June 2019

মোদি কি দেশকে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের পথে দেশকে নিয়ে যেতে চান?

মনোজ দেব

দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাধিক্যে ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী আবার আবাজ তুলেছেন এক জাতি, এক নির্বাচন৷ একটা কথা জেনে রাখা ভাল---বিপুল সংখ্যা হলেও বিপুল জনসমর্থন ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় এই নির্বাচনের ফল নয়৷ দীর্ঘকালীন ভোট, বিপুল পরিমাণ অর্থের ছড়াছড়ি, তারপর নির্বাচন কমিশনের ভেতর থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে৷ প্রযুক্তিগত কারচুপিরও অভিযোগ উঠছে৷ এই নিয়ে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও পক্ষই বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করেননি৷ মোদি জমানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন তার সহ বিচারপতিরা৷

একটি জরুরী জানার বিষয় : কী করে বুঝবেন ষ্ট্রোক হয়েছে

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন৷ উঠে দাঁড়িয়ে তিনি  বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল আটকে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন৷ কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না৷

সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিষ্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন৷ যদিও মনে হচ্ছিল যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন৷ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন৷ পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন৷

ভাবজড়তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম

ধর্মমতের উপর ভিত্তি ক’রে তৈরী হয়েছে পাপ–পুণ্যের খসড়া, তৈরী হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন দণ্ডসংহিতা ও শাস্ত্র৷ নিজেদের কায়েমী স্বার্থের দুরভিসন্ধিতে সেই সব শাস্ত্রকে অপৌরুষেয় বলে প্রচার করা হয়েছে৷ তাই মানুষের থেকে তথাকথিত শাস্ত্র বর্ণিত দেববাণীর দাম অনেক বেশী৷ মানুষ সেই বাণীর, সেই ব্যবস্থার অবমাননা বা বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে পেতে হবে কঠোর শাস্তি৷ বিজাতীয় মানুষকে স্পর্শ করা মহাপাপ৷ সমাজ থেকে তাকে হ’তে হবে বিতাড়িত সেই পাপের জন্যে৷ শাস্ত্রমতে হয়তো প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, সে প্রায়শ্চিত্ত কখনও কখনও তার প্রাণহানিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেউ যদি এই কঠোর শাস্তি থেকে একটু শৈথিল্য প্রার্থনা করে, সমাজগুরুরা তা

