September 2019

প্রভাত  সঙ্গীত ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

শ্রীজ্যোতির্ময় পাহাড়ী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

‘দেওঘরের’ আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে নিম্নের জ্যোতিগীতি দিয়ে প্রভাতসঙ্গীতের  শুভারম্ভ হল,

বন্ধু হে, নিয়ে চলো,

আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

আঁধারের ব্যথা আর সয় না প্রাণে৷৷

ঘুমের ঘোর ভাঙ্গানোর গানে গানে৷৷ 

এন আর সি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর আমরা বাঙালী

পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, অসম, ত্রিপুরায় ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে বাঙালীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে৷

খোয়াইতে---১৪ই সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরার খোয়াই শহরে ‘আমরা বাঙালী’ এক বিশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে৷ রাজ্যে বিজেপি সরকারে আসার পর খোয়াই শহরের মানুষ কোন বিরোধী দলের এত বিশাল মানুষের মিছিল এই প্রথম দেখলেন৷

শ্রীরামপুরে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ

শ্রীরামপুর ঃ গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর, ২০১৯ হুগলীর শ্রীরামপুরে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এন আর সি-র নামে লক্ষ লক্ষ বাঙালীকে বিদেশী ঘোষণা, নাগরিকত্ব হরণ ও ডিটেনশন ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়৷ বিক্ষোভ মিছিলটি চাতরা, শীতলাতলা বাসস্টপ থেকে শুরু করে মরাদান, নবগ্রাম বাজার, বাই শ্রীরামপুর হয়ে শ্রীরামপুর ষ্টেশন সন্নিহিত অঞ্চলে গলাপোলের নিকট সমাপ্ত হয়৷ মিছিল পরিক্রমার সময় অসমে বাঙালীদেরকে বঞ্চনা, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তা  তীব্র ভাষায় প্রতিবাদে মুখর হন৷ তাঁরা বক্তব্যে আরও জানান---ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালীদের অ

পরলোকে আমরা বাঙালী নেতা রতন রায়

গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর ২০১৯ ত্রিপুরার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও ‘আমরা বাঙালী’ দলের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা কমিটির সচিব  শ্রী রতন রায় দীর্ঘ রোগভোগের পর পরলোকগমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর৷ তিনি আমরা বাঙালী দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন৷ দীর্ঘদিন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা কমিটির সচিবের দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করেন৷ তিনি শান্তিরবাজার মহকুমার লাউগাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্র বর্তমান৷ তাঁর পুত্র সৌরভ রায় বর্তমানে আমরা বাঙালী দলের একনিষ্ঠ ও সক্রিয় কর্মী৷

ভাবজড়তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম

ধর্মমতের উপর ভিত্তি ক’রে তৈরী হয়েছে পাপ–পুণ্যের খসড়া, তৈরী হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন দণ্ডসংহিতা ও শাস্ত্র৷ নিজেদের কায়েমী স্বার্থের দুরভিসন্ধিতে সেই সব শাস্ত্রকে অপৌরুষেয় বলে প্রচার করা হয়েছে৷ তাই মানুষের থেকে তথাকথিত শাস্ত্র বর্ণিত দেববাণীর দাম অনেক বেশী৷ মানুষ সেই বাণীর, সেই ব্যবস্থার অবমাননা বা বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে পেতে হবে কঠোর শাস্তি৷ বিজাতীয় মানুষকে স্পর্শ করা মহাপাপ৷ সমাজ থেকে তাকে হ’তে হবে বিতাড়িত সেই পাপের জন্যে৷ শাস্ত্রমতে হয়তো প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, সে প্রায়শ্চিত্ত কখনও কখনও তার প্রাণহানিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেউ যদি এই কঠোর শাস্তি থেকে একটু শৈথিল্য প্রার্থনা করে, সমাজগুরুরা তা

