May 2019

পিতৃ–আজ্ঞা

বাপ–বেটাকে নিয়ে সংসার৷ বাপ হাটে গেছে৷ বেটা বাপের জন্যে ভাত–ডাল–তরকারী রেঁধে রেখেছে৷ বাবা খেতে বসে বলছে–রামচন্দ্র, রামচন্দ্র, ওরে রাউজা, দাইলনিতে কয় গণ্ডা মরিস্ দিস?

বেটা বললে–সয় গণ্ডা৷

বাপ–দিবারে কইসিলাম কয় গণ্ডা?

বেটা–আজ্ঞা, আষ্ট গণ্ডা৷

বাপ–দিস কত?

বেটা–আইজ্ঞা সয় গণ্ডা৷

বাপ–এ অন্ন কাউম্ না, এ অন্ন কাউম্ না৷

বেটা–এ্যাবার এ্যাডা ক্ষমা করেন, মাপ করেন৷ এক্কেরে কতা দিত্যাসি, এ্যামনডা আর অইবো না৷

ভারতীয় এ্যাথলেটিক্সের  ট্র্যাকের  নতুন রাণী স্বর্ণজয়ী পি.ইউ. চিত্রা

পর পর দু’টো এশিয়ান এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ১৫০০ মিটার ইভেন্টে ভারতের হয়ে সোনা জিতেছেন পি.ইউ.চিত্রা (পালাক্কিঝিল উন্নিকৃষ্ণন চিত্রা)৷ কেরলের পালাক্কাদের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারেরই সেজো মেয়ে চিত্রাকেই এখন বলা হচ্ছে ভারতীয় এ্যাথলেটিক্সের নতুন ট্র্যাকের রাণী৷

আসন্ন বিশ্বকাপের আগেই জন্টি রোডসের  বিরাট বাহিনীকে সতর্কবার্তা

আগামী ৩০শে মে ইংল্যাণ্ডে শুরু হতে চলেছে  ক্রিকেট বিশ্বকাপ৷ কে হবে চ্যাম্পিয়ন তার জন্যে সকলের চিন্তা৷ ঠিক এমন সময় বিরাট কোহালির ভারতীয় বাহিনীকে সতর্ক করে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার জন্টি রোডস৷ কারণ তিনি তুলে এনেছেন এবারের বিশ্বকাপের  পদ্ধতি৷ আসন্ন বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্বের খেলা হবে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে৷  যেখানে অংশগ্রহণকারী ১০টি দল পরস্পরের বিরুদ্ধে  খেলার পরে সেরা  চার দল যাবে সেমিফাইনালে৷ জন্টি ভারতীয় ক্রিকেট দলে ভারসাম্যের প্রশংসা করেও বলছেন, আরও  ছ’টি দল রয়েছে, যারা এ রকম ভারসাম্যযুক্ত ৷ জন্টির কথায়, ‘সেরা পনেরো জন ক্রিকেটার  হয়তো ভারতীয় দলে রয়েছে৷ তবে  এর বাইরেও আরও  ছ

ভারতীয় ফুটবলটিমের প্রাক্তন ফুটবলার নটরাজ প্রয়াত

প্রয়াত হলেন ফুটবল জগতের এক প্রবীণ ভারতীয় ফুটবলার দোরাইস্বামী নটরাজ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷ ১৯৭০ সালে এশিয়াড় বোঞ্জজয়ী জয়ী ভারতীয় টিমের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি৷ সেই  বছরেই তিনি মারডেকাতে জাতীয় টিমের সদস্য ছিলেন৷ সেখানেই ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারতীয় টিম৷ জাতীয় টিমের হয়ে তিনি ২৩টি ম্যাচে তিনটি গোল করেছিলেন তিনি৷ মাইশোরের হয়ে দুটো সন্তোষ ট্রফিও খেলেছিলেন৷ এছাড়া ১৯৭৫ সালে মহামেডানের হয়েও খেলেছিলেন তিনি৷ তাঁর প্রয়াণে জাতীয় ফুটবল জগৎ শোকাহত ও তাঁকে সকলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করা হয়৷

বিশ্বের ১৮২টি দেশে পালিত হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম তিথি উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলিকাতা ঃ গত ১৮ই মে আনন্দপূর্ণিমা তিথিতে (বৈশাখী পূর্ণিমা) বিশ্বের ১৮২টি দেশে আনন্দমার্গের সমস্ত ইয়ূনিট ও শাখা প্রতিষ্ঠানে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম শুভ জন্মতিথি উৎসব মহাসমারোহে পালিত হ’ল৷ আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সচিব আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত এই সংবাদ জানান৷ কলিকাতাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমেও এদিন মহা ধূমধাম সহকারে মার্গগুরুদেবের জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে আগের দিন অর্থাৎ ১৭ই মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয়৷ ১২ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের পর সকাল ৬টা ৭মিনিটে মার্গগুরুদেবের শুভ জন্মক্ষণ

লোকসভা নির্বাচন ঃ কালো টাকার খেল!

