September 2019

লীলাময়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কোন্ সে অনাদিকালে লীলাচ্ছলে---

অসীম তুমি, ধরা দিলে বৈচিত্র্যের সীমায়

প্রকৃতির গণ্ডী এঁকে নিলে বিরাট ভূমাসত্ত্বায়৷

রস-সমুদ্রে সত্ত্ব-রজঃ-তমের গুণবন্ধনে

সঞ্চরের পথ ধরে’ সৃষ্ট হ’ল জগৎ

ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম৷

প্রকৃতির প্রচণ্ড উগ্রতায় আরও

বাঁধতে চাইলে তোমায় আষ্টেপৃষ্ঠে,

শুভারম্ভ প্রতিসঞ্চরের পালা, জডস্ফোটে৷

সর্জনকেন্দ্রে নিহিত শক্তির প্রাবল্যে

জাগলো প্রাণের স্পন্দন---

বিকশিত এককোষী থেকে বহু-বহুকোষী অবয়ব৷

প্রবহমান বিবর্তনের ধারা বেয়ে

উজ্জীবিত উন্নত মননের উন্মেষ---

কৃপা ভরে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

তুমি আমার আমি তোমার

এই ভাবনার ভাবে,

ভাব বিনিময় হওয়ার সময়

আর সবই দূরে যাবে৷

চলার পথে বাধার সাথে

যখন লড়তে হয়,

ভাল-মন্দ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব

মনে জাগে সংশয়৷

কৃপা ভরে’ সেই সময়ে

হৃদয় জুড়ে থাকবে তুমি,

মনের গ্লানি সরিয়ে দূরে

ওগো অন্তর্যামী৷

জাগো বাঙালী

বঙ্গ কন্যা অনন্যা

বাঙালী, এবার তো জাগুন,

অনেক আগেই লেগেছে আগুন!

এবারও না জাগলে পরে

নীরব দর্শক থাকলে ঘরে

বাঙলা ও বাঙালীর সমৃদ্ধি হবে ছাই

দেখবেন তখন বাঁচার আর উপায় নাই!!

বিনা টিকিটে গঙ্গাস্নান

প্রাচীনকালের মানুষ যাঁদের গঙ্গা–যমুনার উপর খুব শ্রদ্ধা–ভক্তি ছিল তাঁরা ভাবতেন ঈশ্বরের করুণাই  অবস্থান্তর প্রাপ্ত হয়ে      গঙ্গাধারার রূপ পরিগ্রহ করে থাকে কারো গঙ্গাস্নানের আকর্ষণ কর্ত্তব্যের প্রেরণায়, কারো বা ধর্মোন্মাদনার প্রেষণায় কেউ বা গঙ্গাস্নান করেন ডগমা বা ভাবজড়তার বশবর্ত্তী হয়ে, আর কেউ বা পুরাণের কাহিনীকে গুরুত্ব দেন বলে৷ সত্যিই গঙ্গা ‘‘পতিত পাবনী’’ এ কথা ঠিকই যে গঙ্গা সুবিশাল আর্যাবর্ত্তের স্তন্যদাত্রী জননী৷ এও ঠিক যে নদীর বহমান ধারায় স্নান করলে তা শরীর মনকে স্নিগ্ধ করে৷ তবে গঙ্গাস্নানে কোন বিশেষ গুণ আছে কি না তা  পণ্ডিতেরা বিচার করে দেখতে পারেন৷ তবে আপাতঃদৃষ্টিতে তেমন গুণ আছে বলে ম

ভারতীয় উইকেট কীপার হিসেবে ধোনীই সেরা

ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক ভাল ভাল উইকেট কীপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ফারুক ইঞ্জিনিয়র, সৈয়দ কিরমানি, কিরণ মোরে, সদানন্দ বিশ্বনাথ ও অবশ্যই মহেন্দ্র সিং ধোনী অন্যতম৷ তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন মাহি৷ মাঠে খেলার মধ্যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে পরিচালনা করার ব্যাপারে তাঁর জবাব নেই৷ অনেক ম্যাচ একক দক্ষতায় নিজের দলের অনুকূলে ম্যাচকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনী যেন সেরাদের মধ্যে সেরা৷ সেই কারণে এই মুহূর্ত্তে বলা চলে যে ভারতীয় উইকেট কীপার হিসেবে সর্বকালের সেরা উইকেটের পেছনের খেলোয়াড়টি অবশ্যই মহেন্দ্র সিং ধোনী৷ এই মুহূর্ত্তে সেই কারণেই বলা চলে যে তাঁর অবসরের সিদ্ধান

সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের  উদ্যোগে প্রচার অভিযান

প্রতিবছরের মতো এবছর গত ১৫ই আগষ্ট সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘‘সচেতনতা কার র্যালী’’ ‘‘রাখী বন্ধন’’ উৎসব অনুষ্ঠিত হল৷

কৌষিকী দিবস পালন

৬ই সেপ্ঢেম্বর ঃ আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবর্ত্তক পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণের জন্যে যেমন দিয়েছেন নতুন জীবন দর্শন, তেমনি দিয়েছেন নতুন এক জীবন ধারা তথা জীবন চর্চা৷ মানুষের দৈনন্দিন জীবন চর্চায় তিনি যেসব বিধি বিধান দিয়েছেন তার মধ্যে নবতর সংযোজন হ’ল কৌষিকী নৃত্য৷

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ না নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হতে পারেন ভারতের অমল মজুমদার

তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান৷ যাঁর মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জিতে বড় রান করার অভিজ্ঞতা৷ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৭১টি ম্যাচে ১১,১৬৭ রান করার দক্ষতা দেখিয়েছেন অমল মজুমদার৷ এই রেকর্ডগুলো দেখেই হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর  কোরি ফান জাইলের ফোন আসে অমলের কাছে তাদের সিনিয়র ক্রিকেট দলে ব্যাটিং কোচের অফার নিয়ে৷ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়ে বুমরা সমৃদ্ধ ভারতীয় পেস বিগ্রেড ও বিষাক্ত ভারতীয় স্পিন অ্যাটাককে সামাল দেওয়া যায় তবে বিশ্ব ক্রিকেটে কোচ হিসেবে একটি ভাল জায়গায় পৌঁছে যাবেন অমল৷ সেই আশা নিয়েই অমল মজুমদার দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমাতে পারেন সেই দেশের ব্যাটসম্যান হয়ে৷

দুর্গাপুরে সেমিনার

গত ৭, ৮ই সেপ্ঢেম্বর দুর্গাপুর, ঝাঁঝরা কলোনীর আনন্দমার্গ স্কুলে একটি দ্বিদিবসীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য নিত্যনবীনানন্দ অবধূত ও ভুক্তিপ্রধান কাজল ঘোষ এই সেমিনারের আয়োজন করেন৷ সেমিনারে প্রশিক্ষণ দেন আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত ও আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷ প্রত্যেক বক্তাই সমাজের কুসংস্কারগুলিকে দূর করার কাজে সকলকে অগ্রণী হওয়ার জন্যে আহ্বান করেন৷ উপস্থিত সকলেই শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের আদর্শকে বাস্তবে রূপায়িত করার কাজে প্রত্যেক আনন্দমার্গীকে সচেষ্ট হওয়া জরুরী বলে মনে করেন৷ ৮ই মার্চ মিলিত সাধনা, স্বাধ্যায়, ঈশ্বর প্রণিধাণ ও মিলিত আহারের পর সেমিনারের সমাপ্তি হয়৷

আর এক পৃথিবীর সন্ধান

বৈজ্ঞানিকরা মহাকাশে আর একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন৷ যে গ্রহটিতে আমাদের পৃথিবীর মত বায়ুমণ্ডল রয়েছে, জলেরও অস্তিত্ব রয়েছে ও সেখানকার তাপমাত্রাও প্রাণের বিকাশের অনুকূল বলে বৈজ্ঞানিকরা মন্তব্য করেছেন৷ নেচার এ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে বৈজ্ঞানিকদের এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ পেয়েছে৷

আমাদের সৌরমণ্ডল থেকে ১১০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত আর একটি নক্ষত্রের চারিদিকে প্রদক্ষিণরত এই গ্রহটির ভর আমাদের পৃথিবীর থেকে ৮ গুণ বেশী৷ হাবল স্পেস টেলিস্কোপের দ্বারা সংগৃহীত তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করে বৈজ্ঞানিকেরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন৷