May 2019

হাওড়া ষ্টেশনে টিকিট কালেক্টরের হাতে বাঙালী ছাত্র নির্যাতিত

হাওড়া ঃ গত ৯ই এপ্রিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের তিন ছাত্র বাঁকুড়া থেকে ট্রেনে করে দুপুর বারোটা নাগাদ হাওড়া ষ্টেশনে এসে নামেন৷ তাদের কাছে বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও এক অবাঙালী টিকিট পরীক্ষকের হাতে ওই তিন ছাত্র নির্যাতিত হয়৷ টিকট পরীক্ষক তাদের টিকিট চাইলে তাদের টিকিট বের করতে একটু সময় লাগে৷ তাদের মধ্যে একজন ছাত্র (ধ্রুবজ্যোতি প্রধান) বলে---একটু দাঁড়ান টিকিট দিচ্ছি৷ কিন্তু টিকিট পরীক্ষক কোনও সময় না দিয়েই ধ্রুবজ্যোতিকে চড়, থাপ্পড় মারতে শুরু করে৷ ছাত্ররা প্রথমে থতমত খেয়ে যায়৷ কিছু পরে তারা টিকিট বের করে দেখালে তাদের ছেড়ে দেয়৷ স্কুলে ফিরে ছাত্ররা স্কুল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঘটনা জানালে তারা রেল দপ্তরে

উদয়নারায়ণপুরে সেমিনার

২৮শে এপ্রিল উদয়নারায়ণ, দক্ষিণ চাঁদচক্ আনন্দমার্গ স্কুলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়৷ উক্ত সভায় যোগ, তন্ত্র ও ভক্তি, আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক চিন্তাধারা ও আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত, শ্রীমিয় পাত্র, লক্ষ্মীকান্ত হাজরা ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এই আলোচনা সভায় মার্গীভাইবোন ও গ্রামবাসী সহ প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ আলোচনা সভার আয়োজন করেন শ্রীমহানন্দ সামন্ত৷

মার্গীয় বিধিতে নামকরণ অনুষ্ঠান

উদয়নারায়ণপুর দক্ষিণ চাঁদচক্ নিবাসী শ্রী মহানন্দ সামন্ত ও ঝর্ণা সামন্তের পৌত্র ও শ্রী কৌশিক সামন্ত ও সৌমি সামন্তের পুত্রের নামকরণও মুখে ভাতের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হুগলী ডায়োসিক্রস সচিব আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত ও উলুবেড়িয়ার ডি.এস.এল অবধূতিকা আনন্দ রূপালীনা আচার্যা৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দচিরমধুরা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷ প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন পরিবেশন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর মার্গীয় বিধিতে নামকরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ শিশুপুত্রের নাম রাখা হয় জীবনকৃষ্ণ সামন্ত৷

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মনে

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ ঃ মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে, নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷’’ সত্যি তো বাঙালী জনগোষ্ঠী কত প্রাচীন৷ এর এক উজ্জ্বল ঐতিহাসিকতা রয়েছে, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যবান বাঙালী---নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ রীতি, লিপি, নিজস্ব পোষাক ও পোষাক পড়ার পদ্ধতি, নিজস্ব দায়াধিকার ব্যবস্থা,

রামনগর রাও উচ্চবিদ্যালয়ে যোগের ওপর আলোচনা সভা

১৯শে এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরে রামনগর রাও উচ্চবিদ্যালয়ে যোগ সাধনার ওপর একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ সবাই উপস্থিত ছিলেন৷ সভার শুরুতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাননীয় শ্রী কালীপদ ধাড়া তাঁর  স্বাগত ভাষণে আজকের দিনে যোগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা বলেন৷ এরপর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পূর্ব মেদিনীপুর ভুক্তির ভুক্তিপ্রধান শ্রী মানস কালসার বক্তব্য রাখেন৷ তিনি যোগের দ্বারা কীভাবে চঞ্চল মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও মনঃসংযোগ আয়ত্ত করা যায় তা ব্যাখ্যা করেন৷ এরপর আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত যোগাসন ও যোগ সাধনার কথা বিস্তারিতভাবে আলোচনা কর