শরণাগত

রাসবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি তোমায় স্মরণ নিলাম

               ওগো দয়াময়,

মলিনতা দাও গো মুছে

               করো গো নির্ভয়৷

যেদিন আমি এলেন ফেলে

               ভুলিতে দাও অবহেলে

তোমার আশীষ মাথায় করে

               গাহি তোমার জয়৷

তুমি আছ সাথে সাথে

               তুমি হৃদয় মাঝে

তোমায় যেন স্মরণ করি

               আমার সকল কাজে৷

সুখের দিনে দুখের দিনে

               কাটবে না দিন তোমায় বিনে

সকল সময় পাই যেন গো

               তোমার বরাভয়৷

কোন আলোতে মন ভরালে

রামদাস বিশ্বাস

কোন আলোতে মন ভরালে হৃদয় নাচে উল্লাসে৷

আলোয় আলোয় মন ভেসে যায় শীতল মলয় বাতাসে৷৷

ভুবন ভরা রঙের খেলায় নামালে আজ বিশ্ব মেলায়

শিমুল পলাশ আম্রমুকুল ভাঙলো দুয়ার মধু মাসে৷৷

ডাকলে এ কোন বাঁশির সুরে মাতাল মনন মরে ঘুরে

রঙের খেলায় ফুলের মেলায় তোমার চরণ ধরার আশে৷৷

শ্রীচরণে

বিভাংশু মাইতি

আমার মনের বনে ফুটে ওঠা

ভাব-ভাবনার ফুলগুলো

ভক্তিভরে তোমার পায়ে

দিলুম আমি অঞ্জলি৷

আমার চিদাকাশে জেগে ওঠা

রামধনুর ওই রঙগুলি,

সযতনে রাঙিয়ে দিলুম

ওই আলতা বরণ পাগুলি

শক্তি ভক্তি, বুদ্ধি-বিবেক

যা কিছু মোর ঘরে আছে

সযতনে সঁপে দিলুম

সেই চরণের কাছে৷

সব কিছু মোর নিঃশেষে নাও

গ্রহণ কর মোরে,

সেই চরণে ঠাঁই যেন পাই

জন্ম-জন্মান্তরে৷

মজার মাস জষ্ঠি

প্রণব কান্তি দাশগুপ্ত

লঙ্কানুনে আমের কুসি

খাও দুপুরে যত খুশি

কাঁটাল পাকে আঃ কী বাস!

কিংবা শশা সেটাও আশ

জষ্টি ভারী মজার মাস!

খেজুর ফুটি আর কী চাই---

তরমুজ কি গোটাটাই ?

খাও-না কচি তালের শাঁস---

জষ্টি ভারী মজার মাস!

জাত কি কারো আছে?

ক্রীত + কন = ক্রীতক৷ প্রাচীনকালে পৃথিবীর সব দেশে কিছু এমন সংখ্যক দুঃস্থ লোক ছিলেন বা থাকতেন যাঁদের জীবিকা ছিল সন্তান বিক্রী করা৷ পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান দুই–ই তাঁরা বিক্রয় করতেন৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের অর্থ তাই কেনা পুত্র বা ক্রীত পুত্র অর্থাৎ পোষ্যপুত্রও হয়৷ তেমনি আবার ক্রীতদাসও(গোলাম, ইংরেজীতে ত্রপ্ত্ত্র্লন্দ্ব) হয়৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গরূপ ‘ক্রীতকী’৷ ‘ক্রীতক’ শব্দের অর্থ নিজের কন্যার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া নিজ–জামাতা বা ঘরজামাইও হয়৷ বলা বাহুল্য এই সকল ঘরজামাই–এর অবস্থা ছিল ক্রীতদাসেরও অধম৷ রাঢ়ের প্রাচীন গানে আছে–‘‘ঘরজামাইয়ে শ্বশুরবাড়ী মেগের লাথি খায়’’, অথবা–

জমে উঠছে বিশ্বকাপ ২০১৯

বিশ্বকাপে এই প্রথম রাউণ্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে প্রথম পর্যায়ের ম্যাচ গুলি হচ্ছে৷ উদ্দেশ্য ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে৷ সেমিফাইনালের আগে প্রত্যেকটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে৷ এবার দশটি দলের মধ্যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা হচ্ছে৷ আয়োজক দেশ ইংলণ্ড ছাড়া রয়েছে ভারত, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড, পািিকস্তান, ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, বাঙলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান৷ এখনও পর্যন্ত যে ক’টি ম্যাচ হয়েছে তার মধ্যে ভারত অষ্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত সাড়ে তিনশোর গণ্ডি অতিক্রম করে অষ্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে৷ অষ্ট্রেলিয়াও অঙ্ক কষে ম্যাচ

বিশ্বকাপের আসরে এত চোট-আঘাত কেন?

বিশ্বকাপের মত বড়ো আসরে, যেখানে বিশ্বের সেরা দলগুলি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সেখানে প্রতিটি খেলোয়াড়েরই একশ’ শতাংশ সুস্থ থাকতে হবে৷ মনে রাখতে হবে কোনও একজনের ওপর একটি দলের সাফল্য নির্ভর করবে না, তেমনি কোন একটি একজন খেলোয়াড়ের অসুস্থতা বা খেলার মধ্যে ভুল করাটা সেই দলের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস হতে পারে, একটি রান আউট বা একটি স্ট্যাম্পের সুযোগ হাতছাড়া হলে দল বিপদে পড়তে পারে এমনকি সংশ্লিষ্ট দল পরাজিতও হতে পারে৷ তাই এই মহারণে একটি রান বাঁচানোর জন্যে শরীরকে ছঁুড়ে দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা৷ তাই ক্রিকেটে এখন সেই সকল খেলোয়াড়েরাই সাফল্য পাবেন যাঁরা শ