May 2019

বাঙলার প্রাণধর্ম রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংসৃকতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

শিলচরের বাংলা ভাষা শহীদদের স্মরণে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচরে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দাবীতে বাঙালীদের আন্দোলন ও পুলিশের গুলিতে ১১ জনের শহীদ হওয়ার ঘটনাকে আজ ভারতের বাঙালীরা প্রায় ভুলেই গেছে বললে হয়৷ অসমের বরাক উপত্যকা চিরকালই বাঙলাভাষী এলাকা৷ কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের চক্রান্তে ও স্বাধীনতার পর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের ফলে বাঙলাভাষী বিশাল এলাকা অসমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ শুধু তাই নয়, বাঙালীদের মাতৃভাষা–শিক্ষা ও সরকারী কাজে তাঁদের মাতৃভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷ এর বিরুদ্ধেই ১৯৬১ সালে বাঙালীরা গর্জে উঠেছিলেন ও তাঁরা এর প্রতিবাদে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ সেই আন্দোলনের জেরেই নিরস্ত্র আন্দোলন

রবীন্দ্র–আদর্শ ও আমরা

সত্যসন্ধ দেব

আমরা প্রতি বছরের  মত এবারেও খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি– সিরিয়্যালে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব  অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শকে ভুলেই আমরা রবীন্দ্রপ্রীতির উচ্ছ্বাস দেখাচ

আজকের সমস্যা সমাধানে প্রাউট

মোহন সরকার

বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ‘অক্সফ্যামে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮ জনের কাছে যে সম্পদ আছে, তা গোটা পৃথিবীর অর্দ্ধেক অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি মানুষের সম্পত্তির সমান৷ ভারতেও বিত্তবান্ ১ শতাংশ মানুষের কাছে যে সম্পদ আছে তা আছে ভারতের মোট  জনসংখ্যার  ৫৮ শতাংশ  মানুষের  কাছে৷

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

অথচ ১৯৬২ সালে যখন চীন ভারত দখল করতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন সেই কাজে চীনের কম্যুনিষ্টরা যাতে সফল হয় সেই জন্যে  ভারতের কম্যুনিষ্টরা ভারতের জনগণকে বোঝাবার চেষ্টা করলো--- চীন আক্রমণকারী নয়, ভারতই আক্রমণকারী, চীন শুধু তার জবাব দিচ্ছে৷

---এই হচ্ছে কম্যুনিষ্টদের ভারত প্রেমের বহর৷ আর ওরাই আজ আওয়াজ তুলেছে ‘‘আনন্দমার্গীরা ভারত বিদ্বেষী’’!

মালদহে ‘মানবতা বাঁচাও দিবস’ পালন

গত ৩০শে এপ্রিল মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের রাধানগর লালবাথানি গ্রামে ‘মানবতা বাঁচাও দিবস’-এ  ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল নৃশংসভাবে নিহত ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীর প্রতি যথোচিত শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন মিলিত সাধনা ও স্মৃতিচারণের পর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অজিত মণ্ডল মহাশয়ের পরিচালনায় একটি চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় শতাধিক দুঃস্থ রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দমহাবিদ্যা আচার্যা ও স্থানীয় আনন্দমার্গী ভক্ত সাধকবৃন্দ৷

আকর্ষণ

জিতেন্দ্রলাল মণ্ডল

আমার সকল কথা মাঝে

তোমার বাণী অরূপ সাজে রাজে হিয়াতে

ঝিনুক বুকে মুক্ত ভরা, খুঁজে খুঁজে বাহির করা

গাঁথি মালাতে৷

এদিক ওদিক চলছি খন,মাঝে দাঁড়িয়ে

তুমি তখন টানছ আমায় লহর ধারায়

সোজা পথেতে৷

কত শোভা ছড়ায় আভা, দৃষ্টি হতে মিষ্টি প্রভা

ঝরে আঁখিতে৷

তোমার ঝলক চকিত এসে

ঝিলিক মারে মনের দেশে, ভাসি শোভাতে৷

যখন তোমায় মনে পড়ে, দেখি আমার খেলাঘরে

সুধা ধারাতে৷

দুলছি দোলন জীবন দোলায়,

কান্না হাসির সুর রে ছড়ায়

তোমার সুরেতে,

তুমি যে গো মধ্যমণি, মোহন সুরে বাঁশির ধবনি

বাজাও মাঝেতে৷

দুঃখ তারণ

জয়দেব বিশ্বাস

আনন্দস্রোতে মিশেছে আনন্দমুরতি

তাহে কিবা দুখ হে৷

জীবনের গান প্রাণেতে পশেছে

তবে দু’চোখে কেন বারি হে৷

শ্রেয়ের পরশে প্রেমের হরষ ডালি

ভরেছ যদি তবে ভয় তো নাহি হে৷

চিদানন্দ ধামে, হেরো, উত্থলিছে বারি

আনন্দমূরতি সেথা আনন্দ বিহারী হে,

আনন্দস্রোতে মিশেছে আনন্দমূরতি

তাহে কিবা দুখ হে৷

আনন্দসঙ্গীত

রাসবিহারী

তোমার চোখের দৃষ্টিপাতে

    হৃদয় কমল উঠবে ফুটে,

অঙ্গ আমার প্রণাম হয়ে

    ওই চরণে পড়বে লুটে৷

         একটু হাসি, একটু চাওয়া

         আমার সে যে চরম পাওয়া

         তোমার আশিস আসুক নেমে

         আমার হৃদয় পূর্ণপুটে৷

বিশ্বজুড়ে তোমার নিয়ম

    ঘুরছে চন্দ্র, সূর্য, তারা

সবাই আছে তোমার কাজে

    আমিই শুধু সৃষ্টি ছাড়া৷

    তোমার দেওয়া ব্যথার দানে

    ফুটবে কমল আমার প্রাণে

    তোমার কাছে আনবে টেনে

         আমার সকল বাধা টুটে৷.

বিশ্বকাপে ধোনির অভিজ্ঞতা  ভরসা জাতীয় দলের

অনেকদিন ধরেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে চার নম্বর জায়গা নিয়ে অনেক আলোচনা শুণে আসছি৷ আমার মনে হয়, এই নিয়ে বেশী কথা হচ্ছে৷  ভারতের হাতে তো একজন চার নম্বর ব্যাটস ম্যান আছেই৷ সেই ব্যাটসম্যানের নাম মহেন্দ্রসিং ধোনি৷ কেন যে ধোনিকে ধারাবাহিকভাবে নামানো হয়না, সেটাই আমার কাছে বড় রহস্য৷

যেভাবে প্রথমে অষ্ট্রেলিয়া ও তারপরে এই আইপি.এলে ধোনি খেলে চলেছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে  ওর  এখনো অনেক কিছু দেওয়ার  আছে৷  অবশ্যই বিশ্বকাপে যে সব বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ধোনিকে খেলতে হবে, তা ওর কঠিন পরীক্ষা নেবে৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ধোনি দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না৷