April 2019

রেলের টিকিটে বাংলা ভাষার দাবীতে শিয়ালদহ ডিভিশনে ‘আমরা বাঙালী’র স্মারকলিপি প্রদান

দমদম, বারাসত, ব্যারাকপুর সহ শিয়ালদহ ডিভিশনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনের রেলওয়ে টিকিটে ও ষ্টেশনে বাংলায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীজয়ন্ত দাশের নেতৃত্বে উল্লিখিত ষ্টেশন সমূহের ষ্টেশন মাষ্টার/ষ্টেশন সুপারিটেণ্ডেণ্টের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷

ওরা দু’পায়ে দলে, মরণ শঙ্কারে,  সবারে ডেকে গেল শিকল ঝংকারে

১৮ই এপ্রিল ১৯৩০-বাঙলার সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন৷ না, সভা-সমিতিতে জ্বালাময়ী বত্তৃণতা দিয়ে নেতা হওয়ার জন্যে নয়, মাতৃভূমির মুক্তির জন্যে আত্মত্যাগের এক দুর্লভ ইতিহাস৷ সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসককে যোগ্য জবাব দিতে বাঙলার ঘরে ঘরে তখন নবজীবনের সাড়া৷ একতরফা মার খাওয়ার দিন শেষ৷ সাম্রাজ্যবাদী বিদেশী শাসককে এবার যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ পরাধীনতার যন্ত্রণা জাগিয়ে তোলে বাঙলার সুপ্ত যৌবনকে৷ নেতৃত্বের লোভে নয়, দেশের জন্যে স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগের, জীবন উৎসর্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান, তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’ পরাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাতায় ওই সময়

গণতন্ত্র , নির্বাচন ও নৈতিকতা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতবর্ষকে বলা হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক তথা  প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র৷ আমাদের দেশের নেতানেত্রীগণ উঠতে-বসতে কথায় কথায়  ভারতীয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা, গণতন্ত্রের মান মর্যাদার কথা  বলেন৷ কিন্তু কোন নেতা বা নেত্রী  বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে  তাঁর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সত্যিকারের সম্মান রয়েছে কিংবা  তিনি গণতান্ত্রিক প্রথা পদ্ধতিকে আন্তরিকভাবে মেনে চলতে  সদা তৎপর!

ভক্তির সর্ব্বোচ্চ ধাপ

‘আমি পরমপুরুষের দাসানুদাস, তাঁর কাজ তিনিই করছেন, আমি তাঁর যন্ত্রমাত্র’–এই যে মানসিকতা একেই বলে ‘প্রপত্তি’৷ ‘প্রপত্তি’ শব্দের ব্যুৎপত্তি হ’ল ঃ প্র–পত্-ক্তিন্ = প্রপত্তি৷ প্রপত্তিভাবের সাধক দুঃখকে দুঃখ, সুখকে সুখ বলে আদৌ মনে করেন না বস্তুতঃ সুখ–দুঃখকে তিনি সমভাবে প্রসন্নচিত্তে গ্রহণ করেন৷

দ্বন্দ্বাত্মক ভৌতিকতাবাদ ও গণতন্ত্র

পূর্ব প্রকাশিতের পর

নৈতিকতা ঃ গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্যে নৈতিকতা দ্বিতীয় মূল উপাদান৷ নীতির অভাবে লোকে বোট বিক্রী করে৷ পৃথিবীতে এমন কতকগুলি দেশ আছে যেখানে বোট কেনাবেচা হয়৷ আমরা কি একে গণতন্ত্র লতে পারি? এটা কি প্রহসন নয়? তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত জনসংখ্যার শতকরা একান্ন জন লোক নৈতিক অনুশাসনকে কঠোরভাবে না মানছে ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্রের সাফল্য অসম্ভব যেখানে দুর্নীতিপরায়ণেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে সেখানে তাদের মধ্যে থেকেই অবশ্যম্ভাবীরূপে নেতা নির্বাচিত হবে৷

