September 2019

বন্ধু হে, নিয়ে চলো.......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীর এক সংকটময় মুহূর্ত্তে মানব সভ্যতা যখন ক্রমশঃ মর্র্মন্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে, চতুর্দিকে অস্ত্রের ঝনঝনি, রাসায়নিক-পারমানবিক অস্ত্রের বিষবাষ্প, মানুষের লোভ, অহংকার ও বর্বরতা বিশ্বপিতার সুন্দর সৃষ্টি পৃথিবীর সর্বনাশে উদ্যত--- এই যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মানব সমাজের কল্যাণে প্রদান করলেন যুগান্তকারী ‘‘প্রভাত সংগীত’’ যার প্রথম গানটি রচিত হল ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরের মনোরম প্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিমন্ডলে ঃ

 ‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো,

আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

আঁধারের ব্যথা আর সয় না প্রাণে৷৷

আইনের পথে নেশা করার পক্ষে ত্রিপুরার আবগারি মন্ত্রী

নকল মদ খেলে স্বাস্থ্যহানী হয়, লিভার খারাপ হয়, চোখ অন্ধ হয়, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে---আরও কত কি হয়! কথাগুলি বলেন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আবগারি মন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা৷

ত্রিপুরা সরকার ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়ে নেশা বিরোধী অভিযান করছে৷ আবার বিলিতি মদের দোকান খুলতে ঢালাও লাইসেন্সও দিচ্ছে৷ ইতোমধ্যে ২৪টি নতুন বিলিতি মদের দোকান খোলার লাইসেন্সও দেওয়া হয়েছে৷

মদনপুরে প্রভাত সঙ্গীত আধারিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

গত ৮ই সেপ্ঢেম্বর রবিবার নদীয়া জেলা রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ অ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাশোসিয়েশন (রাওয়া)-র সচিব ডাঃ নিখিল কুমার দাস মহাশয়ের উদ্যোগে ও মদনপুর আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক সহযোগিতায় ১৬১ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে মদনপুর রাওয়া আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীত আধারিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হ’ল৷  সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নদীয়ার ভুক্তিপ্রধান শ্রী অনিল চন্দ্র বিশ্বাস, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, আনন্দ মণ্ডল, গোরাচাঁদ দত্ত, শ্রীমায়া দাস, ডা নিখিল কুমার দাস, গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য প্রমুখ৷

বিনা পয়সায় চিকিৎসা সম্ভব নয়

‘পূজো করতে যেমন চাঁদা দিতে হয়, রোগ সারাতেও রোগ সারাতেও খরচা করতে হয়৷’ কথাগুলি বলেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ বিনা পয়সায় চিকিৎসা আর সম্ভব নয়৷ আচ্ছে দিনের ফেরিওয়ালার দল ত্রিপুরায় সরকার গঠন করে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ এখন বুঝছেন কথা দেওয়া আর কথা রাখা এক জিনিস নয়৷ অবশ্য কথা দিয়ে না রাখাটাই রাজনীতির রেওয়াজ হয়ে গেছে৷

আগরতলায় আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ মিছিল

৭ই আগষ্ট এন আর সি-র নামে বাঙালীদের রাষ্ট্রহীন করার প্রতিবাদে আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি আগরতলা শহরে মিছিল ও জনসভা করে৷ বৈকাল তিন ঘটিকায় শিবনগরে অবস্থিত আমরা বাঙালীর রাজ্য সদর দপ্তর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শকুন্তলা রোডে জমায়েত হয়৷ সেখানে সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যসচিব হরিগোপাল দেবনাথ, গৌতম ঘোষ, কেশব মজুমদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

বারাসত, বনগাঁয় বিক্ষোভ

উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত শহরে ষ্টেশন হরিতলা ছোটবাজারে আমরা বাঙালী গত ৬ই সেপ্ঢেম্বর এন আর সি-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ সেখানে বক্তব্য রাখেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, অরূপ মজুমদার, বাপী পাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

১০ই সেপ্ঢেম্বর বনগাঁ মহকুমার গোপাল নগরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থকরা৷ এখানে বক্তব্য রাখেন জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, শ্যামল বিশ্বাস  প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

এন আর সি-র থাবা

এক--- ধীরাজ চন্দ্র৷ সেনাবাহিনীর চাকরী থেকে অবসর নিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল বিভাগে কর্মরত৷ থাকেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়ায়৷ ধীরাজবাবুর পিতা  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক৷ তিনি অসমে সরকারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন৷ আদি বাসিন্দা অসমের মারিগাঁাও জেলায়৷ ধীরাজের ঠাকুরদা ১৯৫৪ সালের কেনা জমির দলিল, ১৯৬৫ সালের ভোটার লিস্টে থাকা নামের তালিকা, ধীরাজের বাবার স্কুল-কলেজের নথি, ধীরাজের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ও স্নাতক হওয়া সবই ১৯৭০ সালের আগে৷ সেনাবাহিনীর চাকরী সহ সমস্ত নথি জমা দিয়েও ধীরাজ ও তার পরিবার আজ বিদেশী৷

ঝালদায় প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

পুরুলিয়ার ঝালদা শহরে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের পুরুলিয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১০ই সেপ্ঢেম্বর প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে ৯০ জন কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত ও আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত৷ তাঁরা প্রাউট দর্শনের বিভিন্ন সামাজিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কট থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে একমাত্র প্রাউটের পক্ষেই সম্ভব৷ উপস্থিত ছাত্র-যুবদের মধ্য থেকেই সদ্বিপ্র নেতৃত্ব গড়ে তুলতে আধ্যাত্মিক যোগ সাধনার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন৷

কয়েকজন স্মরণীয়া মহিলা - সতী নারী গান্ধারী

আরেকটা উদাহরণ হ’ল – গান্ধারীর চরিত্র৷ গান্ধারী ছিলেন আফগান মহিলা৷ কান্দাহার

(সংস্কৃতে ‘গান্ধার’) নামে এক দেশ ছিল ও গান্ধারী ছিলেন সেই দেশের কন্যা৷ তৎকালীন ভারতীয়রা কান্দাহারকে বলতেন ‘প্রত্যন্ত দেশ’ – সুদূর সীমান্তবর্তী দেশ৷ খাঁটি ভারতবর্র্ষ বলতে যা’ বোঝায়  তা’ নয়৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ক্ষড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কাম