ব গণেশ নিলেন

তোমরা শুণেছ অথবা ছোটবেলায় তোমাদের জোর করে শোণানো হয়েছে বা ভয় দেখানোর জন্যে বলা হয়েছে যে ভূত বলে একটা অদ্ভুত জিনিস আছে৷ ছোটবেলায় যখন পিসিমার কোলে শুয়ে বা বসে হাত–পা ছুঁড়ে বলতে–দুধ খাব না, তখন পিসিমা একটা ভয়ের গল্প শোণাতেন৷ তখন ভয়ে হাত–পা নাড়া বন্ধ করে দিতে, পিসিমা হঠাৎ এক ঝিনুক দুধ মুখে ঢেলে দিতেন৷ সেই থেকে তোমার মনে শুরু হয়েছিল একটা ভূতের ভয়......একটা অজানা আতঙ্ক৷ এই ভূতেরা নাকি আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায়......গা ভাসিয়ে দেয় হাওয়ার গতিধারায়৷ রাতবিরেতে....

গলি থেকে রাজপথে এক শ্রমিকের ছেলে কিন্তু তবুও ভারতীয় দলে খেলায় অনিশ্চয়তা

কোটি টাকা খরচ করে আইপিএলে দলে নেওয়া হয়েছিল এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার নাথু সিংহকে৷ কিন্তু গোটা দু’য়েক ম্যাচ খেলার পরই প্রথম একাদশ থেকে কার্যত হারিয়ে যান৷ চলতি আইপিএলেও স্কোয়াডে রয়েছেন, কিন্তু প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি৷

অসম্ভব প্রতিভাবান, ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা--- এই রকম একাধিক বিশেষণের পরেও নাথু সিংহ নামের এক ক্রিকেটারের কেরিয়ার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে৷

বিভিন্নভাবে ক্রিকেটকে নিয়ে ব্যবসা করার জন্যেই আই.পি.এলের. টি-২০ আয়োজন

ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ সারা বিশ্বের ক্রিকেট মানচিত্রে এখন বিশেষ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত৷ এই আই পি এল.-এ টি-২০ ক্রিকেট খেলার লড়াই চলছে প্রায় সারা বিশ্বের সমস্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে৷ রঙিন, বাহারি ক্রিকেটের এই আই পি এল ক্রিকেট মেলায় যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আভিজাত ধনী ব্যবসায়ী, রূপোলী পর্দার স্বণামধন্য ব্যষ্টিবর্গ ও আরো অনেকে৷ চলছে কোটি কোটি টাকার মেলা৷ চার মারলে টাকা, ছয় মারলে টাকা, আউট হলে টাকা, ক্রিকেটের মাঠে নাচলে টাকা, কমেণ্টারিতে বসে কথা বললে টাকা---দেদার টাকা৷ শুধু মাঠেই টাকা নয়, টাকা উড়ছে মাঠের বাইরেও৷ সেখানে আবার ক্রিকেট হলেই টাকা৷ ব্যাপারটা এইরকম---ধরা যাক কোনও খেলোয়াড় ৫০ রান কর

বাঙলার নববর্ষ বরণে স্পান্দনিক

কলকাতা ঃ গত ১লা বৈশাখ তিলজলা আনন্দমার্গ আশ্রমের জাগৃতি ভবনে সাংসৃকতিক প্রকোষ্ঠ ‘স্পান্দনিকে’র উদ্যোগে বাঙলার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালিত হ’ল৷ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ও তারপর প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রদত্ত ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবচনটি পাঠ করে শোনান আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ এই প্রবচনে প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বাঙলা ও বাঙালীর ইতিহাস সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাঙালী জনগোষ্ঠীর ইতিহাস তিন হাজার বছরের বেশী৷ কারণ অথর

পশ্চিমবঙ্গে চিরাচরিত প্রথায় দ্বিতীয় দফার বোট  শেষ হ’ল

অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ বোটদানে বাধা এইসব ছোটখাটো ঘটনার  মধ্যে দিয়েই দ্বিতীয় দফার তিনটি কেন্দ্রের বোট শেষ হল৷ পশ্চিমবঙ্গে বোট মানেই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ থাকবেই৷ দ্বিতীয় দফার বোটও তার ব্যতিক্রম নয়৷ বিশেষ করে দার্জিলিং কেন্দ্রে চোপড়া ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ইসলামপুর ও আর কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পাওয়া গেছে৷ তবে এবারে বুথ দখলের চেয়ে বোট দানে বাধা দেওয়ারই অভিযোগই বেশী৷ চোপড়া গোয়াল পোখর কাটা ফুলবাড়ি  প্রভৃতি এলাকা থেকে বোট দানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে৷ জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী খুশিরঞ্জন মণ্ডল জানান তার কেন্দ্রে বোট শান্তিতেই হচ্ছে বড় কোন ঘটনার খবর নেই৷ দার্জিলিং কেন্দ্রে

বিপন্ন জাতিসত্তা পুনরুদ্ধারে  মানুষের পাশে ‘আমরা বাঙালী’

পূর্ব ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলে আমরা বাঙালী ১১টি লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্রে লড়াই করছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ জানান পশ্চিমবঙ্গে আজ বাঙালী জাতিসত্তার অস্তিত্ব বিপন্ন৷ রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের স্বার্থে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের মদত দিয়ে চটুল রসের অসংস্কৃতির স্রোতে ভাসছে৷ ফলে কলুষিত হচ্ছে বাঙলার উন্নত ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি৷ বিপথগামী হচ্ছে বাঙলার তরুণ ছাত্র-যুব সমাজ৷ শ্রী দাশ আরও বলেন---ভারতবর্ষ কোনও একটি বিশেষ ভাষার মানুষের দেশ নয়৷ ৪৪টি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মজবুত করতে হলে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি, অর্থনীতিকে উন্নত করতে সমান