সংকীর্ণ সেন্টিমেন্ট ভিত্তিক  নির্বাচন বনাম দেশের আমূল পরিবর্তন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি মেদিনীপুরের লোকসভা প্রার্থী দিলীপ ঘোষ রামনবমীর দিন রামনবমীর মিছিলের নামে গদা হাতে মিছিল করলেন, কেউবা তলোয়ার হাতে মিছিল করলেন৷ প্রয়োজনে কারুর বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করারও হুমকি দিলেন৷

নির্বাচন বিধি অনুসারে অস্ত্র হাতে মিছিল নিষিদ্ধ৷ নির্বাচন কমিশন সেই ঘোষণাও করেছেন৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনারের সেই ঘোষণাকে অমান্য করেই মিছিলে অস্ত্র ব্যবহার করা হল৷

দিলীপবাবু---ইতোপূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, ‘রামনবমীতে অস্ত্র শোভাযাত্রা, ঐতিহ্য৷ আর যেটা ঐতিহ্য সে সেভাবে করবে৷’

নির্বাচনে দলগুলো নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা বলুক, ব্যষ্টিকেন্দ্রিক নোঙরা খেউড় বন্ধ করুক

প্রভাত খাঁ

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সতেরতম লোকসভা নির্বাচন চলেছে৷ কোন কোন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও এই সঙ্গে হয়ে যাবে৷ এবারে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ দেখা যাক কী হয়! এ.ড়িআর.

কশ্মীরে ওমর আবদুল্লার উক্তি সংবিধান বিরোধী ও মারাত্মক

ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য দেশের সংবিধানকে মেনে চলা৷ সেটি যদি কেউ না করে সেটা হবে সংবিধানবিরোধী কাজ৷ বিশেষ করে যখন যে ব্যষ্টি নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজ্যে বা কেন্দ্রে শাসন ক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব পান তাকে অবশ্যই সংবিধানকে মান্যতা দিতে হবে৷

বাতাসে বিষ

মনোজ কুমার সরকার

দূষণনগরী কলকাতা---দিনে ২০টা সিগারেটের বিষ ঢুকছে  প্রতিটি  নাগরিকের ফুসফুসে৷ দূষণের  চাদরে  ঢেকে  গিয়েছে  কলকাতার আকাশ বাতাস৷ পরিস্থিতি এতটাই  বিপজ্জনক যে, শহরে শ্বাস নেওয়া মানেই দিনে  গড়ে ১৮ থেকে ২০টা সিগারেট খাওয়ার সমান বিষ আমাদের  শরীরে ঢুকে যাচ্ছে৷ অর্থাৎ সিগারেট থেকে  দূরে  থেকেও  বা বাস্তবে  সিগারেট না খেয়েও আপনার অজান্তে ফুসফুসে ঢুকে যাচ্ছে  বিষাক্ত বাতাস--- যা আপনার  শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ গত ডিসেম্বরের (২০১৮) শুরুতে  কলকাতার  বাতাসে দূষণের  মাত্রা বাড়তে  শুরু করেছিল৷ ডিসেম্বরের প্রথম  সপ্তাহান্তে  দূষণের  পরিমান  অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিল যখন বাতাসে ভাসমান  ধ

শৈব বাংলায় বিকৃত সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে

মানস দেববাংলার কৃষ্টি সভ্যতা সংস্কৃতি আজ চরম সংকটের সম্মুখে৷ বাংলা সালের শেষ মাসের শেষ দিন৷ বছরের এই সময়টা বাংলা উত্তাল থাকে শিবের গাজনে৷ গর্জন শব্দ থেকে গাজন শব্দটা এসেছে৷ বছরের এই সময়টা বাঙলার সাধারণ মানুষ চৈত্র গাজনে মেতে থাকে, কিন্তু এবার বাংলা সালের শেষ দিন বিভিন্নস্থানে অস্ত্রহাতে ডিজে আর রাম রাম (বিকৃত হয়ে কানে বাজছিল ভাম ভাম) চিৎকারে যে লুম্পেন নাচ চলল তা একথায় বলা যায়, বাংলা ভাষা সংস্কৃতির উপর গণধর্ষণ৷ অবাক লাগল যারা এই নৃত্য করল তারা অধিকাংশই ভিনরাজ্যের,দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল মূলতঃ বাংলা ভাষী মানুষ৷