May 2019

ময়ূরভঞ্জে অখণ্ড কীর্ত্তন, চিকিৎসা শিবির ও নারায়ণ সেবা

গত ৯ই মে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার কুসমি ব্লকের  অন্তর্গত সুনুয়া গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী যোগেশ্বর মাহাতর গৃহপ্রাঙ্গণে ৬ঘন্টাব্যাপী ‘বাবা নাম কে বলম্’ সিদ্ধমন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ এই কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তনের পর সাধনা ও ভক্তিতত্ত্বের ওপর বক্তব্য রাখেন সেবা ধর্ম ভুক্তিপ্রধান সুরেশ নায়েক৷ সারাদিন ধরে চিকিৎসা শিবিরেরও আয়োজন  করা হয়৷  ডাঃ যুধিষ্ঠির  মাহাতের পরিচালনায় শতাধিক  দুঃস্থ রোগীকে  বিনাব্যয়ে চিকিৎসা করা হয় ও ফ্রি ঔষধও দেওয়া হয়৷ সবশেষে নারায়ণ সেবায় সমস্ত ভক্তদের  আপ্যায়িত করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সাংবাদিক ও সম্পাদকদের ধিক্কারও  ওদের হিসেবে গোলমাল করে দিয়েছিল---

‘‘পাশেই থানা৷ তারা গুজবের কথা জানত, অথচ তারা প্রস্তুত ছিল না৷ নির্বিকার ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশ মন্ত্রী৷ যেমন তিনি বিদ্যুৎমন্ত্রীও৷ আর কতদিক দিয়ে আমাদের জীবনে অন্ধকার নামাবেন, মুখ্যমন্ত্রী মশাই ’’?              (সম্পাদকীয় আজকাল)৷

‘‘যাঁর নামে বিজন সেতুর নাম তিনি না ছিলেন বিপ্লবী, না ছিলেন মন্ত্রী, তবু মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন৷ আপনাদের নিস্ক্রিয়তায় সেই সেতু আজ কলঙ্কিত৷ ধিক্ ধিক্ ধিক্৷’’        (সম্পাদকীয় আজকাল)৷

মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,

পাতিনেবুর উপকারিতা

  1. দু’ চা চামচ নেবুর রস দু’ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷
  2. শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷
  3. অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷
  4. নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷
  5. নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷
  6.  নেবুর রসে চিনি ও জল মিশিয়ে একমাস ধরে রাত্তিরে শোয়ার আগে খেলে বহু পুরনো কো

তোমার কাছে

সাধনা সরকার

বড্ড তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে

ইচ্ছে করে দু’দণ্ড বসি

ভুলে যাই সংসার সমাজ লাভ-ক্ষতির টানাটানি

শুধু জানি সত্য আছো তুমি

আছো জীবন নদীর গভীরে৷

তোমার মত ভালবাসা

কখনও তো কেউ দেখেনি

কেউ তো বলেনি কাছে আয়

আরো কাছে

আয় আয়৷

পরম প্রেম

বিভাংশু মাইতি

তোমাকে ভালবাসি বলেই তো

রাত জেগে প্রীতির কাজল মাখি

বিকশিত শতদলে তোমাকে ধরে রাখি৷

তুমি ভালবাসো বলেই তো

দু’হাতে দুঃখ মাখি, কাঁটার পথে চলতে থাকি

নতশিরে অশ্রুনীরে সকল ব্যথা ভুলে থাকি৷

যদি কোনদিন..............

যদি কেনাদিন এমন হয়

তুমি মুখ ফিরিয়ে চলে যাও অবহেলায়

আমার চোখে চোখ না রেখে দূরে ঠেলে দাও৷

তবু জেনে রেখো ..........

তবু তোমাকেই আমি ভালবাসব আজীবন

তুমি যে মোর চিরশ্বাশত প্রেমের ভুবন৷

অসীমতার বিপুল বানে

রামদাস বিশ্বাস

দূর আকাশের নীহারিকা সেও চাহে ধরার পানে

কি কথা যে হয়েছিল তোমার সাথে কানে কানে৷৷

তুমি আস মাঝে মাঝে চৌদিকে দামামা বাজে

বিশ্বজনের মন উচাটন তোমার অপার কৃপার টানে৷৷

তুমি এসে ডাকলে আমায় নির্ধারিত মানব কায়ায়

ভেসে গেলাম তোমার কাছে অসীমতার বিপুল বানে৷৷

মধুর হাসিতে

রাসবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়

এই ধরণী গড়লে তুমি অশ্রু হাসিতে

চোখে জলে শিখিয়ে দিলে ভালবাসিতে৷

তোমার হাওয়া, তোমার আলো

আমায় তারা পথ দেখালো

মন যে আমার মেলে দিলাম আঁধার নাশিতে৷

তুমি আমায় যা দিয়েছো ফিরিয়ে দেবো তাই,

মন্দ ভালো তোমার সবই আমি কোথায় পাই?

সংসারেতে যেতে যেতে হলো অনেক দুঃখ পেতে

সকল ব্যথা দাও ভুলিয়ে মধুর হাসিতে৷৷

তব চিত্তে

শ্রীমন

জীবনে মরণে তোমাকেই আমি জানি,

জানি প্রভু মনোপটে তব ছবি মানি৷

আলো আঁধারের খেলায় তব লীলায়,

মন মেতেছে, ভুবন মেতেছে বিশ্বদোলায়৷

চির অন্ধকার থাকবে না আর

আলো আনিলে প্রভু,

অসাধ্য সাধন, ভালবাসার বন্ধ দ্বার

খুলে দিলে তবু,

ডাক দিয়েছ সব মানবে

তব করুণার অনুরাগে,

জীবে প্রেম জাগিয়েছ ভবে

তব কুসুম পরাগে৷

তুমি হাসিয়েছ কাঁদিয়েছ

তুমি মাতিয়েছ নৃত্যে

তোমার তরেই যাওয়া আসা

তোমায় চাওয়া চিত্তে৷

তোমার বীণার সুরে সুরে

কৃষ্ণলাল দাস

তোমার বীণার সুরে সুরে

               বিশ্বভুবন গেছে ছেয়ে

পরশ তাহার পেলাম খঁুজে

               তোমারই গান গেয়ে গেয়ে৷

সেই সুরের মধুর তানে

               লাগল দোলা আমার প্রাণে

মাতাল হল মন যে আমার

               সেই সুরের পরশ পেয়ে৷

তোমায় আমি খুঁজে ফিরি

               আমার সুরে সুরে

কোথায় তোমার নিবাস ওগো

               কোন্ সে সুদূরে

তোমার সুরে হলে হারা

তবেই তোমার পাই গো সাড়া

               তোমার বীণার আনন্দধারা

               এবার গেল ছেয়ে৷