কোলপাতা ঃ ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞাপ্তি জারী হয়েছিল ১০ মার্চ৷ সেদিন থেকে ১৭ই মে পর্যন্ত পুলিশ ও আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা মিলে প্রায় ৬৭ কোটি (৬৬.৮৩ কোটি) কালো টাকা উদ্ধার করেছে৷ পুলিশের অনুমান এই টাকা বোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্যে পাঠানো হচ্ছিল৷

আনন্দনগরের মাধ্যমিকে ১০০ শতাংশ পাশ

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা  হল পুরুলিয়া জেলা৷ এই জেলার আবার প্রত্যন্ত প্রদেশে আনন্দনগর অবস্থিত৷

আনন্দনগর  হাইস্কুলে  স্বাভাবিকভাবে  চারপাশের অত্যন্ত দরিদ্র গ্রামবাসীদেরই  ছাত্ররা  পড়াশুনা করে৷

এই আনন্দনগরের  এবারকার  মাধ্যমিকের  ফলাফল  ১১৯ জন পরীক্ষা  দিয়েছিল, তাদের ১০০ শতাংশ  পাশ করেছে৷ তাদের মধ্যে  প্রথম বিভাগে  পাশ করেছে ৩৮ জন৷ তার মধ্যে ডবল ‘এ’ বিভাগে ১ জন, এ-প্লাস বিভাগে ও ‘এ’ বিভাগে ২৬জন, বি-প্লাস বিভাগে ৪২জন, বি-বিভাগে ৩৭ জন ও ‘সি’- বিভাগে ২ জন পাশ করেছে৷

আনন্দনগরে ড্যাম নির্মান

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ আনন্দনগরের এ.এম.আই.টি -র প্রিন্সিপ্যাল আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূতের  উদ্যোগে ‘বাবা মেমোরিয়্যালের  পাশে  দক্ষিণা নদীর ওপর একটি ড্যাম নির্মিত হয়েছে৷ গত ১৮ই মে আনন্দপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে এই ড্যামের উদ্বোধন  করেছেন  আনন্দনগরের আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রিন্সিপ্যাল আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত৷

স্বর্ণোজ্জ্বল সুপ্রভাতের আশায়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীতে মানুষ এসেছে দশ লক্ষ বছর হয়ে গেল৷ তার সভ্যতার বয়সও পনেরো হাজার বছর পার হয়ে গেল৷ জড়বিজ্ঞানও আজ উন্নতির চরম শিখরে৷ পর্বতকন্দর, অন্ধকারময় অরণ্যের পর্ণকুটির ছেড়ে মানুষ আজ আলো ঝলমল শহরের সুরম্য অট্টালিকার বাসিন্দা৷ তবুও আজও একটা সুসন্নিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠল না৷ বলা উচিত মানুষ গড়ে তুলতে পারল না৷ এটা আজকের মানুষের বুদ্ধি ও বোধির পক্ষে  খুব একটা গৌরবের নয়৷

মহর্ষি কপিল থেকে মনীষী কার্লমার্কস পৃথিবীতে অনেক দার্শনিক এসেছেন অনেক, দর্শনও দিয়েছেন, জীবন ও জগৎ নিয়ে মনীষাদীপ্ত চিন্তাভাবনার ছাপও আছে তাঁদের দর্শনে৷ তবু আদর্শ সমাজ গঠনের বলিষ্ঠ পথনির্দেশনা তাঁদের দর্শনে পাওয়া যায়নি৷

সংশ্লেষণের মহত্ত্ব

সংকোচনেই দুঃখ, আর ব্যাপ্তিতে পাওয়া যায় সুখ৷ মানুষ যখন ক্ষুদ্র বুদ্ধি তথা ক্ষুদ্র ভাবনার দ্বারা প্রেষিত হয়ে কাজ করে তখন সে ছোট হয়ে যায়, দুঃখ পায়, আর ক্ষৃহৎ ভাবনা নিয়ে কাজ করলে আনন্দ পায়, শান্তি পায়৷ যে মানুষ ক্ষুদ্র ভাবনা নিয়ে কাজ করে তার কী হয়? তার পথই বা কী? তার পথ বিশ্লেষণের পথ৷ এককে খণ্ড খণ্ড করার পথ৷ আর যে ক্ষৃহৎ ভাবনা নিয়ে কাজ করে, সে কী করে? সে অনেককে এক করে৷ তার পথ সংশ্লেষণের৷ তাই, সংশ্লেষণই জীবন (synthesis is life) সংশ্লেষণেই শান্তি (synthesis is peace) আর বিশ্লেষণ মানে মৃত্যু (analysis is death)৷

‘‘পিতা কস্য মাতা কস্য কস্য ভ্রাতা সহোদরাঃ৷