June 2019

জলপাইগুড়ি জেলার আমরা বাঙালী সচিব পরিবর্তন

আমরা বাঙালীর জলপাইগুড়ি জেলা সচিব কেশব চন্দ্র সিংহ শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় পার্টির কাজের সুবিধার কথা ভেবে বিকল্প ব্যবস্থার জন্যে জেলার কর্মীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল, উক্ত জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীেয় কমিটির সদস্য নীরদ অধিকারী৷ উক্ত সভায় উপস্থিত সকলের মতামত নিয়ে জেলা সচিব নির্বাচিত হন শ্রী ধীরেন রায় ও সহ সচিব নির্বাচিত হন প্রভাত সরকার৷

সবংয়ে মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান ও তত্ত্বসভা

গত ৯ই জুন মেদিনীপুর জেলার গুণ্ডুৎ গ্রামে (সবং থানা) শ্রী সন্দীপ দাস ও শ্রী প্রদীপ দাসের  নবনির্মিত ভবনে আনন্দমার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ এছাড়া এই অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত, আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ গুণময়া আচার্যা, আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্য প্রমুখ৷

সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারদের কর্মবিরতি  ঃ লক্ষ লক্ষ রোগী বিপন্ন

১৩ জুন ঃ গত ৯ই জুন কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জনৈক রোগীর মৃত্যুতে রোগীর ক্ষুদ্ধ আত্মীয়দের অভিযোগ, ঠিকমত চিকিৎসা  না হওয়াতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার ও রোগীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে বচসা হয়৷  আর তাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারদের ওপর ক্ষুদ্ধ জনতার আক্রমণ ও ইট বৃষ্টি হয়৷ এতে গুরুতর আহত হন এন.আর.এসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায় আরও অনেক ডাক্তার আহত হন৷ গুরুতর আহত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে  ভর্তি করা হয়৷ আপাততঃ তিনি বিপন্মুক্ত৷ তাঁর করোটির ডান দিকের হাড় ভেঙেছে বলে জানা গেছে৷

‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে দুঃস্থ কর্ষকদের  মধ্যে বীজ ধান বিতরণ

পুরুলিয়া, পুন্দাগ ঃ গত ৭ই জুন পুন্দাগ বাজারে ৫২টি গ্রামের দুঃস্থ কর্ষকদের মধ্যে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ  ধান বিতরণ করা হয়৷ এই বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী শ্রী অশোক সিংহ দেও৷ প্রধান অতিথি হিসাবে  উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়৷ অনুষ্ঠানের প্রথমে সভাপতি শ্রী অশোক কুমার সিংহ দেও মহাশয় পাঁচজন কর্ষকদের হাতে বীজে বস্তা তুলে দেন৷ এরপর প্রধান অতিথি বকুলচন্দ্র রায় উপস্থিত কর্ষকদের  মধ্যে বীজ ধান বিতরণ  করেন৷ একে একে রাঢ় সাংগঠনিক সচিব বিভূতি দত্ত, জয়পুরের এল.জি.

হিন্দী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুগলী জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র প্রতিবাদ কর্মসূচী

৭ই জুন ঃ হুগলী জেলার চন্দননগর ও চুঁচুড়া ষ্টেশন চত্বরে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বাঙালী ও বাংলা ভাষার ওপর হিন্দী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হিন্দী ভাষাকে অহিন্দী ভাষী অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ বিভিন্ন বক্তা তাদের বক্তব্যে এর প্রতিবাদে সরব হন ও আপামর বাঙালীকে এই ধরণের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সামিল হতে আহ্বান জানান৷

বক্তব্য রাখেন হুগলী জেলা সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্হা ও বাঙালী ছাত্র যুব সমাদের প্রতিনিধি শ্রী তমোময় বিশ্বাস ও কৌস্তুভ সাহা৷

স্বাস্থ্য ও কৌশিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর (Stratum) রয়েছে– শারীরিক (Physical), মানসিক (Phychic) ও আধ্যাত্মিক (Spiritual)৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও (Physical stratum) উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর (Psychic stratum) অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের (Spiritual stratum) গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও (Psychic stratum) অবহেলার জিনিস নয়৷ তাই তারও চর্চা আবশ্যক৷ তেমনি যারা আধ্যাত্মিক চর্চা করে না, কেবল শরীর ও মনেরই চর্চা করে তারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের মানসিকতা স্থূল হয়ে প

আমার বকুল তলাতে

রামদাস বিশ্বাস

বকুল গাছের তলাতে ব’সে দুপুর বেলাতে

গাঁথি মালা দেব ব’লে বন্ধু তোমার গলেতে৷৷

গরমকালে নিদাঘ বেলা অঙ্গ করে জ্বালা জ্বালা

মনটি বসাই যত্ন ক’রে বকুল ফুলের মালাতে৷৷

আদুল গায়ে পীত বাসে চিকনকালো মধুর হেসে

আড় বাঁশীটা নিয়ে বসো আমার বকুল তলাতে৷৷

তুমি এসেছো

মনোজ পাতর

ভালবাসায় এসে কথা দেয় চুপি চুপি,

অন্তরে তাই ছবি আঁকি---

হৃদয়ে সেতার বেজে ওঠে.......

অনুরাগের রাগ-রাগীনিতে৷

ভক্তি-বিরহ এক হয়ে যায়,

আছড়ে পড়ে হৃদয় মন্দিরে৷

বুঝি তুমি এসেছো! আনন্দ আর ধরে না---

উপচিয়া যায়......

তব আলোকস্নাত স্মরণে,

শয়নে স্বপনে৷

আনন্দময় ভূবনে --- একান্ত গোপনে,

চেয়ে দেখি---একি!

কল্পনা নয় বাস্তব মূরতি,

অসীম আনন্দের প্রভু আনন্দমূরতি৷

জানি তুমি এসেছো---

চির অন্ধকারের নিদ্রা সরায়ে দিতে

তুমি এসেছো৷

প্রভু হে আমার

রাসবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রভু হে আমার, আমি যে তোমার

দয়ার যোগ্য নই,

আঁধার নিশিথে একেলা চলিতে

জানিনাকো তোমা বই৷

বিপথে কখনো যদি যাই চলে

ফিরায়ো কঠোর শাসনের ফলে

আমারে গড়িতে যে বেদনা দাও

মাথা পেতে তাহা লই৷

যা কিছু আমার আছে আপনার

পারিনি তোমায় দিতে,

তোমার করুণা দিয়েছি ফিরায়ে

শকতি নাহিকো নিতে৷

যদি দয়া কর, যদি ভালোবাসো

দূরে নাহি ঠেলে, যদি কাছে আসো

তোমার আমার সব বাধা ঘুঁচে

আমি যে তোমার হই৷

পরম প্রেম

বিভাংশু মাইতি

তোমাকে ভালবাসি বলেই তো

রাত জেগে প্রীতির কাজল মাখি

বিকশিত শতদলে তোমাকে ধরে’ রাখি৷

তুমি ভালবাসো বলেই বলেই তো

দু’হাতে দুঃখ মাখি, কাঁটার পথে চলতে থাকি

নত শিরে অশ্রু নীরে সকল ব্যথা ভুলে থাকি৷

যদি কোনদিন ....

এমন হয় তুমি মুখ ফিরে চলে যাও অবহেলায়

আমার চোখে চোখ না রেখে দূরে ঠেলে দাও

তবু জেনে রেখো....

তবু তোমাকেই আমি ভালবাসবো আজীবন

তুমি যে মোর চিরশ্বাশত প্রেমের ভুবন৷