September 2019

মঙ্গলকোটে পুরোনো পুঁথি উদ্ধার

বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ক্ষীর গ্রামের একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১৫০টি পুরোনো পুঁথি উদ্ধার হয়েছে৷ সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মূর্ত্তিও পাওয়া গেছে৷ স্কুলের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পড়ে থাকা পুঁথি ও মূর্ত্তিগুলি গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়৷

চরম দারিদ্র্য, অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব অশিক্ষার অন্ধকার, চিকিৎসার অভাব, বিপর্যস্ত সমাজ - প্রাউটই উত্তোরণের পথ

অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনা, সামাজিক অস্থিরতা, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়, ধর্মীয় কুসংস্কারের আবর্তে পড়ে মানব সমাজ আজ দিশেহারা, বিপর্যস্ত৷ প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ এই পৃথিবী৷ বনজ, কৃষিজ, খনিজ, জলজ, ভেষজ---প্রকৃতির অফুরন্ত সম্পদে পরিপূর্ণ ভারতবর্ষ৷ শুধু ভারতবর্ষ কেন পৃথিবীর বহু অঞ্চলই মানুষের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় সবরকমের সম্পদেই ভরপুর৷ তবু কেন এই দারিদ্র্য? কেন এত অভাব অনটন?

এন আর সি---অসমের ভূমিপুত্র বাঙালীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত ঃ আমরা বাঙালী

এন আর সি-র নামে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত চলছে৷ অসমের ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে অসমে অসমিয়ারাই প্রকৃত বিদেশী৷ কয়েকশ’ বছর আগে এই অসমিয়ারা ব্রহ্মদেশ থেকে এসে অসমের বাঙালী রাজার রাজত্বে আশ্রয় নেয়৷ অসমের নাম তখন প্রাগ্জ্যোতিষপুর৷  ভাগ্যের পরিহাসে সেই অসমিয়ারাই আজ অসমের ভূমিপুত্রদের বিদেশী চিহ্ণিত করছে৷

প্রভাত সঙ্গীত--- নবজাগরণের সঙ্গীত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ ১৯৮২ সালের এই দিনে পরমশ্রদ্ধেয় মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত৷ তিনি এই দিন শুরু করেন তাঁর যুগান্তকারী প্রভাত সঙ্গীত রচনা৷ যিনি মাত্র আট বছর এক মাস সাত দিনের মধ্যে ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীত রচনা করেন ও তাতে নিজেই সুরারোপ পরেন৷ আর তাঁর প্রতিটি সঙ্গীতই ভাব-ভাষা-সুর ও ছন্দে অভিনবত্বের দাবীদার৷

মানুষ বিশ্বৈকতাবাদী হবে

গতরাতে আমি এই পরিদৃশ্যমান জগতে বিভিন্ন সম্ভাবনাপুর্ণ অস্তিত্ব, যেমন---অণু মানসসত্তা ও চিতিসত্তা সম্পর্কে বলেছিলুম৷ পরম চিতিশক্তির যে অন্তর্মুখী গতি (বহির্মুখী গতিতে পঞ্চভৌতিক জগতের উৎপত্তি) তারই এক স্তরে মানুষের সৃষ্টি৷ এই অন্তর্মুখী গতিতে পঞ্চভৌতিক জগতের উৎপত্তি) তারই এই স্তরে মানুষের সৃষ্টি৷ এই অন্তর্মুখী গতি পরম চিতিশক্তিতে ফিরে আসার জন্যে৷

রাজনীতি–সচেতন মধ্যবিত্ত, ছাত্র–যুব ও সাধারণ মানুষই বিপ্লব আনবে

আজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নীতিহীনতার এক কালো ছায়া দ্রুত ঘনিয়ে আসছে ও তা মানুষের প্রগতির পথে দারুণ অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে৷ নীতিহীনতার এই আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাই প্রচণ্ড শক্তিশালী নৈতিক বল৷ এই দুর্দান্ত নৈতিক বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না৷ এটা আমরা আশা করতে পারি অরাজনৈতিক পক্ষ থেকে৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কোন দল বা নেতাদের খামখেয়ালী কাজকর্মকে বাধা দেওয়ার মতো নৈতিক বলের যদি সমাজে অভাব দেখা দেয়, তাহলে যে কোন সরকার–তা সে ফ্যাসীবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, সাধারণতন্ত্রী, একনায়কতন্ত্রী, আমলাতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক, যাই হোক না কেন–সে সরকার অত্যাচারী হতে বাধ্য৷ সরকারের

প্রভাত সঙ্গীত---সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অগ্রদূত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী?

প্রভাত সঙ্গীত---সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অগ্রদূত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী?

এন আর সি--- রাষ্ট্রের মানবিক হওয়া উচিত

প্রভাত খাঁ

গত ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের  আগে অসমে যাঁরা ভারতীয়  ছিলেন সেই ৩কোটি  ৩০ লক্ষ মানুষকে প্রমান দিতে হয়েছে৷ এই এন.আর.সি খসড়ায় ৪১ লক্ষ মানুষ  বাদ গেছে৷  গত ৩১ শে আগষ্ট তাঁদের  তালিকা  প্রকাশিত হয়েছে৷ এতে সারা অসমে  জনগণের  মধ্যে এক চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ চুড়ান্ত তালিকায় যাদের  নাম বাদ যাবে ---কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্র দফতর গত ২০শে আগষ্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার মেয়াদ ১২০ দিন বাড়িয়েছে৷ জানানো হয়েছে এন.আর.সিতে নাম না থাকলেই তারা বিদেশী নয়, এই বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য মানুষের আতঙ্ক সামান্য পরিমাণেও কাটেনি৷ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে  প্রকাশিত খসড়ার পরিপ্রেক্ষিতে অসমের রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা ছিল যে

প্রভাত  সঙ্গীত ও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি

শ্রীজ্যোতির্ময় পাহাড়ী

বিবর্তনের ধারা পথ বেয়ে উদ্ভিদ, পশু-পাখীর স্তর অতিক্রম করে পশু-মানব আজকের আধুনিক মানবে পরিণত হয়েছে, পশুমানবরূপে বনে জঙ্গলে বিচরণ  করার সময় পাশবিক বৃত্তির দেহসবর্বস্বতাই ছিল তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য৷ তবে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ‘মন’ দিয়েছিলেন যা পশু-পাখীকে প্রদান করেননি৷ কালক্রমে মানুষের শরীরেরও মনের পরিবর্তন হয়েছে৷ ধীরে ধীরে তার বুদ্ধির  বিকাশ ঘটেছে  বিবেকবোধ  জাগ্রত হয়েছে ও ভালমন্দ বিচার  করতে শিখেছে৷ তবুও আজকের মানুষের  মধ্যে জন্মজন্মান্তরের  পশুজীবনের সংস্কার ও অভ্যাস সুপ্ত অবস্থায় বিরাজ করছে৷ অপরদিকে জীবাত্মা যেহেতু পরমাত্মার অংশবিশেষ সেই কারণে মানুষের মধ্যে দেব সুলভ গুণাবলী পরিলক্ষিত হ