চক্ষুরোগে পদ্মমধু

পদ্মফুলের শোভা ও সৌন্দর্য্যে ও এর গন্ধে মউমাছি, ভ্রমরা, কীটপতঙ্গেরা আকৃষ্ট হয়৷ অন্যান্য পদ্মের তুলনায় শ্বেতপদ্মের গন্ধ বেশী৷ পদ্মের মধু (বিশেষ করে শ্বেতপদ্মের মধু) সর্ববিধ চক্ষুরোগের মহৌষধ বিশেষ করে চোখের মণি সংক্রান্ত রোগে৷ বাংলায় এই পদ্মমধু নিয়ে চর্চা হলে ভাল হয়৷ চক্ষুরোগে গোলাপ জলের ব্যবহার হিতকর৷ এছাড়া ফুলকপি ও গাজর চক্ষুরোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে৷

পদ্মের পরাগ সর্পবিষের প্রতিষেধক

প্রভাতসঙ্গীতের ৩৭ বর্ষ পূর্ত্তি প্রসঙ্গে

দাদাঠাকুর

আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে আমাদের পরমশ্রদ্ধেয় বাবা মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্র্ত্তিজ্ প্রভাত সঙ্গীত রচনা শুরু করেন৷ এর আগে কেউ জানতই না যে তিনি সঙ্গীতের সুর, লয়, তাল প্রভৃতি সম্পর্কে সব কিছুই জানেন৷ তিনি কারও কাছ থেকে এই সব শেখেননিও৷ কিন্তু হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি সঙ্গীত রচনা শুরু করে দিলেন৷ তাতে সুরও দিলেন তিনি নিজে৷ এই সুর দিয়ে আমাদের দিয়ে গান গাওয়ালেনও৷ বলা বাহুল্য, আমিও সেদিন ওখানেই ছিলুম৷ আমরা আমাদের পরমপ্রিয় বাবার রচিত সঙ্গীত তাঁর সুরেই সমবেত কণ্ঠে গাইছিলুম–

বন্ধু হে নিয়ে চলো, আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

প্রভাত সঙ্গীত দিবস উপলক্ষ্যে

সম্পাদক

আমাদের এই ‘প্রভাতী’তে প্রভাত সঙ্গীতের বিপুল ভাণ্ডারের মধ্য থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি গান তুলে ধরা হ’ল–

শিশুদের জন্যে গান

রাতের বেলায় সবাই ঘুমায় শিউলি কেন জাগে৷

বলতে হবে মা গো আমায় বলতে হবে আগে৷৷

আর ফুলেরা দিনে জাগে রাত্তিরে ঘুমায়৷

দিনের বেলায় সুবাস ঢালে মধুতে গান গায়৷৷

তাদের সাথে মোর পরিচয় আলোর অনুরাগে৷৷

ঘুমায় ময়না কুকুরছানা, ঘুমায় যে মৌমাছি৷

শিউলি তরু হেসে’ বলে আমি জেগে’ আছি৷

বলো না মা শিউলি জাগে কাহার অনুরাগে৷

শিশুর মনের মতো করেই মা একটা উত্তর দিলেন–

শোণরে খোকন, শিউলি জাগে রাতের অন্ধকারে৷

ইংল্যাণ্ডে আয়োজিত জুডো কমনওয়েলথ গেমসে যোগ দিতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এক দৃষ্টিহীন ছাত্র

পূর্বমেদিনীপুরের এক দৃষ্টিহীন পড়ুয়া বুদ্ধদেব জানা চলতি মাসেই যোগ দিতে চলেছেন ইংল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত প্যারা জুডো কমনওয়েলথ গেমসে৷

বুদ্ধদেবের ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি  ক্ষীণ হতে লাগছিল  পড়তে অসুবিধা হত, বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে আসতে হয় কলকাতায়৷ ভর্তি হতে  হয় দৃষ্টিহীনদের সুকলে৷ শুরু হয় এক আঁধারাচ্ছন্ন জীবনের লড়াই৷ সেই যুদ্ধ জয়ের পথে এখন বুদ্ধ৷