June 2019

তেলিয়ামুড়া আনন্দমার্গ হাইস্কুলের সব ছাত্র উত্তীর্ণ

আগরতলা ঃ ত্রিপুরা রাজ্যের তেলিয়ামুড়া আনন্দমার্গ হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই সুনামের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৩৯জন প্রথম বিভাগে ও অন্যান্যরা দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে৷ উল্লেখ্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছরই ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হয়ে আসছে৷

সদাশিবের আলোকে যোগ, রাজযোগ, অষ্টাঙ্গিক ও রাজাধিরাজ যোগ

দর্শনশাস্ত্র প্রথম লিখলেন (তখন অক্ষর উদ্ভাবিত হয়েছে) মহর্ষি কপিল*৷  লোকে তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হ’ল৷ প্রথম দর্শনের প্রবক্তা হিসেবে সমাজের সমস্ত পণ্ডিতেরাই এক বাক্যে ‘‘আদি বিদ্বান’’ বলে তাঁর মাথায় সম্মানের শিরোপা চড়িয়ে দিলেন৷ রাঢ়ের এই সারস্বত পুরুষ সৃষ্টিরহস্যের মূল কারণগুলো সংখ্যাক্ষদ্ধ করে বিদ্বৎসমাজে সাজিয়ে তুলে ধরলেন৷...

বাঙলার সম্ভাবনা

আজকাল অনেক জায়গাতেই গভীর নলকূপের সাহায্যে জল তুলে চাষ করা হয়, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়, কারণ যত পরিমাণ জল তোলা হয়, তত পরিমাণ জল ওই গভীরতায় ফিরে যেতে পারে না৷ রোদের তাপে অনেকটা বাষ্প হয়ে যায়, আর কিছুটা গাছপালারা টেনে নেয়৷ এর ফলে জল–তল হু হু করে নেবে যায়৷ মালদা, নদীয়া ও অন্যান্য জেলায় যেভাবে গভীর নলকূপ ব্যবহার করা হচ্ছে তা যদি বন্ধ না করা হয়, তাহলে জল–তল এত নেবে যাবে যে ভবিষ্যতে সেচের জলের অভাবে সমস্ত ফসল ও গাছপালা মরে যাবে৷ চাষীদের এই সমস্যা সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে৷ নদীর জলকে সেচের কাজে লাগানোটাই সর্বোত্তম উপায়৷

হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন রুখতে হবে

কেন্দ্রে আবার বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে৷ এর জন্যে এরা যে বিপুল অর্থশক্তি ও রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য৷ তার ওপর বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজন নীতি সাধারণ মানুষকে যে বিপথে পরিচালিত করেছে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই৷

মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ সমাজের বা দেশের প্রকৃত উন্নতি ঘটাতে গেলে সমস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হয়৷ মানুষে মানুষে আপাত বিরোধ বা পার্থক্য ভুলে সমস্ত মানুষকে ঐক্যের সূত্রে আবদ্ধ করে চলতে হয়৷

বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থরক্ষার তাগিদে আপামর বাঙালীকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা বাংলার মাটি, জল, পরিবেশ, জলবায়ু, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বাঙালী জাতির বৈশিষ্ট্যে এক অভিনব স্বকীয়তা প্রদান করেছে৷ বাঙালী একাধারে অতি ভাবপ্রবণ, সহজ-সরল জীবনে অভ্যস্ত,সহনশীল, অতিথি বৎসল---আবার প্রয়োজনে এই বাঙালীই অস্ত্র হাতে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতেও সমান দক্ষ৷ বাঙালির ঐতিহ্য আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা, মিলন,মৈত্রী ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্বল৷ ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, স্বদেশপ্রেম, সর্বক্ষেত্রেই বাঙালীর অবদান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছে৷ এই বাংলাতেই জন্মেছেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ,ঋষি

বহু ভাষাভাষী রাষ্ট্র ভারত যেখানে বহুত্ববাদকে মান্যতা দিতে হবে সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দী ভাষা নিয়ে বাড়াবাড়িটা বিসদৃশ

প্রভাত খাঁ

দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি তথা এন.ডি.এ৷ সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হ’ল কীভাবে সারা ভারতে যে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যায় কোটি কোটি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার হয়ে জীবন যন্ত্রণা ভোগ করছেন তার কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা৷ তা না করে সেই হিন্দীভাষাকে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কচি কচি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রবেশ করানো যায় তার জন্য পাঠ্যবিষয়ে হিন্দীকে বাধ্যতামূলক করতে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এ ব্যাপারে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরী জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করার প্রস্তাব করা হয় লোকসভায়৷ ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে মাতৃভাষা, ইংরেজী ও হিন্দী ভাষাকে বাধ্যত

মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তনানুষ্ঠান

দেবীপুর, গত ৫ই জুন তারকেশ্বরের দেবীপুরে তারকেশ্বর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শ্রীযুক্ত বিজন চক্রবর্তী মহাশয়ের বাড়ীতে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত ও ব্রহ্মচারিণী আনিন্দিতা আচার্যা৷ কীর্ত্তনের মহিমা ও তার সুফল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ব্রহ্মচারিণী অনিন্দিতা আচার্যা, আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত ও শ্রীশিবশঙ্কর পাল মহাশয়৷ এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন মার্গীভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন শেষে সাধনা, স্বাধ্যায় ও নারায়ণ সেবা অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠান

১লা জুন, তারকেশ্বর ঃ  হুগলী জেলার তারকেশ্বরে আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়৷ পাত্র ঃ শ্রী কৃষ্ণেন্দু দাস, পিতা শ্রী গোপাল দাস, কামারকুণ্ডু৷

পাত্রী ঃ শ্রীমতী রিয়া মণ্ডল, পিতা-দেবেন্দ্র নাথ মণ্ডল, পদ্মপুকুর তারকেশ্বর৷

আনন্দমার্গীয় বিধি অনুসারে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

শ্রীরামপুর ঃ হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের চাতরা দত্তপাড়ায় ৬ই জুন প্রবীণা আনন্দমার্গী শ্রীমতী শ্যামলী লাহার (৬২)  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্যের বিধি অনুসারে সুসম্পন্ন হয়৷ শ্রীমতী লাহা প্রাক্তন শ্রীরামপুরের আনন্দমার্গের মহিলা শাখার সম্পাদিকা ছিলেন৷ তাঁর স্বামীর নাম শ্রী নীলরতন লাহা৷ তিনিও একনিষ্ঠ আনন্দমার্গের সাধক৷ এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠান শেষে স্মৃতিচারণ করেন প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রীপ্রভাত খাঁ মহাশয়৷

জিটিএ বিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি কমিটি

আগামী ১৮ই জুলাই শিলিগুড়িতে জি.টি.এ চুক্তির প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে৷ গত ৯ই জুন সেই বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি সভা হ‘ণ্ডল শিলিগুড়ির বরেন্দ্র ভবনে৷ এই প্রস্তুতি সভায় ১৮ই জুলাইয়ের বিক্ষোভ মিছিলকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়৷ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালীর দার্জিলিং জেলা কমিটির জেলা সচিব বাসুদেব সাহা, কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল ও দার্জিলিং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীরদ অধিকারী৷ এছাড়া আমরা বাঙালীর ৪০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন৷