কবি বিদ্যাপতির সঙ্গে কবি চণ্ডীদাসের সাক্ষাৎকার

তোমরা জান এমন কিছু কিছু জায়গা পৃথিবীতে রয়েছে যেখানে এককালে কোন বিশেষ মহান পুরুষ বাস করতেন অথবা যেখানে একাধিক মহাপুরুষের অবস্থিতি ছিল, যেখানে আজও লোকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান৷ যেমন ধরো মুঙ্গের শহরের কষ্টহারিণী ঘাটে মিথিলার নামজাদা কবি বিদ্যাপতির সঙ্গে বাঙলার নামজাদা কবি চণ্ডীদাসের সাক্ষাৎকার হয়েছিল৷ সেই কষ্টহারিণী ঘাটটি আজ যে কেবল ধর্মপিপাসু মানুষেরই তীর্থক্ষেত্র তাই নয়, সাহিত্যের ব্যাপারেও যাঁরা একটু–আধটু উঁকি–ঝুঁকি মারেন তাঁরাও স্থানটিকে একবার দেখে যান......শোনা যায় সাক্ষাৎকারের সময় চণ্ডীদাস ছিলেন যুবক, বিদ্যাপতি ছিলেন বৃদ্ধ৷ উভয়ের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ছিল অনুমানিক চল্লিশ বৎসর৷ বিদ্যাপতি

৩০শে এপ্রিল

প্রভাত খাঁ

জড়বাদী অহংকারী পাষণ্ডের দল

               ছলবল করি’ কৌশল

নীতিবাদী মনগুলো স্তব্ধ করি’

               দিতে চায় হত্যার তাণ্ডবে

তাই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর

প্রতিবিধান করতে ভুলো না কখনো৷

হিমালয়ও চূর্ণ হয়ে যাবে–

যদি আঘাতে আঘাতে তারে

নাড়া দিয়ে চলো৷

ভয়ে ভীত কাপুরুষ ওরা, ওদের

সদাই ভয় হয়তো বা ধ্বংস

হয়ে যাবে৷ রজনীর অন্ধকার–

শেষ হয় নবীন সূর্যোদয়ে

প্রভাত আলোকে৷

আলোকের শিশু ওরা আলোকের

গান গেয়ে গেল৷

তমসার অন্ধকারে তাদের রক্তের

ঋণ শোধ দিতে ন্যায়দণ্ড হাতে

দিবালোকে সূর্য ডুবে গেল

পথিক

ঊনিশ শ’ বিরাশি সালের

৩০শে এপ্রিল

বিজন সেতুতে আর

বুন্দেল গেটের পাশে

সতেরটি অনুপম প্রস্ফুটিত গোলাপ

যাদের সুবাসে সুবাসিত হচ্ছিল

সভ্যতা–সমাজ....

অকস্মাৎ হিংস্র পিশাচেরা

শাণিত অস্ত্র দিয়ে

ছিন্নভিন্ন করে দিল গোলাপের দল

অ্যাসিড দিয়ে ঝলসিয়ে

পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে

প্রাণোচ্ছল নগরীর হূৎপিণ্ডে

রচনা করল

বীভৎস শ্মশান৷

সেদিন প্রকাশ্য দিবালোকে

সূর্য ডুবে গেল

যে সূর্য সমাজকে আলো দেয়

যে সূর্য ফুল ফোটায়

সভ্যতার কাননে কাননে

মানব জীবনে জ্যোতির ঝলক আনে

আশার আলো

নিখিল রঞ্জন মান্না

নিরাশার মাঝে আশার প্রদীপ

জ্বালিয়াছ তুমি, মূর্ত্ত পরমানন্দ!

মহামন্ত্রের বীণা ঝঙ্কারে,

ঘুচালে মনের সকল দ্বন্দ্ব৷

ধোঁয়ায় জাতির কলুষ-কালিমা,

ফিরায়ে আনিতে লুপ্ত গরিমা,

জাগাতে জাতির সুপ্ত চেতনা

রচিয়া দিয়াছ জীবন ছন্দ৷

জাগৃতি তব পাঞ্চজন্য

প্রাউট তব ব্রহ্মবাণ,

মার্গ তব মহাগাণ্ডীব

সেনানী তোমার মার্গীগণ

কলির দুঃখ করিতে হরণ

উজাড় করিয়া তনু প্রাণ মন

সঁপিয়া দিয়াছ, হে মহানন্দ!